বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম আইন, ১৯৭৪

রেজিস্টার্ড নং ডি এ-১

বাংলাদেশ        গেজেট
 অতিরিক্ত সংখ্যা
 কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত



 বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১০, ২০০৯




গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

মুদ্রণ ও প্রকাশনা শাখা

প্রজ্ঞাপন

তারিখ, ২৪ নভেম্বর ২০০৯

 নং ৫৯-(আঃমঃ) (মুঃপ্রঃ)-জ্বাখসবি/প্র-৩/বিবিধ(বিপিসি)-১৩/২০০৯—সরকার, কার্যবিধিমালা, ১৯৯৬ এর প্রথম তফসিল (বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের মধ্যে কার্যবণ্টন) এর আইটেম ৩০ এর ক্রমিক ৭ ও ১০ এবং মন্ত্রিপরিষদের বিগত ৩-৭-২০০০ ইং তারিখের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নিমিত্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম আইন, ১৯৭৪ (১৯৭৪ সনের ৬৯ নং আইন) নিম্নরূপ বাংলা অনুবাদ সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করিল।

মোঃ আনোয়ার হোসেন
সহকারী সচিব।

(ইংরেজীতে প্রণীত এবং জানুয়ারি ২০০৭ পর্যন্ত সংশোধিত আইনের অনূদিত বাংলা পাঠ)

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম আইন, ১৯৭৪

(১৯৭৪ সনের ৬৯ নং আইন)

[২৮ নভেম্বর, ১৯৭৪]

পেট্রোলিয়ামের অনুসন্ধান, উন্নয়ন, আহরণ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিশোধন এবং বিপণনের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন।

 যেহেতু, পেট্রোলিয়াম অনুসন্ধান, উন্নয়ন, আহরণ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিশোধন এবং বিপণনের উদ্দেশ্যে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

 সেহেতু, এতদ্দ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:—

 ১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, ব্যাপ্তি ও প্রবর্তন।— (১) এই আইন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম আইন, ১৯৭৪ নামে অভিহিত হইবে।

 (২) ইহা বাংলাদেশের সর্বত্র এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বাংলাদেশের মহাদেশীয় সোপানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।

 (৩) ইহা ১৯৭৪ সনের ২২ আগস্ট তারিখ হইতে বলবৎ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

 ২। সংজ্ঞা।—বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,—

(ক) “মহীসোপান” ও “অর্থনৈতিক অঞ্চল" অর্থ The Territorial Waters and Maritime Zones Act, 1974 (XXVI of 1974) এ সংজ্ঞায়িত অর্থ;
[১][***]

 (গ) “পেট্রোলিয়াম” অর্থ—

(১) গ্যাসীয়, তরল বা কঠিন যে কোন অবস্থায়ই হউক না কেন, প্রাকৃতিকভাবে গঠিত যে কোন হাইড্রোকার্বন;
(২) গ্যাসীয়, তরল বা কঠিন যে কোন অবস্থায়ই হউক না কেন, প্রাকৃতিকভাবে গঠিত যে কোন হাইড্রোকার্বনের সংমিশ্রণ; অথবা
(৩) গ্যাসীয়, তরল বা কঠিন যে কোন অবস্থায়ই হউক না কেন, প্রাকৃতিকভাবে গঠিত এক বা একাধিক হাইড্রোকার্বনের সংমিশ্রণ এবং নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক উপাদানের অর্থাৎ হাইড্রোজেন সালফাইড, নাইট্রোজেন, হিলিয়াম ও কার্বনডাইঅক্সাইডের সংমিশ্রণ;
(ঘ) “পেট্রোলিয়াম এগ্রিমেণ্ট” অর্থ উৎপাদন অংশীদারিত্বের এগ্রিমেণ্ট বা পেট্রোলিয়াম অপারেশন সংক্রান্ত অন্য যে কোনো এগ্রিমেণ্ট বা চুক্তি;
(ঙ) “পেট্রোলিয়াম অপারেশন” অর্থ পেট্রোলিয়ামের অনুসন্ধান, উন্নয়ন, আহরণ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিশোধন এবং বিপণন সংক্রান্ত যে কোন কর্মকাণ্ড।

 ৩। পেট্রোলিয়ামের অনুসন্ধান, ইত্যাদির ক্ষেত্রে সরকারের অধিকার।—(১) বাংলাদেশের ভূ-ভাগে, মহীসোপানে এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে পেট্রোলিয়ামের অনুসন্ধান, উন্নয়ন, আহরণ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিশোধন এবং বিপণনের জন্য সরকারের একচ্ছত্র অধিকার থাকিবে।

 (২) সরকার পেট্রোলিয়ামের অনুসন্ধান, উন্নয়ন, আহরণ, উৎপাদন প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিশোধন এবং বিপণনের জন্য পরিকল্পনা, উৎকর্ষসাধন, সংগঠন এবং বাস্তবায়নের কর্মসূচী গ্রহণ করিবে।

 (৩) বিশেষত এবং পূর্ববর্তী বিধানসমূহের সামগ্রিকতা ক্ষুণ্ন না করিয়া সরকার উপযুক্ত মনে করিলে, নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবে

(ক) পেট্রোলিয়াম অনুসন্ধানের জন্য ভূতাত্ত্বিক, ভূপদার্থিক বা অন্যান্য জরিপ পরিচালনা;
(খ) পেট্রোলিয়ামের অস্তিত্ব এবং উহার মজুদ পরিমাপের জন্য খনন এবং অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা;
(গ) অনুরূপ মজুদ প্রতিষ্ঠা করিবার উদ্দেশ্যে এইরূপ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ;
(ঘ) অনুরূপ মজুদ হইতে পেট্রোলিয়াম উৎপাদন এবং উহা পরিশোধনের কার্যক্রম গ্রহণ;
(ঙ) পেট্রোলিয়াম এবং উহার পরিশোধিত পণ্য বিক্রয়, বিতরণ, পরিবহন এবং অন্য উপায়ে হস্তান্তর;
(চ) পেট্রোলিয়ামের সহিত সম্পৃক্ত যে কোন সমীক্ষা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা কারিগরি গবেষণার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান;
(ছ) পরিসংখ্যান, ইস্তেহার এবং প্রবন্ধ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রকাশনার কার্যক্রম গ্রহণ করা;
(জ) পূর্বোক্ত বিষয়াবলীর সম্পূরক, আনুষঙ্গিক বা অনুবর্তী অথবা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত অন্য যে কোন কার্যক্রম গ্রহণ।

 ৪। পেট্রোলিয়াম এগ্রিমেণ্ট।—(১) সরকার পেট্রোলিয়াম অপারেশনের জন্য যে কোন ব্যক্তির সহিত পেট্রোলিয়াম এগ্রিমেণ্ট সম্পাদন করিতে পারিবে।

 (২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে পেট্রোলিয়াম এগ্রিমেণ্ট ব্যতীত কোন ব্যক্তি পেট্রোলিয়াম অপারেশনের জন্য অনুমতি গ্রহণ বা পরিচালনা করিতে পারিবে না:

 তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন প্রবর্তনের এক মাসের মধ্যে সরকার, যেরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ শর্তে, যে কোন ব্যক্তিকে, পেট্রোলিয়াম এগ্রিমেণ্ট ব্যতীত, অনধিক ছয় মাসের জন্য পেট্রোলিয়াম অপারেশনের জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।

 ৫। পরিদর্শনের ক্ষমতা।—(১) এই আইনে বা তদধীন প্রণীত বিধিমালায় বর্ণিত যে কোন উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোন ব্যক্তি-

(ক) পেট্রোলিয়াম অপারেশনে নিযুক্ত যেকোন ব্যক্তি কর্তৃক সংরক্ষিত বা প্রস্তুতকৃত যে কোন দলিল, রিটার্ণ, পরিকল্পনা, মানচিত্র এবং হিসাব পরিদর্শন করিতে পারিবে, এবং উহার উদ্ধৃতাংশ গ্রহণ ও প্রতিলিপি প্রস্তুত করিতে পারিবে;
(খ) পেট্রোলিয়াম অপারেশনে নিযুক্ত যে কোন ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত বা সংরক্ষিত স্থাপনা, কূপ, প্লাণ্ট, সরঞ্জামাদি ও পূর্তকর্ম এবং উহার মেরামত ও অবস্থা পরিদর্শন করিতে পারিবে;
(গ) পেট্রোলিয়াম অপারেশনে ব্যবহৃত এলাকা জরিপ ও পরিমাপ করিতে পারিবে;
(ঘ) পেট্রোলিয়ামের যে কোন মজুদের পরিমাণ পরিমাপ করিতে পারিবে
(ঙ) পেট্রোলিয়াম অপারেশনের সহিত সম্পৃক্ত কোন কোর, নমুনা, দলিল, রিটার্ণ, পরিকল্পনা, মানচিত্র ও হিসাব উপস্থাপনের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে;
(চ) পেট্রোলিয়াম অপারেশনে নিযুক্ত যে কোন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবে।

 (২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি দণ্ডবিধি, ১৮৬০ (১৮৬০ সনের ৪৫ নং আইন) এর ধারা ২১ এ সংজ্ঞায়িত অর্থে সরকারী কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন।

 ৬। পেট্রোলিয়াম অপারেশনে নিযুক্ত ব্যক্তিগণের দায়িত্ব।—(১) পেট্রোলিয়াম অপারেশনে নিযুক্ত কোন ব্যক্তির দায়িত্ব হইবে—

(ক) যথাযথ এবং দক্ষ কারিগর সুলভ পদ্ধতিতে এবং উত্তম তৈলক্ষেত্রের নিয়ম অনুসারে পেট্রোলিয়াম অপারেশন নিশ্চিতকরণ;
(খ) কোন স্থানে পেট্রোলিয়াম অপারেশন এমনভাবে পরিচালনা করা, যাহাতে নৌচলাচল, মৎস্য আহরণ এবং সমুদ্র ও সমুদ্র তলদেশের সম্পদ সংরক্ষণ কোনভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়;
(গ) ইকোলজি ও পরিবেশের সহিত সম্পৃক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনা করা।

 (২) বিশেষত এবং পূর্ববর্তী বিধানসমূহের সামগ্রিকতা ক্ষুণ্ন না করিয়া, কোন স্থানে পেট্রোলিয়াম অপারেশনে নিযুক্ত ব্যক্তি-

(ক) উক্ত এলাকায় পেট্রোলিয়াম বা পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করিবে এবং বর্জ্য বা পানির নিঃসরণ রোধ করিবে;
(খ) উক্ত এলাকায় পেট্রোলিয়াম বা অন্য যে কোন পদার্থের সহিত পানি অথবা ড্রিলিং ফ্লুইডের মিশ্রণ নিঃসরণ রোধ করিবে;
(গ) উক্ত এলাকা সংলগ্ন হউক বা না হউক, যে কোন এলাকার পেট্রোলিয়াম ধারণ-স্তরের ক্ষতি প্রতিরোধ করিবে;
(ঘ) উক্ত এলাকায় আবিষ্কৃত সকল পেট্রোলিয়াম পুল পৃথক রাখিবে;
(ঙ) তৈলক্ষেত্রে অনুসৃত উত্তম পদ্ধতি এবং প্রয়োজন ব্যতীত, পেট্রোলিয়াম পুলে কূপের মাধ্যমে পানি বা অন্য কোন পদার্থের প্রবেশ প্রতিরোধ করিবে।

 ৭। পেট্রোলিয়াম অপারেশনে প্রয়োজনীয় জমি জনস্বার্থে প্রয়োজন বলিয়া গণ্য হইবে।—পেট্রোলিয়াম অপারেশনের কার্যে যে কোন জমির প্রয়োজন হইলে, উহা জনস্বার্থে প্রয়োজন বলিয়া গণ্য হইবে।

 [২][৮। ক্ষমতার্পণ।—সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা, এই আইন বা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধিমালায় উল্লিখিত নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে, উহার যে কোন অধিকার এবং ক্ষমতা বাংলাদেশ তৈল এবং গ্যাস কর্পোরেশন তথা পেট্রোবাংলা, বা অন্য কোন সরকারী এজেন্সীকে অর্পণ করিতে পারিবে।]

 ৯। দণ্ড।—(১) কোন ব্যক্তি এই আইনের কোন বিধান বা তদধীন প্রণীত কোন বিধিমালা লংঘন করিলে অনধিক এক বৎসরের কারাদণ্ডে, বা অর্থ দণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

 (২) কোন ফার্ম, কোম্পানী বা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর অধীন শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে, অপরাধ সংঘটনের সময় উক্ত ফার্ম, কোম্পানী বা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় পরিচালনার জন্য সক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট ছিলেন এইরূপ প্রত্যেক অংশীদার, পরিচালক, ব্যবস্থাপক, সচিব বা উহার কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি উক্ত অপরাধ সংঘটিত করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, অপরাধটি তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছিল অথবা অপরাধ সংঘটনরোধের জন্য তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করিয়াছিলেন।  ১০। দায়মুক্তি।—এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীনে সরল বিশ্বাসে কৃত বা ঈপ্সিত কার্যের জন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন মামলা, অভিযোগ বা আইনী কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না।

 ১১। বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা।—সরকার, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবে।

 ১২। রহিতকরণ।—The Regulation of Mines, Oil-fields and Mineral Development (Government Control) Act, 1948 (XXIV of 1948) এবং the Petroleum Ordinance, 1974 (Ord. XVI of 1974) এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।


মোঃ মাছুম খান (উপ-সচিব), উপ-নিয়ন্ত্রক, বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়, ঢাকা কর্তৃক মুদ্রিত।

মোঃ আবুল কাসেম, অতিঃ নিয়ন্ত্রক, উপ-নিয়ন্ত্রক এর অতিরিক্ত দায়িত্বে, বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অফিস, তেজগাঁও, ঢাকা কর্তৃক প্রকাশিত। www.bgpress.gov.bd

  1. বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ (১৯৭৬ সনের ৫৪ নং অধ্যাদেশ) এর ধারা ২ দ্বারা দফা (খ) বিলুপ্ত।
  2. বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ (১৯৭৬ সনের ৫৪ নং অধ্যাদেশ) এর ধারা ৩ দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

এই লেখাটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কপিরাইটের অধীন। যদিও কপিরাইট আইন, ২০০০ অনুসারে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ কিছু প্রকাশনা বা তার পুনরুৎপাদন কপিরাইট লঙ্ঘনে অভিযুক্ত হবে না:

৭২ নিম্নলিখিত কার্যগুলি কপিরাইট লংঘন হইবে না, যথা:-
(থ) নিম্নে বর্ণিত বিষয়ের পুনরুৎপাদন অথবা প্রকাশনা, যথা:-
(অ) জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন ব্যতীত সরকারী গেজেটে প্রকাশিত হইয়াছে এমন যে কোন বিষয়;
(আ) সরকার কর্তৃক পুনরুৎপাদন বা প্রকাশ নিষিদ্ধ করা না হইলে, সরকার নিযুক্ত কমিটি, কমিশন, কাউন্সিল, বোর্ড বা অনুরূপ অন্যান্য সংস্থার রিপোর্ট পুনরুৎপাদন বা প্রকাশ;
(ই) ভাষ্য সহকারে পুনরুৎপাদিত বা প্রকাশিত হইয়াছে জাতীয় সংসদ কর্তৃক গৃহীত এমন কোন আইন;
(ঈ) সংশ্লিষ্ট আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্যান্য বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পুনরুৎপাদন বা প্রকাশনা নিষিদ্ধ করা না হইলে, উক্ত আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের রায় বা আদেশ পুনরুৎপাদন বা প্রকাশ;
(দ) নিম্নে বর্ণিত অবস্থায় জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন এবং তদধীনে প্রণীত কোন বিধি অথবা আদেশের যে কোন ভাষায় অনুবাদ তৈরী বা প্রকাশনা, যথা:-
(অ) উক্ত ভাষায় অনুরূপ আইন বা বিধি বা আদেশের অনুবাদ ইতোপূর্বে সরকার কর্তৃক তৈরী বা প্রকাশিত না হওয়া; অথবা
(আ) উক্ত ভাষায় অনুরূপ আইন বা বিধি বা আদেশের অনুবাদ ইতোপূর্বে সরকার কর্তৃক তৈরী ও প্রকাশিত হইয়া থাকিলে, অনুবাদটি জনগণের কাছে বিক্রয়ের জন্য মজুদ নাই:
তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ অনুবাদের উল্লেখযোগ্য স্থানে এই মর্মে একটি বিবৃতি থাকিতে হইবে যে, অনুবাদটি সরকার কর্তৃক প্রামাণিক মর্মে অনুমোদিত বা গৃহীত হয় নাই;
এই লেখাটি যারা নিজেদের প্রয়োজনে পুনঃব্যবহার করতে চান, তাঁদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, বেশ কিছু কার্যের পুনরুৎপাদন নিষিদ্ধ।