পাতা:জাপানে-পারস্যে-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৯: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা |
|||
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে | |
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{RunningHeader||জাপানে-পারস্যে|৮৯}} |
|||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
⚫ | {{gap}} ফলিয়ে তােলবার জন্যে যত কিছু কালিমা,—সে কেবলি ওই দুটো পাইন গাছের ডালে। ওস্তাদ এমন একটা জিনিসকে আঁকতে চেয়েছেন, যার রূপ নেই, যা বৃহৎ এবং নিস্তব্ধ-জ্যোৎস্নারাত্রি,অতুলস্পর্শ তার নিঃশব্দতা। কিন্তু আমি যদি তাঁর সব ছবির বিস্তারিত বর্ণনা করতে যাই, তাহলে আমার কাগজও ফুরােবে, সময়েও কুলবে না। হারা সান সবশেষে নিয়ে গেলেন একটি লম্বা সংকীর্ণ ঘরে, সেখানে একদিকের প্রায় সমস্ত দেয়াল জুড়ে একটি খাড়া পর্দা দাঁড়িয়ে। এই পর্দায় শিমােমুরার আঁকা একটি প্রকাণ্ড ছবি। শীতের পরে প্রথম বসন্ত এসেছে-প্লাম গাছের ডালে একটাও পাতা নেই, শাদা শাদা ফুল ধরেছে—ফুলের পাপড়ি ঝরে ঝরে পড়ছে;-বৃহৎ পর্দার এক প্রান্তে দিগন্তের কাছে রক্তবর্ণ সুর্য দেখা দিয়েছে—পর্দার অপর প্রান্তে প্লাম গাছের রিক্ত ডালের আড়ালে দেখা যাচ্ছে একটি অন্ধ হাতজোড় করে সূর্যের বন্দনায় রত। একটি অন্ধ, এক গাছ, এক সূর্য, আর সােনায় ঢালা এক সুবৃহৎ আকাশ; এমন ছবি আমি কখনাে দেখি নি। উপনিষদের সেই প্রার্থনাবাণী যেন রূপ ধরে আমার কাছে দেখা দিলে,-তমসসা মা জ্যোতির্গময়। কেবল অন্ধ মানুষের নয়, অন্ধ প্রকৃতির এই প্রার্থনা—তমসাে মা জ্যোতির্গময়—সেই প্লাম গাছের একাগ্র প্রসারিত শাখা প্রশাখার ভিতর দিয়ে জ্যোতিলোকের দিকে উঠছে। অথচ আলােয় আলােময়—তারি মাঝখানে অন্ধের প্রার্থনা। |
||
জাপানে brసె |
|||
⚫ | ফলিয়ে |
||
কাল |
{{gap}}কাল শিমােমুরার আর-একটা ছবি দেখলুম। পটের আয়তন তাে ছােটো, অথচ ছবির বিষয় বিচিত্র। সাধক তার ঘরে মধ্যে বসে ধ্যান করছে-তার সমস্ত রিপুগুলি তাকে চারিদিকে আক্রমণ করেছে। অর্ধেক মানুষ অর্ধেক জন্তুর মতাে তাদের আকার, অত্যন্ত কুৎসিত—তাদের কেউ বা খুব সমারােহ করে আসছে, কেউ বা আড়ালে আবডালে উঁকিঝুঁকি মারছে। কিন্তু তবু এরা সবাই বাইরেই আছে—ঘরের ভিতরে তাঁর |