বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)/২৮
শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
---|---|---|
বাংলাদেশ প্রশ্নে কোনো হঠকারী নীতি নয়—প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা | দৈনিক ‘কালান্তর’ | ৩০ জুন, ১৯৭১ |
বাংলাদেশের ব্যাপারে সরকার হঠকারী নীতি নেবে না
নয়াদিল্লী, ২৯ জুন (ইউ এন আই)—“বাংলাদেশের ব্যাপারে সরকার কোন হঠকারী নীতি নেবে না।” আজ কংগ্রেস পার্লামেণ্টারী পারর্টির এক সভায় ভাষণদানকালে প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী এই কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এই রকম একটি সূক্ষ্ম সমস্যায় কোন সরকারই অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে না।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক তৎপরতার নৈরাশ্যজনক ছবি উপস্থিত করায় শ্রীমতি গান্ধী দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে পাক-বাহিনীর নরহত্যা অথবা এর ফলে ভারতের নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতে প্রশ্নটা বিশ্বের রাজধানীগুলিতে বোঝান হয়নি বললে সদস্যরা ভুল করবেন।
প্রধামন্ত্রী শ্রীমতি গান্ধী বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, সদস্যরা তাদের নির্বাচনী কেন্দ্রে ফিরে কেন বাংলাদেশের সমর্থনে জনমত সংগঠিত করছে না। ত্রাণের কাজে জনসাধারণের সহযোগিতা আদায়ে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ইতিপূর্বে শ্রী নাগী রেড্ডী বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে বৃহৎ শক্তিগুলি চক্রান্ত করছে। শরণার্থীদের সংখ্যা এক কোটিতে পৌঁছতে পারে। ভারতের উচিত কঠোরপন্থা অবলম্বন করা।
পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যদের পূর্ব বাংলা থেকে সাময়িকভাবে হটিয়ে দিতে হবে, এই কথা বলেন শ্রী মহাজন।
অন্যদিকে শ্রী প্রবোধ চন্দ্র পুরোকায়েত অভিযোগ করেন চীন-আতঙ্কের জন্য ভারত সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
তিনি বলেন, প্রতিনিধি পাঠিয়ে বিদেশী রাষ্ট্রকে প্রভাবান্বিত করা যাবে না কারণ তারা নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী নীতি নির্ধারণ করে থাকে। তিনি মন্তব্য করেন, আমরা যুদ্ধ সম্পর্কে কথাবার্তা নাও বললে পারি কিন্তু আমাদের যুদ্ধ ভীতি থাকলে চলবে না।