বনলতা সেন/জ্বলন্ত তারার মতো
(পৃ. ৮২)
জ্বলন্ত তারার মতাে
যখন দিনের আলাে নিভে আসে আমি ক্লান্ত—তবুও উদয়
জ্বলন্ত তারার মতাে সময়ের অন্ধকার শক্তিনীলিমায়;
আমার উৎসারী মেহ আলাে মন প্রাণ
এখন ঠেকেছে এসে অকূলের পবিত্র সীমায়।
পৃথিবীর ধুলাে নিয়ে মানুষ কী শরীরী হয়েছে?
শরীর কি ভালােবাসে নারী নারীমন?
রাত্রির জ্যোতির পথে প্রাণ এক পুরুষনক্ষত্র?
কিন্তু কতক্ষণ?
কী সংগীত জানা আছে প্রাণের মনের
কোথায় সে পেয়েছিল অগ্নিউৎস আলােকের জ্ঞান?
ভােরবেলা অস্তসূর্যে রাত্রির নক্ষত্রবেলায়
পুরুষ নারীকে দান করে তবু তার প্রতিদান
পেয়েছে সৃষ্টির সত্ত্ব: অন্ধকার? অমেয় শীতের
শূন্যের সংঘর্ষ থেকে নীল শিখা বুনে
আমাকে জাগাক, নারি, একদিন সৃষ্টি লােপ পেলে,
জেনে আমি গাঢ় স্বর্ণ অনন্তের স্বর্ণকার, তােমার আগুনে।