বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (প্রথম খণ্ড)/১১০
শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
স্বায়ত্তশাসন প্রস্তাব গৃহীত | পূর্ব পাকিস্তান ব্যবস্থাপক সভা তারিখ | ১লা ও ৩রা এপ্রিল, ১৯৫৭ |
Mr. Mohiuddin Ahmed (3rd April, 1957): Sir, I beg to move that this Assembly is of opinion that Government of East Pakistan should represent to the government of Pakistan for taking suitable steps for providing full Regional Autonomy for East Pakistan leaving the following subjects only to be the concern of the Centre:
(1) Currency,
(2) Foreign Affairs, and
(3) Defense
Mr. Syed Quamrul Ahsan: I beg to move the amendment of which notice has already been given.
This Assembly is of opinion that the Government of East Pakistan should represent to the Government of Pakistan the necessity of making regional autonomy as envisaged in the Constitution a reality.
Mr. A. K. Rafiqul Hossain: Sir, I beg to move by way of amendment that form the words “Full up to (3) Defense” in the resolution moved by Mr. Mohiuddin Ahmed be omitted and the following be substituted:—
"autonomy to the Provinces with a view to better and more effective administration considering the geographical peculiarly between the two regions of Pakistan and for setting up an independent commission consisting of Federal and High Court Judges to determine the extent of autonomy necessary for the purpose so that the solidarity and integrity of Pakistan cannot be at jeopardy."
Mr. Mohiuddin Ahmed: মিষ্টার স্পীকার, স্যার আমি এখানে যে প্রস্তাবটা উত্থাপন করেছি তার জন্য আমি নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করছি। তার কারণ গত ১৯৫৪ সালে যে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে এবং যার মারফৎ একটা প্রতিক্রিয়াশীল যুগের অবসান ঘটিয়ে নবযুগের সূচনা করেছিলাম সেই যুক্তফ্রণ্টের ২১ দফার ভিতর সর্বশ্রেষ্ঠ যে দফা ছিল সেটা হল প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন।.... এটা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের একমাত্র দাবী নয়, এটা সমস্ত পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক শক্তির দাবী। মিঃ স্পীকার, স্যার, আজকে পূর্ব পাকিস্তানের এই দাবীকে বানচাল করার জন্য বহু রকমের ষড়যন্ত্র, বহু রকমের প্রচার বিভিন্ন দিক থেকে হচ্ছে। আমরা জানি গত ৯/১০ বৎসর পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্বের নামে পূর্ব পাকিস্তানকে গুটি কয়েক একচেটিয়া মুনাফাখোরের হাতে লুণ্ঠনের ক্ষেত্র হিসাবে তুলে দিয়েছিল এবং আজকে পূর্ব পাকিস্তানকে লুণ্ঠন করার অবসর ও সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার জন্য কতিপয় লোক দেশের ভিতর বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তারা বলছে পূর্ব পাকিস্তানের এই প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের অর্থ হচ্ছে পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করা। এ কথা নূতন কথা নয়। এ কথা আমরা স্বাধীন হওয়ার পরে মুসলিম লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন থেকেই শুনে আসছি। আমরা গত নির্বাচনে যখন যুক্তফ্রণ্ট মারফৎ পরিষদে প্রতিযোগিতা করেছিলাম তখন আমাদের বিরুদ্ধে কতিপয় লোক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান প্রচার করেছিল যে যুক্তফ্রণ্টের অর্থ যুক্ত বাংলা। এই রকম প্রচার আমাদের বিরুদ্ধে এই জন্যই করেছিল যে আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার করে যদি জনসাধারণের মনে অশান্তি, সন্দেহ এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে তাহলে সেই যুক্তফ্রণ্টের ফাঁকে এই সমস্ত প্রতিক্রিয়াশীলেরা আবার ক্ষমতাসীন হতে পারবে।
স্যার, আমি মনে করি যে, প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের দাবী একটি যুক্তি সঙ্গত দাবী এটা পাকিস্তানের প্রত্যেক অঙ্গকে শক্তিশালী করবে। যদি একটা মানুষের একটা হাত বা একটা পা শুকিয়ে যায় তাহলে তাকে একজন স্বাস্থ্যবান লোক বলা চলে না। পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশী জনসংখ্যা এই পূর্বে পাকিস্তানে। আমাদের পূর্ব পাকিস্তান সোনার দেশ। এখানকার মাঠে ফসল ফলে। মানুষ সুখে শান্তিতে বাস করত। সেই পূর্ব পাকিস্তান আজ ধ্বংসের পথে। পূর্ব পাকিস্তানের আজ দুর্ভিক্ষ এবং মহামারী সৃষ্টি হয়েছে। এদেশের লোকের আজ সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে। এরা আজ সামান্যতম মুক্তির পথ খুঁজে পেতে চায়। আজকে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে না খাইয়ে শুকিয়ে মেরে যারা পাকিস্তানের মুক্তি কামনা করে তারা পাকিস্তানের ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই কামনা করে না। আজ পূর্ব পাকিস্তানের ৪ কোটি ২১ লক্ষ লোক যদি তাদের শিল্প, বাণিজ্য এবং চাষাবাদের সম্পূর্ণ মুক্তি পায় তাহলে এখানে এক একটা সুখী সমৃদ্ধিশালী পরিবার গড়ে উঠবে এবং সেই সমস্ত পরিবার হবে পাকিস্তানের একটা অখণ্ড শক্তি। অন্যদিকে কথা হচ্ছে যে পাকিস্তানের একটা অঙ্গকে যদি ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়, দুর্বল করে রাখা হয়, নানা রকম অত্যাচারের মধ্যে রাখা হয়। তাহলে সেটা নিশ্চয়ই শুভ লক্ষণ নয়। আজকে সমগ্র পাকিস্তানের মঙ্গলের জন্যই এই প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন দাবী করা হচ্ছে। এটা কেবল পূর্ব পাকিস্তানের বিষয়ই নয়। পশ্চিম পাকিস্তানে দেখা গিয়াছে যে অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা জনগণের বুকের উপর চেপে আছে। এক ইউনিট করে সেখানকার প্রত্যেকটি প্রদেশের সত্তা বিলুপ্ত করে দেবার যে ষড়যন্ত্র চলছে তার বিরুদ্ধে সেখানে আজ ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়েছে। আজকে আমাদের এই আন্দোলন শুধু পূর্ব পাকিস্তানের আন্দোলন নয়, এ আন্দোলন সমগ্র পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক শক্তির আন্দোলন। এ আন্দোলনের বিরোধিতা করার ক্ষমতা কারো নাই।.... আমার প্রস্তাবের উপর সংশোধনী প্রস্তাব এনেছেন আমার বন্ধু জনাব কামরুল আহছান সাহেব। যাঁরা শাসনতন্ত্র পাস করেছেন জনাব কামরুল আহছান সাহেব তাঁদের মধ্যে একজন। শাসনতন্ত্রে কি দেওয়া হয়েছে, মিষ্টার স্পীকার স্যার, আপনি তা জানেন। আপনি একজন বিশেষ আইনজ্ঞ ব্যক্তি। আমি শাসনতন্ত্র পড়েছি, তাতে দেখেছি কতকগুলো অপদার্থ ক্ষমতা পূর্ব পাকিস্তানের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই শাসনতন্ত্র প্রণেতাদের মধ্যে জনাব কামরুল আহছান সাহেবও একজন ছিলেন। আজকে তাঁরা সেগুলো আমাদের ঘাড়ে চাপাবার চেষ্টা করছেন। আমি আশা করি এত আলোচনার পর, এত বক্তৃতার পর জনাব আহছান সাহেব তাঁল সংশোধনী প্রস্তাব প্রত্যাহার করবেন।
Mr. Khandaker Mushtaque Ahmed: আপনারা একেবারে স্বাধীন হতে চান?
গৎ, গড়যরফফরহ অসসধফ: মিষ্টার স্পীকার স্যার, জনাব রফিকুল হাসান সাহেব যে সংশোধনী প্রস্তাব এনেছেন আমি তার প্রতিবাদ করছি। আমরা সবাই যুক্তফ্রণ্টের টিকেটে নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আমরা জনগণের কাছে ওয়াদা করে এসেছি। আমি আশা করি আমার বন্ধু জনাব রফিকুল হাসান তাঁর সংশোধনী প্রস্তাব প্রত্যাহার করবেন।............
Mr. Muzaffar Ahmed: Sir, it was not the only demand of our leader Maulana Bhasani as regards the form of address “Assalamo-Alaikum". Our resolution on regional autonomy is in accordance with the 19th point of the 21-point programme on the basis of which the last general election was faught and to which the various components of the then United Front Party, namely, the Awami League. Krishak Sramik Party, Nizame Islam Party, Ganatantri Dal. are committed. The Muslim League is also committed to this by their Lahore Resolution of 1940 where in it is clearly laid down that the units of Pakistan are to be autonomous and sovereign. Today this resolution of demand for regional autonomy is not a demand of our Leader Maulana Bhasani alone or any particular party. This is a national demand; this is a demand of 42 million people of East Pakistan. The demand for regional autonomy is based on facts, reasons and history, and it is not an outburst of sentiments and emotions nor is it neither a vote-catching slogan nor an outcome of frustration and disappointment. It means complete freedom of the regions in internal affairs from the control of the Central Government in spheres other than Defense, Foreign Affairs and Currency. The demand for regional autonomy is not undemocratic. It is democratic because at least 56 per cent of the total population of East Pakistan demands it. It is geographically inescapable because the two wings of Pakistan are based on two different economies. It is politically sound. There can be 'union without unity and unity cannot be achieved through coercion, threat or force. There is no necessity of unity so long as there can be “union without unity'. History confirms it; because Political History is replete with such instances...
After August, 1947 political independence we have achieved no doubt, but economic liberation is yet to be achieved. Containing 56 per cent of the population of Pakistan. East Pakistan has all through these 10 years been smarting under numerous grievances relating to uphold their national rights. East Pakistan has suffered under the discriminatory treatment met out to her economic filed.
Mr. Speaker, Sir, the improvement of the lot of our backward and poverty-striken people will not be possible without regional autonomy. The real solution of the food problem of the country which is suffering from permanent deficiency lies either in the import of foodstuffs from foreign countries or in the increase of yield per acre by the application of scientific appliances. How can we import foodstuffs and scientific appliances from other countries without exporting goods to those countries? Export of a country pays for its import. East Pakistan has nothing today to be called industrial or manufactured goods to export and thereby to earn foreign earnings. The little foreign earnings that she has every year by exporting jute that also she is deprived of. Our agriculture has been very much neglected...
You know, Sir, in the field of industrial development, tariff laws play a great part and East Pakistan has got no control over it. Another important factor is freight charges which again are under the control of the Central Government. In the name of currency and foreign exchange is controlled by the Central Government and the step-motherly treatment of the Central Government is well known to all of us. The Central Government also on account of its economic subordination to some foreign countries and signing the various military pacts labors under serious handicaps in the field of industrial development.
Mr. Speaker. Sir, in the field of our agriculture, industry, commerce, internal transport, education and health, no development can be conceived of by a Government silting 1,400 miles off Karachi. In the present pattern of our State, it is regional autonomy and regional autonomy alone that can guarantee an all round development of this wing of Pakistan ...
Mr. Ashabuddin Ahmed: স্যার, স্বায়ত্তশাসনের দাবীর উপরেই পাকিস্তানের ভিত্তি। ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবেও স্বায়ত্তশাসনের কথা বলা হয়েছে। তাই এখন স্বায়ত্তশাসনের দাবীর বিরোধী করা লাহোর প্রস্তাব ও পাকিস্তানেরই বিরোধিতা করা হবে। আমার আর একটা কথা হ’ল স্যার যে, মুসলিম লীগের পতন হত নাচরম ব্যর্থতায় মুসলিম লীগ শাসন পর্যবসিত হত না যদি পাকিস্তান লাভের পর তারা পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন আদায়ের জন্য সংগ্রাম করতেন এবং সচেষ্ট হতেন। তা না করে প্রদেশের হাতে বিভিন্ন কর আদায়ের যে ক্ষমতা ছিল সেগুলিও কেন্দ্রের হাতে তাঁরা তুলে দিলেন। যে পরিমাণ ক্ষমতা তাঁরা কেন্দ্রের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন সে পরিমাণ ক্ষমতা আমাদের এ প্রদেশ হারিয়েছে। তার ফলে হয়েছে দেশবাসী তাদের ক্ষমা করেননি তাদের ক্ষমতাচ্যুত করেছে। ২১ দফা জাতির মহাসনদ। এই সনদে জনাব শহীদ সোহরাওয়ার্দী সাহেব, জনাব এ, কে, ফজলুল হক সাহেব ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সাহেব স্বাক্ষর করেছিলেন। সে সনদেও আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবী করা হয়েছিল। (ঠড়রপব: মওলানা আতাহার আলী সাহেবও সে ২১-দফা সনদে স্বাক্ষর দিয়েছিলেন)। আমি মনে করি যে আমাদের ২১-দফা যে সমস্ত বিষয় নিয়ে রচিত হয়েছিল তার মধ্যে ১৯নং দফায় যে পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবী আছে সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই দাবী আদায় করতে না পারলে আমাদের অন্যান্য দাবী পূরণ করা সম্ভব হবে না। আমি একথা বলতে পারি যে যদি এই ১৯নং দফর পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবী আদায় করতে না পারি তাহলে আজকে এই আইন পরিষদে যারা সদস্য হয়ে এসেছে জনসাধারণ তাদের দফা রফা করে দেবে।... একথা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না যে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী যদি বাস্তব না হয় তাহলে আমরা জাতি হিসাবে বাঁচতে পারব না। একথাও কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না যে আমাদের পাকিস্তান দু’অংশ পরস্পর শত মা ল দূরে অবস্থিত। এই বাস্তব সত্যের উপর ভিত্তি করে আমাদের রাষ্ট্রের সমস্ত কিছু নীতি নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবী অস্বাভাবিক কিছু নয় আজ আমাদের দেশের একটা খাল-বিল কাটতে হলে করাচী থেকে সম্মতি আনতে হয়। এই প্রদেশের খাল-বিল, নদী-নালা, স্বাভাবিক এটা কেউ অস্বীকার করতে পারে না। কিন্তু এই নদী-নালা আকাশ পথে সংস্কার অনুমোদনের জন্য করাচী প্রেরণ এটা অস্বাভাবিক না অতিপ্রাকৃত। জনাব স্পীকার সাহেব, গত কয়েক বছর যাবৎ কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের এ প্রদেশ কিরূপ ব্যবহার পেয়েছে সেটা আপনি জানেন। হিসাবে দেখা যায় যে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত এই ভাবে ব্যয় করা হয়েছেঃ
পূঃ পাকিস্তান। | পঃ পাকিস্তান | |
রাজস্ব খাতে | ১৮৮ | ১,০০৮ |
কল-কারখানা ও যন্ত্রপাতি | ৫৪ | ২১৯ |
সাহায্য খাতে | ১৮ | ৫৪ |
বিদেশী সাহায্য | ১৫ | ৭৩ |
কৃষি খাতে | ৯ | ৯৭ |
পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনায় সামরিক খাতে | ৩৭ | ৬১২ |
ডাক ও তার | ৩ | ১৩ |
তকরপর ১৯৪৭-১৯৫৫ সন পর্যন্ত রপ্তানীর জন্য অনুমুতি দেওয়া হয়েছে এই ভাবে-
আমদানী | রপ্তানি | |
পূর্ব পাকিস্তান | ২৮৯ | ৫৬২ |
পশ্চিম পাকিস্তান | ৭৭১ | ৫৮১ |
Article 132 provides for the transfer of railways to the Governments to the Provinces or to the authority constituted in the Province for that purpose.
Then I come to the question of control of All Pakistan Service. Article 183(5) lays down that while a member of All Pakistan Service is serving in connection with the affairs of a Province, his promotion and transfer within that Province, and the initiation of any disciplinary proceedings against him in relation to his conduct in that Province. shall take place by order of the Governor of that Province.
Then Article 200. It relates to the appointment of Advisory Bards for Posts and Telegraphs Department. It is laid down that recruitment to Posts and Services other than class I, in the posts and Telegraphs Department in a Province shall be made from amongst persons domiciled in that Province.
These are salutary provisions deserving commendation.
Sir, industries, shipping and navigation on tidal waters, coastal shipping confined to ports within one Province these and many other items, all told 94 in number figure in the Provincial list where as the Federal and the concurrent lists contain 30 and 19 items respectively. I believe that the Constitution offers the possible opportunity of working out our own destiny keeping in fact at the same time the integrity and unity of Pakistan. We cannot conceive anything better under Federal system of Government. To take regional autonomy in the sense, that Bhashani Saheb does, will be putting a premium on disintegration and chaos...
Mr. Abul Khair Rafiqul Hussain: জনাব স্পীকার সাহেব, এ রিজলিউশনের উপর আমার যে সংশোধনী প্রস্তাব আছে, আমি মনে করি যে, এর দ্বারা রিজলিউশনটির আদৌ কোন মৌলিক পরিবর্তন করা হবে না। শুধু ইহার ব্যবস্থা ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটু ব্যাখ্যাই করা হবে। (হৈচৈ) আমার বন্ধুরা অনেকে সন্দেহ পোষণ করতে আরম্ভ করেছেন যে এ সংশোধনী প্রস্তাবের মাধ্যমে না আবার স্বায়ত্তশাসনের বিরোধিতা করা হয়। আমার অতি উৎসাহী বন্ধুরা শুধু স্বায়ত্তশাসনের যোশেই হাঁকছেন না, তাঁদের মনের ভিতরে হয়তো ইহা ছাড়াও অন্য কিছু থাকতে পারে। আমার এ সংশোধনী প্রস্তাব তাদের সেই অব্যক্ত উদ্দেশ্যে বাধা প্রদান করে বলে সন্দেহ পোষণ করলে আমার কিছু আসে যায় না। স্বায়ত্তশাসনের বিরোধী আমি কখনও নই। কারণ, আওয়ামী লীগের মৌলিক দাবী স্বায়ত্তশাসন (হৈচৈ)।
Mr. Speker: অর্ডার, অর্ডার।
Mr. Abul Khair Rafiqul Hussain: জনাব স্পীকার সাহেব, আমার বন্ধুরা নিজেদের বিবেচনা নিজেরা করে আমার সময়টা নষ্ট না কররেই মেহেরবানী করে ভাল করবেন। (হৈচৈ) মিঃ স্পীকার, স্যার যে ১০/৫ জন লোক গোড়া থেকে আওয়ামী লীগকে গঠন করেছে আমি তাদের মধ্যে একজন। সুতরাং স্বায়ত্তশাসনের দাবীর সঙ্গে আমি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এতে কোন সন্দেহ নাই। সুতরাং আমি যে জায়গায় সংশোধনী দিয়েছে ওেসটুকু আমার বন্ধুরা অনুধাবন করলে বুঝতে পারবেন যে, এ সংশোধনী স্বায়ত্তশাসনের বিরোধী নয়। সে জায়গায় আমি বলেছি...... আমার বন্ধুদের যদি এর কোন শব্দ সম্বন্ধে আপত্তি করার থাকে, তবে এক-একটি শব্দ করে বলতে পারেন। স্বায়ত্তশাসন আছে, প্রদেশ আছে উৎকৃষ্ট শাসন ব্যবস্থা আছে, এবং সঙ্গে সঙ্গে সার্বভৌম ও অখণ্ড (হৈচৈ) পাকিস্তানও আছে। শুধু বন্ধুদের অতি-উৎসাহের ফলে পাকিস্তানের উপর যে বিপদের আশঙ্কা আছে তাহাই নাই।......
Mr. Ashutosh Singha: মিঃ স্পীকার, স্যার, যে প্রশ্নটা আজকে আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে সেটা আমাদের ধীরস্থিরভাবে আলোচনা করা উচিত- বিষাদপূর্ণ মন নিয়ে নয়, মুক্ত মন নিয়ে পাকিস্তানের স্বার্থক সম্মুখে রেখে আলোচনা করা দরকার। এ সম্পর্কে আমাদের পাকিস্তানের ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের শাসনতন্ত্রের প্রিএম্বল আছে। সে প্রিএম্বলের একটা ধারার প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
Where in the territories now included in or in accession with Pakistan and such other territories as may hereafter be included in or accede to Pakistan should form a federation, where in the provinces would be autonomous with such limitations on their powers and authority as might be prescribed.
আমি মনে করি আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন ও প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন একই অর্থবাচক, আর আমরা দলমত নির্বিশেষে সকলেই এই প্রিএম্বল গ্রহণ করেছি। তাহলে এটা নিশ্চিত বুঝা যায় যে, যারা এ প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন তারা এ কথা বলতে চায় না যে, পূর্ব পাকিস্তান কখনও স্বাধীন হয়ে যাবে। তবে তারা একথা বলে যে পূবব পাকিস্তানের উন্নয়নের জন্য বেশী ক্ষমতা দিতে হবে। সৈন্যবাহিনী হচ্ছে আসল জিনিস। যদি সৈন্যবাহিনী কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তৃত্বে থাকে তাহলে যারা আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবী করছেন তারা দেশকে কিভাবে ভাগ করতে চান সেটা আমি বুঝে উঠতে পারছি না।... দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের অর্থ এই নয় যে আমরা রাজনৈতিক স্বাধীনতা চাচ্ছি। আমরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ভোগ করতে চাই।...
Mr. Sheikh Mujibur Rahman: মিঃ স্পীকার, স্যার, প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের দাবী আমরা যে শুধু এই পরিষদে পাস করছি তাই নয়, এটা সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের দাবী। এই দাবীর ভিত্তিতে আমরা গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলাম। পূর্ব পাকিস্তানের সকল শ্রেণীর লোক এই দাবী সমর্থন করেছে। জাতীয় পরিষদে যখন শাসনতন্ত্র তৈরী হচ্ছিল তখন আমরা আওয়ামী লীগের ১২ জন সদস্য স্বায়ত্তশাসনের দাবী নিয়ে সংগ্রাম করেছিলাম। এটা করেছিলাম পাকিস্তানকে দুবর্বল করবার জন্য নয়, বরং পাকিস্তানকে সবল করার দীর্ঘ ৯ বৎসরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, কেন আমরা পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন চাই। অর্থ, বৈদেশিক নীতি সমস্ত কেন্দ্রের হাতে। পূর্ব পাকিস্তান যদি পশ্চিম পাকিস্তানের সংলগ্ন রাজ্য হতো তাহলে আমরা এ দাবী নাও করতে পারতাম। আজ আমরা দেখতে পাই যে পাকিস্তানে দুইটা অর্থনীতি চলছে- একটা পশ্চিম পাকিস্তানে আর একটা পূর্ব পাকিস্তানে। শ্রম শিল্পের উন্নয়ন পশ্চিম পাকিস্তানে হয়েছে, পূর্ব পাকিস্তানে হয় নই। মুসলিম লীগের আমলে পাকিস্তানে অর্থনৈতিক ভিত্তিতে জরিপ করার জন্য একটি কমিটি করা হয়েছিল। তাঁরা রিপোর্ট দিয়েছিলেন যে পূর্ব পাকিস্তানকে শিল্পায়িত করা হোক। মুসলিম লীগ গভর্নমেণ্ট সে রিপোর্ট চাপা দিয়েছে, আমাদের এ সংগ্রাম পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম নয়। আমরাও পশ্চিম পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের দাবী সমর্থন করি। এ দাবী হ'ল পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণের দাবী, এ দাবী পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের দাবী। এই স্বায়ত্তশাসনের দাবী রাজনৈতিক দাবী নয়, এই দাবী আমাদের বাঁচা-মরার দাবী। প্রদেশের বিক্রয় করের টাকা আমরা পুরাপুরি পাই না। অর্থের অভাবে আমরা উন্নতিমূলক কাজ করতে পারি না। বৈদেশিক মুদ্রাকর পাওনা অংশ পাইনা। অবস্থা কি-
দৈবজ্ঞ মরে কাঁথা বয়ে।”
ট্যাক্স যা দরকার তা ধরা হোক, তাতে আমাদের আপত্তি নাই। রাজনৈতিক স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি কিন্তু স্বায়ত্তশাসন আমাদের দরকার যাতে আমরা প্রদেশের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি করতে পারি। প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন ২১ দফার অন্যতম দাবী। আজ আমরা মন্ত্রী আছি কিন্তু কাল নাও থাকতে পারি, কিন্তু আমাদের ২১ দফার দাবী থাকবে এবং আমরা ২১ দফার দাবী সমর্থন করে যাব। যারা প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাবের বিরোধী করবে তাদের জনসাধারণ ক্ষমা করবে না। প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের জন্য আজ আমাদের নূতন করে শপথ গ্রহণ করতে
স্যার, এই দাবী শুধু এই পরিষদের দাবী নয় এটা জনসাধারনের দাবী। জনসাধারণ বাঁচতে চায়। এ দাবী পশ্চিম পাকিস্তানের জনসাধারণের দাবী। পূর্ব বাংলার জনসাধারণের সঙ্গে সেখানকার জনসাধারণের কোন পার্থক্য নাই। পূর্ব বাংলার জনসাধারণ বুভুক্ষু এবং সর্বহারা, আর পশ্চিম পাকিস্তানের জনসাধারণ না খেয়ে মরে। জনসাধারণের মধ্যে কোন বিভেদ নাই। আমি নির্দিষ্ট করে বলতে চাই যে পাকিস্তানের মুক্তির জন্য, পাকিস্তানের উন্নতির জন্য আমরা এই স্বায়ত্তশাসনের দাবী সমর্থন করি। জনসাধারণ বুঝে যে এ দাবী তাদের ন্যায্য দাবী। এ দাবী আমাদের বাঁচার দাবী, জনসাধারণের বাঁচার দাবী। এ দাবী কারো বিরুদ্ধে দাবী নয়। এই কথা বলেই আমি মহিউদ্দিন সাহেবের প্রস্তাব সম্পূর্ণ সমর্থন করছি।
The question that this Assembly is of opinion that the Government of East Pakistan should represent to the Government of Pakistan for taking suitable steps for providing autonomy to the Provinces with a view to better and more effective administration considering the geographical peculiarity between the two regions of Pakistan and for setting up an independent commission consisting of Federal and High Court Judges to determine the extent of autonomy necessary for the purpose, so that the solidarity and integrity of Pakistan cannot be at jeopardy, was then put and negatived.
The question that this Assembly is of opinion that the Government of East Pakistan should represent to the Government of Pakistan for taking suitable steps for providing full regional autonomy for east Pakistan leaving the following subjects only to be the concern of the Centre:
(1) Finance,
(2) Foreign Affairs, and
(3) Defense
was then put and negatived.
The question that this Assembly is of opinion that the Government of East Pakistan should represent to the Government of Pakistan for taking suitable steps for providing full provincial autonomy for East Pakistan leaving the following subjects to be the concern of the Centre:
(1) Currency,
(2) Foreign Affairs, and
(3) Defense
was then put and negatived.
The question that this Assembly is of opinion that the Government of East Pakistan should represent to the government of Pakistan for taking suitable steps for providing full Provincial Autonomy for East Pakistan leaving the following subjects only to be the concern of the Centre:
(1) Currency,
(2) Foreign Affairs, and
(3) Defense
was then put and agreed to.