পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ.djvu/১০৭: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Santd3 (আলোচনা | অবদান)
→‎Proofread: ওসিআর ভুল শোধরানো হল।
বট অনাকাঙ্ক্ষিত ফাঁক সরাচ্ছে, কোন সমস্যা?
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
চতুর্থ পরিচ্ছেদ । ৭৩
চতুর্থ পরিচ্ছেদ। ৭৩


উপকথার মত লাগিতে পারে । কিন্তু বস্তুতঃ ১৮৪০ সাল পৰ্য্যন্ত এই সকল নিয়ম প্রচলিত ছিল । আরও শুনিলে সকলে আশ্চৰ্য্য বোধ করবেন যে, যুদ্ধাদিতে জয় লাভ হইলে গবৰ্ণমেণ্টের পক্ষ হইতে কালীঘাট প্রভূত তীর্থের বড় বড় মন্দিরে পূজারিদগের দ্বারা পূজা দেওয়া হইত। উক্ত সালে গবৰ্ণর জেনেরাল লর্ড অকল্যাণ্ড বাহাদুর রাজবধির দ্বারা ঐ সকল নিয়ম রহিত করেন। পুর্ব্বকার রাজনীতি কি প্রকার ছিল তাহ প্রদর্শন করিবার উদ্দেশেই এই সকলেয় উল্লেখ করা গেল।
উপকথার মত লাগিতে পারে। কিন্তু বস্তুতঃ ১৮৪০ সাল পৰ্য্যন্ত এই সকল নিয়ম প্রচলিত ছিল। আরও শুনিলে সকলে আশ্চৰ্য্য বোধ করবেন যে, যুদ্ধাদিতে জয় লাভ হইলে গবৰ্ণমেণ্টের পক্ষ হইতে কালীঘাট প্রভূত তীর্থের বড় বড় মন্দিরে পূজারিদগের দ্বারা পূজা দেওয়া হইত। উক্ত সালে গবৰ্ণর জেনেরাল লর্ড অকল্যাণ্ড বাহাদুর রাজবধির দ্বারা ঐ সকল নিয়ম রহিত করেন। পুর্ব্বকার রাজনীতি কি প্রকার ছিল তাহ প্রদর্শন করিবার উদ্দেশেই এই সকলেয় উল্লেখ করা গেল।


যাহা হউক, যখন এদেশে রাজপুরুষদিগের অনেকে এদেশীয়দিগের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের জন্য ব্যগ্র হইতেছিলেন, তখন যে ইংলণ্ডের লোক একেবারে সে বিষয়ে উদাসীন ছিলেন এরূপ বলা যায় না। ১৭৯৩ খ্ৰীষ্টাব্দে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির সনন্দ পত্র পুনর্গ্রহণের সময় উপস্থিত হয়। পার্লেমেন্ট মহাসভায় সেই প্রশ্ন সমুপস্থিত হইলে চার্লস গ্রান্ট (Charles Grant) নামক একজন ভারত-হিতৈষী পুরুষ এদেশীয়দিগের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার ও ধৰ্ম্মপ্রচার এবং এদেশ প্রবাসী ইংরাজগণের ধৰ্ম্ম ও নীতির উন্নতি বিধান একান্ত কৰ্ত্তব্য বলিয়া এক প্রস্তাব উপস্থিত করেন। এতদৰ্থ তিনি একখানি ক্ষুদ্র পুস্তিকা রচনা করিয়া বোর্ড অব কন্‌ট্রোলের সভ্যগণের হস্তে অর্পণ করেন। এই পুস্তিকা পাঠ করিয়া ক্রীতদাস-প্রথা-নিবারণকারী সুবিখ্যাত উইলবারফেসি সাহেব চার্লস গ্রান্টএর সহায়তা করিতে প্রতিশ্রুত হন। বোর্ড অব কট্রোলের সভাপতি ডনডান বাহাদুর প্রথমে ইহাদিগের প্রস্তাবের সপক্ষতা করিবার আশা দেন; কিন্তু পরে কোর্ট অব ডিরেক্টারের সভ্যগণের প্ররোচনাতে সে পথ পরিত্যাগ করেন। সুতরাং গ্রান্টের প্রস্তাবে বিশেষ ফল ফলিল না।
যাহা হউক, যখন এদেশে রাজপুরুষদিগের অনেকে এদেশীয়দিগের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের জন্য ব্যগ্র হইতেছিলেন, তখন যে ইংলণ্ডের লোক একেবারে সে বিষয়ে উদাসীন ছিলেন এরূপ বলা যায় না। ১৭৯৩ খ্ৰীষ্টাব্দে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির সনন্দ পত্র পুনর্গ্রহণের সময় উপস্থিত হয়। পার্লেমেন্ট মহাসভায় সেই প্রশ্ন সমুপস্থিত হইলে চার্লস গ্রান্ট (Charles Grant) নামক একজন ভারত-হিতৈষী পুরুষ এদেশীয়দিগের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার ও ধৰ্ম্মপ্রচার এবং এদেশ প্রবাসী ইংরাজগণের ধৰ্ম্ম ও নীতির উন্নতি বিধান একান্ত কৰ্ত্তব্য বলিয়া এক প্রস্তাব উপস্থিত করেন। এতদৰ্থ তিনি একখানি ক্ষুদ্র পুস্তিকা রচনা করিয়া বোর্ড অব কন্‌ট্রোলের সভ্যগণের হস্তে অর্পণ করেন। এই পুস্তিকা পাঠ করিয়া ক্রীতদাস-প্রথা-নিবারণকারী সুবিখ্যাত উইলবারফেসি সাহেব চার্লস গ্রান্টএর সহায়তা করিতে প্রতিশ্রুত হন। বোর্ড অব কট্রোলের সভাপতি ডনডান বাহাদুর প্রথমে ইহাদিগের প্রস্তাবের সপক্ষতা করিবার আশা দেন; কিন্তু পরে কোর্ট অব ডিরেক্টারের সভ্যগণের প্ররোচনাতে সে পথ পরিত্যাগ করেন। সুতরাং গ্রান্টের প্রস্তাবে বিশেষ ফল ফলিল না।