|
|
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা |
- | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
| + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে |
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): |
১ নং লাইন: |
১ নং লাইন: |
|
|
{{ডান|২২১}} |
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): |
১ নং লাইন: |
১ নং লাইন: |
|
|
|
|
ミa> |
|
|
অনধিকার প্রবেশ |
|
{{কেন্দ্র|{{larger|অনধিকার প্রবেশ}}}} |
|
|
|
⚫ |
একদা প্রাতঃকালে পথের ধারে দড়িাইয়া এক বালক আর-এক বালকের সহিত একটি অসমসাহসিক অনুষ্ঠান সম্বন্ধে বাজি রাখিয়াছিল। ঠাকুরবাড়ির মাধবীবিতান হইতে ফলে তুলিয়া আনিতে পারবে কি না, ইহাই লইয়া তক। একটি বালক বলিল, “পারিব", আর-একটি বালক বলিল, "কখনোই পারবে না”। |
|
|
|
|
⚫ |
কাজটি শুনিতে সহজ অথচ করিতে কেন সহজ নহে তাহার বত্তোন্ত আর-একটু বিস্তারিত করিয়া বলা আবশ্যক। |
|
|
⚫ |
{{gap}}একদা প্রাতঃকালে পথের ধারে দাঁড়াইয়া এক বালক আর-এক বালকের সহিত একটি অসমসাহসিক অনুষ্ঠান সম্বন্ধে বাজি রাখিয়াছিল। ঠাকুরবাড়ির মাধবীবিতান হইতে ফল তুলিয়া আনিতে পারিবে কি না, ইহাই লইয়া তর্ক। একটি বালক বলিল, “পারিব”, আর-একটি বালক বলিল, “কখনােই পারিবে না”। |
⚫ |
পরলোকগত মাধবচন্দ্র তকবাচস্পতির বিধবা সন্ত্রী জয়কালী দেবী এই রাধানাথ জীউর মন্দিরের অধিকারিণী। অধ্যাপক মহাশয় টোলে যে তকবাচস্পতি উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন পত্নীর নিকটে এক দিনের জন্যও সে উপাধি সপ্রমাণ করিতে পারেন নাই। কোনো কোনো পণ্ডিতের মতে উপাধির সাথকতা ঘটিয়াছিল, কারণ, তক এবং বাক্য সমস্তই তাঁহার পত্নীর অংশে পড়িয়াছিল, তিনি পতিরাপে তাহার সম্পণে ফলভোগ করিয়াছিলেন। |
|
|
|
|
⚫ |
সত্যের অনুরোধে বলিতে হইবে জয়কালী অধিক কথা কহিতেন না কিন্তু অনেক সময় দুটি কথায়, এমন-কি নীরবে, অতি বড়ো প্রবল মুখবেগও বন্ধ করিয়া দিতে পারিতেন । |
|
|
⚫ |
{{gap}}কাজটি শুনিতে সহজ অথচ করিতে কেন সহজ নহে তাহার বৃত্তান্ত আর-একটু বিস্তারিত করিয়া বলা আবশ্যক। |
⚫ |
জয়কালী দীর্ঘাকার দঢ়শরীর তীক্ষনাসা প্রখরবন্ধি স্ত্রীলোক। তাঁহার স্বামী বতমানে তাঁহাদের দেবোত্তর সম্পত্তি নস্ট হইবার জো হইয়াছিল। বিধবা তাহার সমস্ত বাকি বকেয়া আদায়, সীমাসরহন্দ সিথর এবং বহুকালের বেদখল উথার করিয়া সমস্ত পরিকার করিয়াছিলেন। তাঁহার প্রাপ্য হইতে কেহ তাঁহাকে এক কড়ি বঞ্চিত করিতে পারিত না। - |
|
|
|
|
⚫ |
এই সন্ত্রীলোকটির প্রকৃতির মধ্যে বহল পরিমাণে পৌরষের অংশ থাকাতে তাঁহার যথাথ সঙ্গী কেহ ছিল না। সন্ত্রীলোকেরা তাঁহাকে ভয় করিত। পরনিন্দা, ছোটো কথা বা নাকি কান্না তাঁহার অসহ্য ছিল। পরেষেরাও তাঁহাকে ভয় করিত ; কারণ, পল্লীবাসী ভদ্রপরিষদের চণ্ডীমণ্ডপগত অগাধ আলস্যকে তিনি একপ্রকার নীরব ঘণাপণে তীক্ষ কটাক্ষের বারা ধিক্কার করিয়া যাইতে পারিতেন যাহা তাহাদের প্ৰথলে জড়ত্ব ভেদ করিয়াও অন্তরে প্রবেশ করিত। |
|
|
⚫ |
{{gap}}পরলােকগত মাধবচন্দ্র তর্কবাচস্পতির বিধবা স্ত্রী জয়কালী দেবী এই রাধানাথ জীউর মন্দিরের অধিকারিণী। অধ্যাপক মহাশয় টোলে যে তর্কবাচস্পতি উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন পত্নীর নিকটে এক দিনের জন্যও সে উপাধি সপ্রমাণ করিতে পারেন নাই। কোনাে কোনাে পণ্ডিতের মতে উপাধির সার্থকতা ঘটিয়াছিল, কারণ, তর্ক এবং বাক্য সমস্তই তাঁহার পত্নীর অংশে পড়িয়াছিল, তিনি পতিরূপে তাহার সম্পূর্ণ ফলভােগ করিয়াছিলেন। |
⚫ |
প্রবলরাপে ঘণা করিবার এবং সে ঘৃণা প্রবলরাপে প্রকাশ করিবার অসাধারণ ক্ষমতা এই প্রৌঢ়া বিধবাটির ছিল। বিচারে যাহাকে অপরাধী করিতেন তাহাকে তিনি কথায় এবং বিনা কথায়, ভাবে এবং ভঙ্গীতে একেবারে দগধ করিয়া যাইতে পারিতেন । পল্লীর সমস্ত ক্লিয়াকমে বিপদে-সম্পদে তাঁহার নিরলস হস্ত ছিল। সবারই তিনি নিজের একটি গৌরবের প্রথান বিনা চেষ্টায় অতি সহজেই অধিকার করিয়া লইতেন। যেখানে তিনি উপস্থিত থাকিতেন সেখানে তিনিই যে সকলের প্রধান-পদে, সে সবন্ধে তাঁহার নিজের অথবা উপস্থিত কোনো ব্যক্তির মনে কিছুমাত্র সন্দেহ থাকিত না। |
|
|
|
|
|
ఫిగ్రీ |
|
|
⚫ |
{{gap}}সত্যের অনুরােধে বলিতে হইবে জয়কালী অধিক কথা কহিতেন না কিন্তু অনেক সময় দুটি কথায়, এমনকি নীরবে, অতি বড়ো প্রবল মুখবেগও বন্ধ করিয়া দিতে পারিতেন। |
|
|
|
|
⚫ |
{{gap}}জয়কালী দীর্ঘাকার দৃঢ়শরীর তীক্ষ্ননাসা প্রখরবুদ্ধি স্ত্রীলােক। তাহার স্বামী বর্তমানে তাঁহাদের দেবােত্তর সম্পত্তি নষ্ট হইবার জো হইয়াছিল। বিধবা তাহার সমস্ত বাকি বকেয়া আদায়, সীমাসরহদ্দ স্থির এবং বহুকালের বেদখল উদ্ধার করিয়া সমস্ত পরিষ্কার করিয়াছিলেন। তাঁহার প্রাপ্য হইতে কেহ তাহাকে এক কড়ি বঞ্চিত করিতে পারিত না। |
|
|
|
|
⚫ |
{{gap}}এই স্ত্রীলােকটির প্রকৃতির মধ্যে বহুল পরিমাণে পৌরুষের অংশ থাকাতে তাঁহার যথার্থ সঙ্গী কেহ ছিল না। স্ত্রীলােকেরা তাঁহাকে ভয় করিত। পরনিন্দা, ছােটো কথা বা নাকি কান্না তাঁহার অসহ্য ছিল। পুরুষেরাও তাঁহাকে ভয় করিত; কারণ, পল্লীবাসী ভদ্রপরুষদের চণ্ডীমণ্ডপগত অগাধ আলস্যকে তিনি একপ্রকার নীরব ঘৃণাপূর্ণ তীক্ষ্ম কটাক্ষের দ্বারা ধিক্কার করিয়া যাইতে পারিতেন যাহা তাহাদের স্থূল জড়ত্ব ভেদ করিয়াও অন্তরে প্রবেশ করিত।। |
|
|
|
|
|
{{gap}}প্রবলরূপে ঘৃণা করিবার এবং সে ঘৃণা প্রবলরুপে প্রকাশ করিবার অসাধারণ ক্ষমতা এই প্রৌঢ়া বিধবাটির ছিল। বিচারে যাহাকে অপরাধী করিতেন তাহাকে তিনি কথায় এবং বিনা কথায়, ভাবে এবং ভঙ্গীতে একেবারে দগ্ধ করিয়া যাইতে পারিতেন। |
|
|
|
|
⚫ |
{{gap}}পল্লীর সমস্ত ক্রিয়াকর্মে বিপদে-সম্পদে তাঁহার নিরলস হস্ত ছিল। সর্বত্রই তিনি নিজের একটি গৌরবের স্থান বিনা চেষ্টায় অতি সহজেই অধিকার করিয়া লইতেন। যেখানে তিনি উপস্থিত থাকিতেন সেখানে তিনিই যে সকলের প্রধান-পদে, সে সম্বন্ধে তাঁহার নিজের অথবা উপস্থিত কোনাে ব্যক্তির মনে কিছুমাত্র সন্দেহ থাকিত না। |
পাদটীকা (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | পাদটীকা (অন্তর্ভুক্ত হবে না): |
১ নং লাইন: |
১ নং লাইন: |
|
|
{{বাম|১৫}} |