বাষ্পীয় রথারোহীদিগের প্রতি উপদেশ

বাষ্পীয় রথারোহীদিগের প্রতি উপদেশ

DIRECTIONS

for

A RAILWAY-TRAVELLER.

বাষ্পীয় রথারোহীদিগের

প্রতি উপদেশ

অর্থাৎ

যাঁহারা কলের গাড়ী আরোহণ করিয়া গমন করেন, তাহাদের তৎ-সংক্রান্ত বিঘ্ন নিবারণের উপায় প্রদর্শন

শ্রী অক্ষয়কুমার দত্ত প্রণীত

কলিকাতা

তত্ত্ববোধিনী সভার যন্ত্রালয়ে মুদ্রিত

১৭৭৬ শকাব্দ মাঘ মাস

বাষ্পীয়-রথারোহণ-বিধি

 যে জনপদে গমনাগমন ও দ্রব্যাদি বহনের সদুপায় নির্দ্ধারিত নাই, তত্রস্থ লোকের সমধিক শ্রীবৃদ্ধি হওয়া কোন রূপে সম্ভব নহে। যে দেশে দ্রুতগামী যান ও সুপরিষ্কৃত পথ বিদ্যমান নাই, সে দেশের লোক কদাচ সুসভ্য বলিয়া গণ্য হইতে পারে না। যে দেশে ঐ দুই বিষয়ের নিতান্ত অপ্রতুল, সে দেশের মনুষ্যেরা নিতান্ত অসভ্য তাহার সন্দেহ নাই। পথ ও যান বাণিজ্যের জীবন স্বরূপ। পণ্য সমুদায় যত সত্বর ও যত অল্পতর ব্যয়ে প্রেরিত ও বাহিত হয়, বাণিজ্য ব্যবসায়েরও তত উন্নতি হইতে থাকে। পৃথিবীর অন্যান্য বিষয়ের ন্যায় এ বিষয়েরও ক্রমে ক্রমে শ্রীবৃদ্ধি হইয়া আসিয়াছে। বিশেষতঃ, ৬০। ৬৫ বৎসরের মধ্যে বাষ্পীয় পোত ও বাষ্পীয় রথ[১] প্রস্তুত হইয়া পৃথিবীর যেরূপ উপকার সাধন করিয়াছে, তাহা বর্ণনা করিয়া শেষ করা যায় না। সংপ্রতি ইংরেজদিগের প্রসাদে এতদ্দেশে বাষ্পীয় রথ নির্ম্মিত হওয়াতে, ভবিষ্যতে ভারতবর্ষে বাণিজ্য-বিস্তার, জ্ঞান-প্রচার ও সুখ-সমৃদ্ধি সম্বর্দ্ধনের যেরূপ সম্ভাবনা রহিয়াছে, তাহা এক্ষণে মনে মনে পর্য্যালোচনা করিলেও প্রফুল্ল হইতে হয়।

 বাষ্পীয় রথ পরমাদ্ভ‌ুত বস্তু। উহা দ্বারা এক মাসের পথ এক দিবসে ভ্রমণ করিয়া অক্লেশে অশেষ বিষয়ের বাসনা সুসিদ্ধ করা যায়। উহা দ্বারা, দুর দেশীয় পণ্য সামগ্রী সকল অনায়াসে অবিলম্বে নানা স্থানে নীত হইয়া লোকের ভোগ-তৃষ্ণা চরিতার্থ করিতে পারে, স্বদেশ-দর্শনোৎসুক দুর-প্রবাসী ব্যক্তিরা বারম্বার স্বদেশ প্রত্যাগমন পূর্ব্বক পরম স্নেহভাজন স্বজন-বর্গের ও পরম প্রণয়াস্পদ সুহৃদ্বর্গের মুখাবলোকন করিয়া পুলকিত হইতে পারেন, এবং নৈসর্গিক শোভা-প্রিয় সহৃদয় মহাশয়েরা অল্প কালের মধ্যে অবলীলা-ক্রমে দেশ-বিশেষের ও স্থানবিশেষের বিভিন্ন শোভা সন্দর্শন করিয়া হৃদয়-পদ্ম বিকসিত করিতে পারেন। এক শতাব্দ পূর্ব্বে গুণাকর ভারতচন্দ্র রায় ছয় মাসের পথ ছয় দিবসে উত্তীর্ণ হওয়া অতি বিস্ময়কর অসম্ভব ব্যাপার বিবেচনা করিয়া বর্ণনা করিয়াছিলেন,[২] অধুনা বাষ্পীয় রথের প্রসাদে উহা সহজ ব্যাপার বলিয়া লোকসমাজে প্রসিদ্ধ হইয়াছে। কিন্তু নরলোকে নিরবচ্ছিন্ন কল্যাণকর পদার্থ অতীব দুর্লভ। শুভাশুভ একত্র এতাদৃশ মিলিত হইয়া রহিয়াছে, যে তাহাদিগকে পরস্পর পৃথক্ করা অসাধ্য বলিয়া বোধ হয়। ভারতবর্ষীয় সুরসিক কবি মহাশয়েরা চন্দ্রের কলঙ্ক ও মৃণালের কণ্টক এ বিষয়ের উদাহরণ স্বরূপ উপস্থিত করিয়া থাকেন। অশেষ-শুভ-সাধক বাষ্পীয় রথেও মধ্যে মধ্যে বিঘ্ন ঘটিয়া অনেক ব্যক্তি হত ও আহত হইয়া থাকে। কিন্তু দূরদর্শী পণ্ডিতেরা গণনা করিয়া দেখিয়াছেন, স্থল-পথে ও জল-পথে অন্যান্য যানে গড়ে যত ব্যক্তির শরীর পীড়া ও প্রাণ-বিয়োগ হয়, বাষ্পীয় রথে কদাচ তত ব্যক্তির হয় না। তাঁহারা অবধারণ করিয়াছেন, অধুনা বাষ্পীয় রথে উক্তপ্রকার যত বিঘ্ন উপস্থিত হয়, তাহার অর্দ্ধাংশ রথারূঢ় ব্যক্তিদিগের স্বকীয় দোষে উৎপন্ন হয়, আর অর্দ্ধাংশ রথ-সংক্রান্ত কর্ম্মচারীদিগের অনবধানতাদোষে ও অন্যান্য কারণে উৎপাদিত হইয়া থাকে। অন্যের দোষে যে সমস্ত বিঘ্ন উপস্থিত হয়, তাহার নিরাকরণ করা রথারোহীদিগের পক্ষে সম্ভব নয় বটে, কিন্তু তাঁহাদের আপন দোষে যাবতীয় বিঘ্ন উৎপন্ন হয়, তাঁহারা সাবধান ও সতর্ক হইয়া অবশ্যই তাহা নিবারণ করিতে পারেন। পশ্চাৎ বাষ্পীয়-রথ-সংক্রান্ত কতক গুলি প্রাকৃতিক নিয়ম ইংরেজি গ্রন্থ হইতে সংকলন করিয়া প্রকটন করা যাইতেছে; অপর সাধারণ সকলে সেই সমুদায় পালন করিতে যত্নবান্ হইলে, এবিষয়ে বিশেষরূপ উপকার দর্শিবে তাহার সন্দেহ নাই। সেই সকল নিয়ম অবহেলন করাতে, অন্যান্য দেশে অনেক লোকের অঙ্গ-ভঙ্গ ও প্রাণ-সংহার হইয়াছে।

প্রথম নিয়ম।

 যে সময়ে বাষ্পীয় রথ গমন করিতে থাকে, সে সময়ে তাহাতে আরোহণ ও তাহা হইতে অবতরণ করা কর্ত্তব্য নহে।

 বিজ্ঞ লোকেরা বিবেচনা করিয়া দেখিয়াছেন, বাষ্পীয় রথারোহীদিগের আপন অনবধানতা-দোষে প্রাণ-সংহারাদি যত দুর্ঘটনা ঘটে, তাহার শতাংশের চল্লিশ অংশ, এই নিয়ম লঙ্ঘন করাতে, ঘটিয়া থাকে।

 এতদ্দেশেও ইতিমধ্যেই বাষ্পীয় রথে বিঘ্ন ঘটনা হইয়া গিয়াছে। ন্যূনাধিক তিন মাস হইল, বেলুড় ও শ্রীরামপুরের নিকটে কয়েক খান গাড়ী পথ হইতে কিঞ্চিৎ সরিয়া পড়ে। তন্মধ্যে শ্রীরামপুরের নিকটে কতিপয় ব্যক্তি ভয়ে গাড়ী হইতে লম্ফ দিয়া ভূমিতলে পতিত হওয়াতে, শরীরে অত্যন্ত আঘাত পায়। তাহারা সে সময়ে উক্তরূপে অবতরণ না করিলে, কদাচ উক্তরূপ আঘাত প্রাপ্ত হইত না।

 যাঁহাদের বাষ্পীয় রথে সতত গমনাগমন করা অভ্যাস নাই, অনতিদ্রুতগামী বাষ্পীয় রথ অতি মৃদুগামী বলিয়া তাহাদের ভ্রম জন্মে। অতএব, যখন কোন বাষ্পীয় রথ অতিমাত্র মৃদু চলিতেছে বোধ হয়, তখনও তাহাতে আরোহণ ও তাহা হইতে অবরোহণ করা কর্ত্তব্য নহে।

দ্বিতীয় নিয়ম।

 বাষ্পীয় রথের অবৈধ স্থানে অবৈধ প্রকারে অবস্থান করা কর্তব্য নহে। পশ্চাল্লিখিত কয়েকটি উদাহরণ দৃষ্টি করিলেই, এ নিয়মের তাৎপর্য্যার্থ হৃদয়ঙ্গম হইবে।

 যে সময়ে বাষ্পীয় রথ চলিয়া যায়, সে সময়ে রথের জলক অর্থাৎ জানালা দিয়া হস্ত, পদ ও মস্তক প্রসারিত করিয়া দেওয়াতে, অনেক ব্যক্তি বস্তু-বিশেষে। আহত হইয়া হত হইয়াছে। অনেক ব্যক্তি, চঞ্চল স্বভাব প্রযুক্ত, এক গাড়ী হইতে অন্য গাড়ীতে লম্ফ দিয়া গমন করিবার সময়ে, পতিত ও আহত হইয়া প্রাণ-ত্যাগ করিয়াছে।

 বাষ্পীয় রথ-শ্রেণীর পশ্চাদ্ভাগে কতক গুলি আবরণ-শূন্য শকট থাকে। তাহার নিতান্ত প্রান্ত-ভাগে উপবেশন করাতে, ভূতলে পতিত হইয়া, অনেকের হস্ত পদাদি ভগ্ন হইয়া গিয়াছে।

 কোন কোন স্থানে বাষ্পীয় রথের ছাদের উপর বসিবার আসন থাকে। সে সকল আসনে উপবেশন করাতে, অনেকে অনেক প্রকারে আহত ও হত হইয়াছে।

 যত ব্যক্তি বাষ্পীয় রথে আরোহণ করিয়া আপনার অনবধানতা-দোষে হত ও ব্যথিত হয়, তাহার শত ভাগের প্রায় ২৮ ভাগ এই নিয়ম লঙ্ঘন করাতে, হইযা থাকে। বিজ্ঞ লোকেরা গণনা করিয়া দেখিয়াছেন, ঐ ২৮ ভাগের মধ্যে গড়ে ১৭ ভাগের মৃত্যু-ঘটনা হয়।

তৃতীয় নিয়ম।

 যিনি যে স্থানে গমন করিবার উদ্দেশে বাষ্পীয় রথে আরোহণ করেন, সে স্থানে উপনীত না হইয়া তাহা হইতে অবতরণ করা তাঁহার পক্ষে শ্রেয়ঃ নহে। যদি কেহ কোন কারণে এই সুচারু বিধান সর্ব্বতোভাবে পালন করিতে নিতান্ত অশক্ত হন, তবে যাহাতে পথের মধ্যে অধিক বার অবতরণ করিতে না হয়, তাহার উপায় করিবেন।

 পথের মধ্যে নানাপ্রকার বিঘ্ন ঘটিবার সম্ভাবনা আছে, এই নিমিত্ত এই ব্যবস্থা লিখিত হইল।

চতুর্থ নিয়ম।

 রথাবতরণের সময়ে, যে দিক্ দিয়া যেরূপে অবতরণ করিলে, কোন দুর্ঘটনা ঘটিবার সম্ভাবনা না থাকে, সেই দিক্ দিয়া সেইরূপে অবতীর্ণ হওয়াই বিধেয়। কোন্ দিক্‌ দিয়া কিরূপে অবতরণ করিলে বিঘ্ন ঘটিবার সম্ভাবনা থাকে না, তাহা পশ্চাৎ প্রদর্শিত হইতেছে।

 যে স্থলে বাষ্পীয় রথের দুই পথ পরম্পর পাশাপাশি থাকে, সে স্থলে সারথীরা প্রচলিত রীত্যনুসারে বাম দিকের পথ দিয়া আপন রথ চালনা করে। উভয় পথের রথ পরস্পর আহত হইয়া ভগ্ন না হয় এই নিমিত্ত, ঐ উভয় পথের মধ্য স্থলে কিঞ্চিৎ স্থান শূন্য থাকে। যে রথের যে দ্বার সেই স্থানের দিকে থাকে, সে রথের কোন ব্যক্তি সে দ্বার দিয়া সেই স্থানে অবরোহণ করিলে, পার্শ্ববর্ত্তী পথের রথ দ্বারা আহত হইবার বিলক্ষণ সম্ভাবনা। বাস্তবিক, এই বিধান পালন না করাতে, অনেক স্থানে অনেক ব্যক্তির প্রাণ-সংহার হইয়াছে! অতএব, সে দিক্ দিয়া অবতীর্ণ না হইয়া অন্য দিকের দ্বার দিয়া অবতরণ করাই শ্রেয়ঃ কল্প। তাহা হইলে, আর কোন বিপৎ-পাতের আশঙ্কা থাকেনা।

 বাষ্পীয় রথ হইতে অবতীর্ণ হইয়া পথের সন্নিধানে দণ্ডায়মান থাকা উচিত নহে, তৎক্ষণাৎ অন্তরে গমন করা কর্তব্য। নতুবা কোন গাড়ীর কোন বস্তু গাত্রে লাগিয়া আহত ও অপহত হইবার সম্ভাবনা।

পঞ্চম নিয়ম।

 বাষ্পীয় রথের পথের এক পার্শ্ব হইতে অপর পাশে গমন করা কর্ত্তব্য নহে। যদি নিতান্ত আবশ্যক হয়, তাহা হইলে, অতি সাবধানে সতর্ক হইয়া গমন করা বিধেয়।

 উক্ত পথের এক পার্শ্ব হইতে অপর পার্শ্বে গমন করিবার পূর্ব্বে, কোন দিক্ হইতে বাষ্পীয় রথ আগমন করিতেছে কি না তাহা দেখিবার নিমিত্ত, উভয় দিকে দৃষ্টিপাত করা কর্ত্তব্য। নতুবা সেই পথের অপর পারে উত্তীর্ণ না হইতে হইতে গাড়ী আসিয়া মারা পড়িতে অব্যাজ।

 বাষ্পীয় রথের পথ যে স্থানে বক্র হইয়া গিয়াছে, সে স্থানে একেবারে অধিক দূর দৃষ্টি-গোচর হয় না। উহার শব্দ শুনিয়া জানিতে পারা যায় বটে, কিন্তু বায়ু প্রতিকুল হইলে, তাহাও অধিক দুর হইতে কর্ণগোচর হয় না। অতএব, সে স্থানে উক্ত পথ পার হইবার প্রয়োজন হইলে, বিশিষ্টরূপ সতর্ক হইয়া পার হওয়া আবশ্যক।

ষষ্ঠ নিয়ম।

 যে সকল ব্যক্তি বাষ্পীয় রথে আরোহণ করিবার বাসনায় কোন আড‍্ডায় গিয়া প্রতীক্ষা করিয়া থাকে, তাহাদিগের অতি সাবধানে বিশিষ্টরূপ সতর্ক হইয়া থাকা আবশ্যক। নতুবা হঠাৎ গাড়ী আসিয়া মারা পড়িবার সম্ভাবনা। ইংলণ্ডে অনেক অনেক ব্যক্তি এরূপ স্থানে অনবহিত ও নিদ্রিত থাকাতে, রথ-চক্রে আহত হইয়া হত হইয়াছে।

সপ্তম নিয়ম।

 যে সময়ে বাষ্পীয় রথ চলিয়া যায়, সে সময়ে রথারোহীদিগের মধ্যে কাহারও কোন সামগ্রী পথের মধ্যে পড়িয়া গেলে, তাহা তুলিয়া লইবার নিমিত্ত, ভূতলে অবরোহণ করা উচিত নহে।  ইয়ুরোপের ও আমেরিকার বাষ্পীয়-রথারোহীদিগের মধ্যে অনেক ব্যক্তি টুপি রুমাল প্রভৃতি তুলিয়া লইবার নিমিত্ত, চলিষ্ণু রথ হইতে লম্ফ প্রদান করাতে, মৃত হইয়াছে। অকিঞ্চিৎকর অর্থ সামগ্রীর নিমিত্ত অমূল্য জীবন পরিহার করা অর্ব্বাচীনের কার্য্য।

অষ্টম নিয়ম।

 বাষ্পীয় রথ সকল যেরূপ শ্রেণি-বদ্ধ হইয়া চলিয়া যায়, ইদানীং অপর সাধারণ সকলেই তাহা দৃষ্টি করিয়াছেন। তন্মধ্যে সর্ব্বাগ্রবর্ত্তী ও সর্ব্ব-পশ্চাদ্বর্ত্তীরথে আরোহণ করিলে, অধিক বিঘ্ন ঘটিবার সম্ভাবনা। অতএব, যদি মধ্যবর্ত্তী রথ ক্রেয়া করিবার উপায় থাকে, তবে তাহাই ক্রেয়া করা উচিত।

 যদি এক পথে দুই রথ-শ্রেণী অগ্র পশ্চাৎ গমন করে, আর পশ্চাদ্বর্ত্তিনী রথশ্রেণী আসিয়া কোন পুরোবর্ত্তিনী রথশ্রেণীর পশ্চাদ্ভাগে আঘাত করে, তাহা হইলে, ঐ পশ্চাদ্বর্ত্তিনী রথ-শ্রেণীর সম্মুখবর্ত্তী রথ ও পুরোবর্ত্তিনী রথ-শ্রেণীর পশ্চাদ্বর্ত্তী রথ সমুদয় আহত ও ভগ্ন হইতে পারে। মধ্য-স্থলের রথ সমুদায় তাদৃশ আহত হয় না। যে রথ খানি রথ-শ্রেণীর মধ্যস্থলের যত নিকটবত্তী, সে রথে উক্তরূপ বিঘ্ন ঘটিবার সম্ভাবনা তত অল্প।

 যদি সর্ব্বাগ্রবর্ত্তী রথ, কোন বস্তুতে দৈবাৎ লাগিয়া; লোহার পাটির বহির্ভূত হইয়া পড়ে, তবে তাহার নিকটবর্ত্তী রথ সমুদায় আঘাত পাইয়া, তত্রস্থ ব্যক্তিদিগের হত ও আহত হইবার অধিক সম্ভাবনা। মধ্য-স্থলের রথ আহত হইবার তাদৃশ সম্ভাবনা নাই।

 গত ২০ এ পৌষ বৈঁচি গ্রামের আড‍্ডায় উক্তরূপ এক দুর্ঘটনা ঘটিয়া গিয়াছে। সে দিবস ঐ স্থানে বাষ্পীয় রথের পথে এক খান গাড়ী দণ্ডায়মান ছিল, এমন সময়ে এক রথ-শ্রেণী রাণীগঞ্জ হইতে কলিকাতাভিমুখে আগমন করিতে করিতে উক্ত আড‍্ডায় উপস্থিত হইয়া, ঐ গাড়ীতে লাগিয়া, বিলক্ষণ, আঘাত পায়। ভাগ্যক্রমে রথারোহীদিগের মধ্যে কাহারও অঙ্গ-পীড়া, ও প্রাণ বধ হয় নাই, কিন্তু তাহাদিগকে অতিশয় ক্লেশ ভোগ করিতে হইয়াছিল। তাঁহারা বৈঁচি হইতে পেঁড়ো পর্যন্ত পদব্রজে আগমন করেন, তথা হইতে অন্য রথে আরোহণ করিয়া হাওড়ায় আসিয়া উপনীত হন।

নবম নিয়ম।

 স্থানে স্থানে বাষ্পীয় রথের পথের নিম্ন অথবা উর্দ্ধ‌ দিয়া লোক জন ও গাড়ী পাল‍্কী প্রভৃতি পার হইবার নিমিত্ত স্বতন্ত্র পথ প্রস্তুত হয়। কিন্তু কোন কোন স্থানে ঐ উভয় পথই ভূমিতলে একত্র মিলিত হইয়া চতুষ্পথ অর্থাৎ চৌমাতা হইয়া থাকে। হাওড়ায় লোকজন-গমনাগমনের পথ উর্দ্ধ‌ দিয়া, এবং বালি, কোণনগর প্রভৃতি অনেক স্থানে নিম্ন দিয়া গিয়াছে। কিন্তু শালিখা ও শেওড়াপুলির পশ্চিমে উভয় পথই ভূমিতলে এক স্থানে মিলিত হইয়াছে; তন্মধ্যে কোন পথ অধঃ বা উর্দ্ধ‌ দিয়া যায় নাই। এরূপ স্থানে গামানাগমন করিবার প্রয়োজন হইলে, অতি সাবধানে সতর্ক হইয়া গমন করা কর্ত্তব্য। দ্বারবানের অনুমতি গ্রহণ না করিয়া গমন করা উচিত নয়।

দশম নিয়ম।

 বাষ্পীয় রথ সম্বন্ধীয় নির্দিষ্ট নিয়মনুসারে যে যে সময়ে যে যে স্থানে উহা স্থগিত করিবার বিধি আছে, তদ্ভিন্ন অন্য সময়ে অন্য স্থানে স্থগিত হইলে, তৎক্ষণাৎ উহা হইতে অবতরণ করা শ্রেয়ঃকল্প। কিন্তু অবতরণ করিবার সময়ে এই পুস্তকের লিখিত প্রথম, চতুর্থ ও পঞ্চম নিয়ম পালন করিতে হইবে।

 বাষ্পীয় রথের গমনাগমনের যেরূপ সাধারণ নিয়ম নির্দ্দিষ্ট আছে, তদনুসারে উহা যে স্থানে স্থগিত হওয়া বিহিত নহে, কোন দুর্দৈব ঘটিয়া সেই স্থানে স্থগিত হইয়া থাকিলে, পশ্চাদগামিনী অন্য রথশ্রেণী আসিয়া তাহার উপর পতিত হইতে পারে। বাস্তবিক, অন্যান্য দেশে একারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটিয়া থাকে।

একাদশ নিয়ম।

 যে পথে বাষ্পীয় রথ সচরাচর মনুষ্য ও পণ্য লইয়া গমনাগমন করে, সেই পথেই মধ্যে মধ্যে সংবাদ প্রেরণ ও কোন উপস্থিত প্রয়োজন সাধনার্থ অতিশীঘ্রগামী নৈমিত্তিক রথ প্রেরিত হইয়া থাকে। নিতান্ত আবশ্যক না হইলে, ঐ সকল অতিশীঘ্রগামী রথে আরোহণ করা কর্ত্তব্য নহে।

 ঐ সমস্ত নৈমিত্তিক রথ অত্যন্ত প্রচও বেগে গমন করে। কোন দুর্ঘটনা ঘটিবার উপক্রম দেখিলে, অনতিশীঘ্রগামী পণ্যবাহী রথ অনায়াসে স্থগিত করা যায়, কিন্তু প্রচণ্ডগামী নৈমিত্তিক রথ সহসা স্থগিত করা সুকঠিন। এই নিমিত্ত, তাহাতে আরোহণ করিলে, অবিলম্বে দুর্দৈব ঘটিয়া আহত ও অপহত হইবার অধিক সম্ভাবনা। যদিও এতদ্দেশে উক্তরূপ প্রয়োজন সাধনার্থ উক্ত প্রকার প্রচণ্ডগামী বাষ্পীয় রথ অদ্যাপি প্রেরিত হইতে আরম্ভ হয় নাই, কিন্তু ভবিষ্যতে অবশ্য হইবে তাহার সন্দেহ নাই।

দ্বাদশ নিয়ম।

 বাষ্পীয় রথ সংক্রান্ত যত দুর্দৈব ঘটে, তাহার মধ্যে রাত্রি-কালে ও কুজ‍্ঝটিকার সময়েই অধিক ঘটিয়া থাকে। অতএব, পার্য্যমাণে তত্তৎ সময়ে বাষ্পীয় রথে ভ্রমণ করা কর্তব্য নহে।

ত্রয়োদশ নিয়ম।

 বাষ্পীয় রথের পথে অন্য গাড়ীতে আরোহণ করিয়া ভ্রমণ করা বিধেয় নহে।

 বাষ্পীয় রথ-শ্রেণীর পশ্চাদ্ভাগে পণ্য সামগ্রী লইয়া যাইবার নিমিত্ত যে সমস্ত আবরণ-শূন্য শকট থাকে, ইয়ুরোপে কেহ কেহ সেই সকল শকটের উপর আপন গাড়ী স্থাপন করিয়া সেই গাড়ীতে অরোহণ করিয়া যান। কিন্তু তাহাতে অধিক বিঘ্ন ঘটিবার সম্ভাবনা। বাষ্পীয় রথ অন্যান্য গাড়ী অপেক্ষায় কঠিন ও দৃঢ়, অল্প আঘাতে ভগ্ন ও বিপর্য্যস্ত হইয়া পড়ে না, এবং ধূমনালী অর্থাৎ ধোঁয়ার চোঙ্ হইতে যে সমস্ত প্রজ্বলিত অঙ্গার উৎক্ষিপ্ত হয় তাহাতেও দগ্ধ হয় না। কিন্তু অন্য অন্য গাড়ী অত্যল্প আঘাতেই ভগ্ন ও বিপর্য্যস্ত হইতে পারে, এবং উক্তরূপ অগ্নিময় অঙ্গার-সংযোগ দ্বারা অনায়াসেই দগ্ধ হইতে পারে। বিলাতে এক বিবীর গাড়ীতে এইরূপ আগুন লাগিয়া তাহার পরিচারিকার প্রাণ-বিয়োগ হয়।

 ঐ সকল আবরণ-শূন্য শকট অন্যান্য গাড়ীর পশ্চাতে বাঁধা থাকে, অতএব অস্টম নিয়মানুসারে তাহাতে অধিকতর বিঘ্ন ঘটিতে পারে। তাহার উপর অন্য গাড়ী স্থাপন করিলে, সে গাড়ীতেও সুতরাং অধিক দুর্ঘটনা ঘটিবার সম্ভাবনা।

এতদ্দেশীয় বাষ্পীয় রথ সংক্রান্ত বিধান।

  এক্ষণে রবিবারে গাড়ী চলে না।

  যে যে আড্‌ডা হইতে যে যে সময়ে গাড়ী চলিয়া থাকে, সেই সেই আড্‌ডায় সেই সেই সময়ের ১৫ মিনিট পূর্ব্বে উপস্থিত হইলে ভাল হয়। হাওড়ায়রাণীগঞ্জে সেই সেই সময়ে, এবং অন্য অন্য আড্‌ডায় তাহার ৩ মিনিট পূর্ব্বে, টিকিট বিক্রয় বন্ধ হইয়া থাকে।

  যিনি কলের গাড়ী আরোহণ করিয়া এক দিনের মধ্যে কোন আড্‌ডায় গমন ও তথা হইতে আগমন করিবার বাসনা করেন, তিনি তদর্থে একেবারে একখান টিকিট ক্রয় করিতে পারেন। সে টিকিটকে ইংরেজিতে ‘ডবলজর্নি-টিকিট’ কহে। কিন্তু যাঁহারা তৃতীয় শ্রেণীর গাড়ীতে গমন করিবেন, তাঁহারা এক্ষণে সে টিকিট পাইবেন না।

  যে সকল শিশুর বয়ঃক্রম এক বৎসরের অধিক নহে, তাহাদিগকে ভাড়া দিতে হয় না। যাহাদের বয়ঃক্রম আট বৎসরের অনধিক, তাহাদিগের নিকট হইতে অর্দ্ধেক ভাড়া গৃহীত হইয়া থাকে।

  রথারোহীদিগের মধ্যে যিনি দ্রব্যজাত সঙ্গে লইয়| যাইবেন, তাঁহাকে ঐ দ্রব্যের ভাড়া তিন মাইলে প্রতি মণে এক আনা করিয়া দিতে হইবে। কিন্তু যদি নিজ ব্যবহারের নিমিত্ত এমন কোন সামগ্রী লইয়া যান যে তাহা তাঁহার বসিবার আসনের নিম্নদেশে ধরিতে পারে, তাহা হইলে আর সেই অল্প বস্তুর নিমিত্ত ভাড়া দিতে হইবে না। যাঁহারা প্রথম শ্রেণীর গাড়ীতে গমন করিবেন, তাঁহারা বিনা ভাড়ায় ১॥০ দেড় মণ পর্যন্ত সামগ্রী লইয়া যাইতে পারিবেন।

  যে পুলিন্দায় পণ্য সামগ্রী না থাকিয়া অন্য দ্রব্য থাকে, তাহার ভাড়া নিম্ন লিখিত নিয়মানুসারে গৃহীত হয়।

 যে পুলিন্দা পাঁচ সেরের অধিক নহে, তাহার ভাড়া প্রতি আড্‌ডায় আট আনা। পাঁচ সেরের অধিক ও পঁচিশ সেরের অনধিক ওজনের পুলিন্দার ভাড়া প্রতি আড্‌ডায় এক টাকা।

  গাড়ী, পাল্কী, ঘোড়াও অবিলম্বে কলের গাড়ীতে প্রেরিত হইতে আরম্ভ হইবে। তাহার নিয়ম ও ভাড়ার বিষয় সকল আড্‌ডাতেই জানিতে পারা যায়। সে সমুদায় যে আড্‌ডা হইতে প্রেরিত হইব, তথায় গাড়ী ছাড়িবার অন্যূন অর্দ্ধ ঘণ্ট| পূর্ব্বে তাহা উপস্থিত করিতে হইবে।

  বাষ্পীয়-রথ-সংক্রান্ত কর্ম্মচারীরা কোন ব্যক্তির নিকট হইতে পারিতোষিকাদি গ্রহণ করিলে, তৎক্ষণাৎ পদচ্যুত হইবেন। যদি তাঁহারা কোন ব্যক্তির প্রতি কোন প্রকার অনিয়মিত অথবা অশিষ্ট ব্যবহার করেন, তাহা হইলে, হাওড়ার কর্ম্মাধ্যক্ষ শ্রীযুক্ত জান্ হজ্‌সন্ সাহেবের নিকট তাঁহাদের নামে অভিযোগ হইতে পারিবে।

এতদ্দেশীয় বাষ্পীয় রথে গমনাগমনের সময় নিৰূপণ ও ভাড়ার বিবরণ।

হাওড়া হইতে রাণীগঞ্জাভিমুখে গমনের সময় নিৰূপণ ও ভাড়ার বিবরণ।

হাওড়া হইতে কোন্ আড্‌ডা কত মাইল[৩] প্রাতঃকালে যে গাড়ী ১০॥টার সময়ে হাওড়া হইতে ছাড়ে, তাহা যে আড্‌ডা হইতে যে সময়ে প্রস্থান করে তাহার বিবরণ অপরাহ্নে যে গাড়ী হাওড়া হইতে ৫॥টার সময়ে ছাড়ে, তাহা যে আড্‌ডা হইতে যে সময়ে প্রস্থান করে, তাহার বিবরণ। ভাড়ার বিবরণ
কেবল গমনের ভাড়া একেবারে গমন ও আগমন উভয়ের ভাড়া
আড্‌ডার নাম সময় সময় প্রথম শ্রেণী দ্বিতীয় শ্রেণী তৃতীয় শ্রেণী প্রথম শ্রেণী দ্বিতীয় শ্রেণী
    ঘণ্টা মিনিট ঘণ্টা মিনিট          
  আড্‌ডারহাওড়া   ঘণ্টা১০ ৩০ ঘণ্টা ৩০ .... .... .... .... ....
১২১ আড্‌ডারবালি   ঘণ্টা১০ ৪৫ ঘণ্টা ৪৬ ৸৹ ৷৴৹ ৴১৹ ১৲ ৷৶৹
১২১ আড্‌ডারকোণনগর   ঘণ্টা১০ ৫৪ ঘণ্টা ৫৬ ১৵৹ ৷৵৹ ৵৹ ১৷৷৹ ৷৷৹
১২১১২ আড্‌ডারশ্রীরামপুর   ঘণ্টা১১ ৫৪ ঘণ্টা ৫৬ ১৷৷৹ ৷৷৴৹ ৶৹ ২৲ ৸৹
১২১১৬ আড্‌ডারভদ্রেশ্বর   ঘণ্টা১১ ১৩ ঘণ্টা ২০ ২৲ ৸৹ ৷৹ ২৸৹ ১৲
১২১২০ আড্‌ডারচন্দননগর   ঘণ্টা১১ ৩০ ঘণ্টা ৩৩ ২৷৷৹ ৸৶৹ ৷৴৹ ৩৷৵৹ ১৷৹
১২১২৪ আড্‌ডারহুগলি   ঘণ্টা১১ ৪০ ঘণ্টা ৪৫ ৩৲ ১৵৹ ৷৵৹ ৪৲ ১৷৷৹
১২১২৯ আড্‌ডারমগরা   ঘণ্টা১১ ৫২ ঘণ্টা ৪৫ ৩৷৷৵৹ ১৷৵৹ ৷৷৹ ৫৲ ১৸৴৹
১২১৩৮ আড্‌ডারপেঁড়ো   ঘণ্টা১২ ১৮ ঘণ্টা ৩০ ৪৸৹ ১৸৴৹ ৷৷৵৹ ৬৷৹ ২৴৵৹
১২১৫১ আড্‌ডারমেমারী   ঘণ্টা১২ ৫৫ এই গাড়ী কেবল পেঁড়ো পর্য্যন্ত যায়। ৬৷৷৹ ২৴৵৹ ৸৴৹ .... ....
১২১৬৬ আড্‌ডারবর্দ্ধমান
পহুছে
ছাড়ে
ঘণ্টা
ঘণ্টা
৩০
৩০
৮৷৹ ৩৲ ১৲ .... ....
১২১৭৫ আড্‌ডারনবাবহাট   ঘণ্টা ২২ ৯৷৵৹ ৩৷৷৹ ১৶৹ .... ....
১২১৮১ আড্‌ডারবাহুলার রাস্তা   ঘণ্টা ৩৭ ১০৵৹ ৩৸৴৹ ১৷১৹ .... ....
১২১৮৭ আড্‌ডারখড়ী নদী   ঘণ্টা ৫৭ ১০৸৵৹ ৪৵৹ ১৷৵৹ .... ....
১২১৯০ আড্‌ডারমানকর   ঘণ্টা ৫৭ ১১৷৹ ৪৶৹ ১৷৵১৹ .... ....
১২১৯৭ আড্‌ডারপানাগর   ঘণ্টা ২৪ ১২৲ ৪৷৷৹ ১৷৷৹ .... ....
১০৩ আড্‌ডারবাঁশকোপা   ঘণ্টা ৩৯ ১২৸৵৹ ৪৸৴৹ ১৷৷৵৹ .... ....
১০৮ আড্‌ডারতম্‌লা নালা   ঘণ্টা ৫৬ ১৩৷৷৹ ৫৲ ১৷৷৶৹ .... ....
১১৫ আড্‌ডারঅণ্ডাল   ঘণ্টা ১৩ ১৪৷৵৹ ৫৷৵৹ ১৸১৹ .... ....
১২১ আড্‌ডাররাণীগঞ্জ [পহুছে] ঘণ্টা ৩০ ১৫৵৹ ৫৷৷৵৹ ১৸৵৹ .... ....

রাণীগঞ্জ হইতে হাওড়াভিমুখে গমনের সময় নিৰূপণ ও ভাড়ার বিবরণ।

রাণীগঞ্জ হইতে কোন্ আড্‌ডা কত মাইল প্রাতঃকালে যে গাড়ী রাণীগঞ্জ হইতে ১০টা ৪৫ মিনিটের সময়ে ছাড়ে, তাহা যে আড্‌ডা হইতে যে সময়ে প্রস্থান করে তাহার বিবরণ অপরাহ্নে যে গাড়ী পেঁড়ো হইতে ৭টা ৩০ মিনিটের সময় কলিকাতাভিমুখে প্রস্থান করে, তাহা যে আড্‌ডা হইতে যে সময়ে ছাড়ে, তাহার বিবরণ। ভাড়ার নিয়ম
কেবল গমনের ভাড়া একেবারে গমন ও আগমন উভয়ের ভাড়া
আড্‌ডার নাম সময় সময় প্রথম শ্রেণী দ্বিতীয় শ্রেণী তৃতীয় শ্রেণী প্রথম শ্রেণী দ্বিতীয় শ্রেণী
    ঘণ্টা মিনিট ঘণ্টা মিনিট          
  আড্‌ডাররাণীগঞ্জ   ঘণ্টা১০ ৪৫ ...... ...... ...... ...... ...... ...... ......
১২১ আড্‌ডারঅণ্ডাল   ঘণ্টা১১ ৪৫ ...... ...... ৸৹ ৷৴৹ ৴১৹ ...... ......
১২১১৩ আড্‌ডারতম্‌লা নালা   ঘণ্টা১১ ২২ ...... ...... ১৷৷৵৹ ৷৷৵৹ ৶৹ ...... ......
১২১১৮ আড্‌ডারবাঁশকোপা   ঘণ্টা১১ ৩৪ ...... ...... ২৷৹ ৸৴৹ ৷৹ ...... ......
১২১২৪ আড্‌ডারপানাগর   ঘণ্টা১১ ৫১ ...... ...... ৩৵৹ ১৵৹ ৷৵৹ ...... ......
১২১৩১ আড্‌ডারমানকর   ঘণ্টা১২ ৫১ ...... ...... ৩৸৵৹ ১৷৶৹ ৷৶১৹ ...... ......
১২১৩৪ আড্‌ডারখড়ীনদী   ঘণ্টা১২ ২১ ...... ...... ৪৷৹ ১৷৷৹ ৷৷৹ ...... ......
১২১৪০ আড্‌ডারবাহুলার রাস্তা   ঘণ্টা১২ ৩৬ ...... ...... ৫৲ ১৸৴৹ ৷৷৴১৹ ...... ......
১২১৪৬ আড্‌ডারনবাবহাট   ঘণ্টা১২ ৫১ ...... ...... ৫৸৹ ২৵৹ ৸৵৹ ...... ......
১২১৫৫ আড্‌ডারবর্দ্ধমান
পহুছে
ছাড়ে
ঘণ্টা
ঘণ্টা
১৫
৪৫
......
......
......
......
৬৸৵৹ ২॥৵৹ ৸৵৹ ...... ......
১২১৭০ আড্‌ডারমেমারী   ঘণ্টা ২৫ ...... ...... ৮॥৵৹ ৩৷৹ ১৴৹ ...... ......
১২১৮৩ আড্‌ডারপেঁড়ো   ঘণ্টা ২৫ ঘণ্টা ৩০ ১০৷৵৹ ৩৸৴৹ ১৷৵৹ ...... ......
১২১৯২ আড্‌ডারমগরা   ঘণ্টা ২৩ ঘণ্টা ৩০ ১১॥৹ ৪৷৹ ১৷৵৹ ১॥৹ ॥৴৹
১২১৯৭ আড্‌ডারহুগলি   ঘণ্টা ৩৫ ঘণ্টা ১৫ ১২৵৹ ৪॥৹ ১॥৹ ২॥৹ ১৲
১০১ আড্‌ডারচন্দননগর   ঘণ্টা ৫২ ঘণ্টা ২৮ ১২॥৵৹ ৪॥৶৹ ১॥৴৹ ৩৵৹ ১৶৹
১০৫ আড্‌ডারভদ্রেশ্বর   ঘণ্টা ৫২ ঘণ্টা ৪০ ১৩৵৹ ৪৸৵৹ ১॥৵৹ ৩৸৹ ১৷৶৹
১০৯ আড্‌ডারশ্রীরামপুর   ঘণ্টা ১২ ঘণ্টা ৫৪ ১৩॥৵৹ ৫৴৹ ১॥৶৹ ৪॥৹ ১৸৹
১১২ আড্‌ডারকোণনগর   ঘণ্টা ২১ ঘণ্টা ৫৪ ১৪৲ ৫৷৹ ১৸৹ ৫৲ ১৸৵৹
১১৫ আড্‌ডারবালি   ঘণ্টা ৩০ ঘণ্টা ১৪ ১৪৷৵৹ ৫৷৴১৹ ১৸১৹ ৫॥৹
১২১ আড্‌ডারহাওড়া [পহুছে] ঘণ্টা ৪৫ ঘণ্টা ৩০ ১৫৵৹ ৫॥৵৹ ১৸৵৹ ৬॥৹ ২৷৵৹

  1. কলের গাড়ি।
  2. কাঞ্চীপুর বর্দ্ধমান ছয় মাসের পথ।
    ছয় দিনে উত্তরিল অশ্ব মনোরথ॥
    বিদ্যাসুন্দর।

  3. ২ মাইল ৯৬০ হাতে এক ক্রোশ।

এই লেখাটি ১ জানুয়ারি ১৯২৯ সালের পূর্বে প্রকাশিত এবং বিশ্বব্যাপী পাবলিক ডোমেইনের অন্তর্ভুক্ত, কারণ উক্ত লেখকের মৃত্যুর পর কমপক্ষে ১০০ বছর অতিবাহিত হয়েছে অথবা লেখাটি ১০০ বছর আগে প্রকাশিত হয়েছে ।