পাতা:গল্পগুচ্ছ (প্রথম খণ্ড).djvu/২৫১: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

JoyBot (আলোচনা | অবদান)
OCRed
(কোনও পার্থক্য নেই)

২২:২৫, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যবর্তিনী Հ8Գ তাহা নিবারণ নিজেই বুঝিতে পারিল না। একেবারে পাগলের মতো হইয়া হরমুন্দরীর কাছে গেল, বলিল, “সর্বনাশ হইয়াছে।” হরমুন্দরী সমস্ত শুনিয়া একেবারে পাংশুবর্ণ হইয়া গেল । নিবারণ কহিল, "শীঘ্ৰ গহনাগুলো বহির করে ।” হরমুন্দরী কহিল, “সে তো আমি সমস্ত ছোটোবউকে দিয়াছি।” নিবারণ নিত্যস্ত শিশুর মতো অধীর হইয়া বলিতে লাগিল, "কেন দিলে ছোটোবউকে । কেন দিলে। কে তোমাকে দিতে বলিল ।” হরমুন্দরী তাহার প্রকৃত উত্তর না দিয়া কহিল, “তাহাতে ক্ষতি কী হইয়াছে। সে তো আর জলে পড়ে নাই ।” ভীরু নিবারণ কাতর স্বরে কহিল, “তবে যদি তুমি কোনো ছুতা করিয়া তাহার কাছ হইতে বাহির করিতে পার । কিন্তু, আমার মাথা খাও, বলিয়ে না যে, আমি চাহিতেছি কিম্বা কী জন্য চাহিতেছি ।” তখন হরমুন্দরী মর্মাস্তিক বিরক্তি ও ঘৃণা-ভরে বলিয়া উঠিল, “এই কি তোমার ছলছুতা করিবার, সোহাগ দেখাইবার সময় । চলে * বলিয়া স্বামীকে লইয়া ছোটোবউয়ের ঘরে প্রবেশ করিল। ছোটোবউ কিছু বুঝিল না । সে সকল কথাতেই বলিল, “সে আমি কী জানি ।” ংসারের কোনো চিস্তা যে তাহাকে কখনো ভাবিতে হইবে এমন কথা কি তাহার সহিত ছিল । সকলে আপনার ভাবনা ভাবিবে এবং সকলে মিলিয়া শৈলবালার আরাম চিন্তা করিবে, অকস্মাৎ ইহার ব্যতিক্রম হয়, এ কী ভয়ানক অন্যায়। তখন নিবারণ শৈলবালার পায়ে ধরিয়া কাদিয়া পড়িল ৷ শৈলবালা কেবলই বলিল, “সে আমি জানি না। আমার জিনিস আমি কেন দিব ।” নিবারণ দেখিল, ওই দুর্বল ক্ষুদ্র সুন্দর সুকুমারী বালিবfট লোহার সিন্দুকের অপেক্ষাও কঠিন। হরমুন্দরী সংকটের সময় স্বামীর এই দুর্বলতা দেখিয়া ঘৃণায় জর্জরিত হইয়া উঠিল। শৈলবালার চাবি বলপূর্বক কাড়িয়া লইতে গেল । শৈলবালা তৎক্ষণাং চাবির গোছা প্রাচীর লঙ্ঘন করিয়া পুষ্করিণীর মধ্যে ফেলিয়া দিল ।