বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)/১৩১
শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
---|---|---|
ঈদ-ই মিলাদুন্নবীর সমাবেশে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানের দাবী | দৈনিক ‘আনন্দবাজার’ | ৯ মে ১৯৭১ |
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দান
জনমত গড়ে তুলতে জয়প্রকাশ বিদেশ সফরে যাবেন
নাসিক -,৮ মে- স্বাধীন বাংলাদেশকে তাড়াতাড়ি স্বীকৃতি সর্বোদয় নেতা শ্রী জয়প্রকাশ নারায়ন বেশ্বের সব দেশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে শ্রী নারায়ন বলেন-বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে তিনি বিদেশে সফরে যাবেন বলে স্থির করেছেন। শ্রী নারায়ন জানান তিনি কায়রো, রোম, মসকো, বারলিন, নিউইর্ক, জাপান এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে যাবেন।
-পি টি আই
পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষা করুন
- ইয়াহিয়া
নয়াদিল্লী, ৮ মে-জেনারেল ইয়াহিয়া খাঁ পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য নিজেদের জীবন পুনরায় উৎসর্গ করতে তাঁর জনগণের উদ্দেশ্যে আবেদন করেছেন।
পূর্ববঙ্গের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে পাক প্রেসিডেণ্ট যে আবেদন করেন তাতে তিনি এই বলে স্মরণ করিয়ে দেন যে, উপমহাদেশের মুসলিম ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য মানবিকতা ও ন্যায়পরায়নতা ইসলামের সুমহান নীতি অনুসারে নিজেদের বসবাসের জন্য একটি বাসভূমি তারা গড়ে তুলেছেন। তাঁর এই আবেদনের মধ্যে ইসলাম বিপন্ন এই সূর যেন ফুটে উঠেছে।
আজ ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী দিবস উপলক্ষে তাঁর এই বাণী।
পাক বেতারে বলা হয়: জেনারেল ইয়াহিয়া খাঁ বলেন, পাকিস্তান ইসলামী রাষ্ট্র হিসাবে অবিনশ্বর। পাকিস্তান আমাদের আশা-আকাঙ্খার মূর্ত প্রতীক এবং আমাদের জাতীয় অস্তিত্বের দুর্ভেদ্য প্রাচীর।
পাক বেতারে আরও বলা হয় আজকের এই দিনটি পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে এবং পূর্ববঙ্গের ঢাকা শহরেও উদযাপিত হচ্ছে। -পি টি আই
পয়গম্বরে জন্মদিবসে সভায় “বাংলাদেশের ” স্বীকৃতি দাবী
(স্টাফ রিপোর্টার)
শনিবার শহীদ মিনার ময়দানে ইসলামের ধর্মগুরুপয়গম্বরের জন্মদিবসে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবী জানানো হয়। প্রস্তাবে ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয় যে, বাংলাদেশকে শুধু স্বীকৃতি নয়, অন্যান্য সাহায্যের সঙ্গে অস্ত্র সাহায্যও দিতে হবে। ভারত ও পাকিস্তান সরকারের কাছে সভা অণুরোধ জানায়-অবিলম্বে পাক ফৌজের হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদ ও দরগা মেরামতের ব্যবস্থা করুন এবং তার পবিত্রতা রক্ষা করুন। পয়গম্বরের জন্ম দিবসটি ছুটির দিন ঘোষনার জন্যও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবী জানানো হয়।
সভাপতিত্ব করেন পশ্চিমবঙ্গের বিচারমন্ত্রী শ্রী অজিতকুমার পাঁজা। বক্তৃতা দেন সরদার মাহতাব সিং, মওলানা মহম্মদ নসির আলি আজাদ প্রমুখ।
সর্বধর্মের সভায় নিন্দা
এদিন কলকাতায় সর্বধর্মের এক সম্মিলিত সভায় বাংলাদেশের নিরস্ত্র জনগনের উপর পাক ফৌজের বর্বর রাষ্ট্রপুঞ্জের সেকরেটারি জেনারেল ও বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রগুলিকে আবেদন জানিয়ে বলেন এই নৃশংসতা বন্ধে আপনারাও তৎপর হোন।
সর্বশ্রী গোলাম আহমেদ কাদের, এস বাকর, অমল গাঙ্গলী প্রমুখ বক্তৃতা দেন।