পাতা:গল্পগুচ্ছ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৯: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
Mohaguru (আলোচনা | অবদান)
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh||একটা আষাঢ়ে গল্প|১৩৫}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
সদাগরের পুত্রকে হাঁড়ির মতাে গলা করিয়া অবিচলিত গম্ভীরমুখে জিজ্ঞাসা করিল, “তােমরা বিধানমতে চলিতেছ না কেন।”
একটা আষাঢ়ে গল্প 》○○

সদাগরের পুত্রকে হাড়ির মতো গলা করিয়া অবিচলিত গম্ভীরমুখে জিজ্ঞাসা করিল, “তোমরা বিধানমতে চলিতেছ না কেন ।”
তিন বন্ধু উত্তর করিল, “আমাদের ইচ্ছা ।” হাড়ির মতো গল করিয়া তাসরাজ্যের তিন অধিনায়ক স্বপ্নাভিভূতের মতো বলিল, “ইচ্ছা ? সে বেটা কে ৷”
{{gap}}তিন বন্ধু উত্তর করিল, “আমাদের ইচ্ছা।”
{{gap}}হাঁড়ির মতাে গলা করিয়া তাসরাজ্যের তিন অধিনায়ক স্বপ্নাভিভূতের মতাে বলিল, “ইচ্ছা? সে বেটা কে।”

ইচ্ছ। কী সেদিন বুঝিল না, কিন্তু ক্রমে ক্রমে বুঝিল । প্রতিদিন দেখিতে লাগিল, এমন করিয়া না চলিয়া অমন করিয়া চলা ও সম্ভব, যেমন এ দিক আছে তেমনি ও দিক ও আছে– বিদেশ হইতে তিনটে জীবস্ত দৃষ্টাস্ত আসিয়া জানাইয়া দিল, বিধানের মধ্যেই মানবের সমস্ত স্বাধীনতার সীমা নহে। এমনি করিয়া তাহারা ইচ্ছানামক একটা রাজশক্তির প্রভাব অস্পষ্ট ভাবে অমুভব করিতে লাগিল । ওই সেটি যেমনি অতু ভব করা অমনি তাসরাজ্যের আগাগোড়া অল্প অল্প করিয়া আন্দোলিত হইতে আরম্ভ হইল— গীতনিদ্র প্রকাগু অজগরসপের অনেক গুলা কুণ্ডলীর মধ্যে জাগরণ যেমন অত্যস্ত মন্দগতিতে সঞ্চালন করিতে থাকে সেই রূপ ।
{{gap}}ইচ্ছা কী সেদিন বুঝিল না, কিন্তু ক্রমে ক্রমে বুঝিল। প্রতিদিন দেখিতে লাগিল, এমন করিয়া না চলিয়া অমন করিয়া চলাও সম্ভব, যেমন এ দিক আছে তেমনি ও দিকও আছে- বিদেশ হইতে তিনটে জীবন্ত দৃষ্টান্ত আসিয়া জানাইয়া দিল, বিধানের মধ্যেই মানবের সমস্ত স্বাধীনতার সীমা নহে। এমনি করিয়া তাহারা ইচ্ছনামক একটা রাজশক্তির প্রভাব অস্পষ্ট ভাবে অনুভব করিতে লাগিল।

নিধিকারমূর্তি বিবি এতদিন কাহার ৪ দিকে দৃষ্টিপাত করে নাই, নিৰ্বাক লিঙ্কদবিগ্নভাবে আপনার কাজ করিয়া গেছে। এখন একদিন বসন্তের অপরাহে ইহাদের মধ্যে একজন চকিতের মতো ঘনকৃষ্ণ পক্ষ উর্ধ্বে উৎক্ষিপ্ত করিয়া রাজপুত্রের দিকে মুগ্ধ নেত্রের কটাক্ষপাত করিল । রাজপুত্র চমকিয়া উঠিয়া কহিল, “এ কী সর্বনাশ । আমি জানিতাম, ইহার এক-একটা মূর্তিবং– তাহ তো নহে, দেখিতেছি এ যে নারী ।”
{{gap}}ওই সেটি যেমনি অনুভব করা অমনি তাসরাজ্যের আগাগােড়া অল্প অল্প করিয়া আন্দোলিত হইতে আরম্ভ হইল- গতনিদ্র প্রকাণ্ড অজগরসর্পের অনেক গুলা কুণ্ডলীর মধ্যে জাগরণ যেমন অত্যন্ত মগতিতে সঞ্চলন করিতে থাকে সেইরূপ।
কোটালের পুত্র ও সদাগরের পুত্রকে নিভৃতে ডাকিয়া লইয়া রাজকুমার কহিল, “ভাই, ইহার মধ্যে বডো মাধুর্য আছে। তাহার সেই নবভাবোদীপ্ত কৃষ্ণনেত্রের প্রথম কটাক্ষপাতে আমার মনে হইল, যেন আমি এক নূতনম্বষ্ট জগতের প্রথম উষার প্রথম উদয় দেখিতে পাইলাম। এতদিন যে ধৈর্য ধরিয়া অবস্থান করিতেছি আজ তাহ! সার্থক হইল।”

দুই বন্ধু পরম কৌতুহলের সহিত সহাস্তে কহিল, “সত্য নাকি, সাঙাত ।”

{{c|৬}}

{{gap}}নির্বিকারমূর্তি বিবি এতদিন কাহারও দিকে দৃষ্টিপাত করে নাই, নির্বাক নিরুদ্ধিগ্নভাবে আপনার কাজ করিয়া গেছে। এখন একদিন বসন্তের অপরাহ্নে ইহাদের মধ্যে একজন চকিতের মত ঘনকৃষ্ণ পক্ষ্ম উর্ধ্বে উৎক্ষিপ্ত করিয়া রাজপুত্রের দিকে মুগ্ধ নেত্রের কটাক্ষপাত করিল। রাজপুত্র চমকিয়া উঠিয়া কহিল, “এ কী সর্বনাশ। আমি জানিতাম, ইহারা এক-একটা মূর্তিবং তাহা তাে নহে, দেখিতেছি এ যে নারী।”

{{gap}}কোটালের পুত্র ও সদাগরের পুত্রকে নিভৃতে ডাকিয়া লইয়া রাজকুমার কহিল, “ভাই, ইহার মধ্যে বড়াে মাধুর্য আছে। তাহার সেই নবভাবােদ্দীপ্ত কৃষ্ণনেত্রের প্রথম কটাক্ষপাতে আমার মনে হইল, যেন আমি এক নূতনসৃষ্ট জগতের প্রথম উষার প্রথম উদয় দেখিতে পাইলাম। এতদিন যে ধৈর্য ধরিয়া অবস্থান করিতেছি আজ তাহা সার্থক হইল।”

{{gap}}দুই বন্ধু পরম কৌতুহলের সহিত সহাস্যে কহিল, “সত্য নাকি, সাঙাত।”