পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ.djvu/৪৬৫: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Hrishikesbot (আলোচনা | অবদান)
পাতার অবস্থা-পরিবর্তন অউব্রা ব্যবহার করে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
 
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{gap}}লাহিড়ী মহাশয় যখন ভাঙ্গিয়া পড়িলেন, এবং চলৎশক্তি-রহিত হইলেন, তখনও তার হৃদয়-মন্দিরের পূজিত দেবতাগুলির প্রতি সজাগ প্রেম। এই সময়ে আমরা. দেখা করিতে গেলেই তিনি একটা বিবয়ে দুঃখ করিতেন, হেয়ায়ের স্মৃতি কেউ ভাল করিয়া রাখিল না। বলিতে গেলে তাহারই প্ররোচনাতে হেয়ার এনিভার্সারি কিছু কাল উঠিয়া ধাওয়ার পর আবার আরম্ভ হইল। তাহারই প্ররোচনাতে সিট কলেজের"তদানীন্তন হযোগ্য অধ্যক্ষ ভক্তিভাজন উমেশ চন্দ্র দত্ত মহাশয় কলেজের দিবীর মধ্যে হেয়ারের সমাধিমন্দিরের সন্নিকটে প্রতিবৎসর ১লা জুন দিবসে হেক্সারেয় স্মরণার্থ সভা আরম্ভ করিলেন। তখন আর কেহ যাক ন যাক বৃদ্ধ লাহিড়ী মহাশয়কে পালকী করিয়া লইয়া যাইতে হইত। আমরা গিয়া দেখি তিনি একখানি চেয়ার বা বেঞ্চে ভক্তি ভাবে বসিয়া আছেন। ধিনি বাল্যকালে মাতুলালয়ে প্রতিপালিত হইরাছিলেন বলিয়া উত্তরকালে, কৰ্ম্ম কাজ করিবার সময়, পালকী করিয়া মাতুলের দ্বায়ে উপস্থিত হইতেন না, কিয়দূরে পালক ত্যাগ করিয়া পদব্রজে মাতুল ভবনে যাইতেন, তাহার পক্ষে শিক্ষাদাতা গুরু হেয়ারের প্রতি এই কৃতজ্ঞতা স্বাভাবিক। যতদিন দেহে উঠিবার শক্তি ছিল, ততদিন তিনি হেরারের স্মরণার্থ সভায় যাইতে ছাড়িতেন না।
{{gap}}লাহিড়ী মহাশয় যখন ভাঙ্গিয়া পড়িলেন, এবং চলৎশক্তি-রহিত হইলেন, তখনও তার হৃদয়-মন্দিরের পূজিত দেবতাগুলির প্রতি সজাগ প্রেম। এই সময়ে আমরা. দেখা করিতে গেলেই তিনি একটা বিবয়ে দুঃখ করিতেন, হেয়ায়ের স্মৃতি কেউ ভাল করিয়া রাখিল না। বলিতে গেলে তাহারই প্ররোচনাতে হেয়ার এনিভার্সারি কিছু কাল উঠিয়া ধাওয়ার পর আবার আরম্ভ হইল। তাহারই প্ররোচনাতে সিট কলেজের"তদানীন্তন হযোগ্য অধ্যক্ষ ভক্তিভাজন উমেশ চন্দ্র দত্ত মহাশয় কলেজের দিবীর মধ্যে হেয়ারের সমাধিমন্দিরের সন্নিকটে প্রতিবৎসর ১লা জুন দিবসে হেক্সারেয় স্মরণার্থ সভা আরম্ভ করিলেন। তখন আর কেহ যাক ন যাক বৃদ্ধ লাহিড়ী মহাশয়কে পালকী করিয়া লইয়া যাইতে হইত। আমরা গিয়া দেখি তিনি একখানি চেয়ার বা বেঞ্চে ভক্তি ভাবে বসিয়া আছেন। ধিনি বাল্যকালে মাতুলালয়ে প্রতিপালিত হইরাছিলেন বলিয়া উত্তরকালে, কৰ্ম্ম কাজ করিবার সময়, পালকী করিয়া মাতুলের দ্বায়ে উপস্থিত হইতেন না, কিয়দূরে পালক ত্যাগ করিয়া পদব্রজে মাতুল ভবনে যাইতেন, তাহার পক্ষে শিক্ষাদাতা গুরু হেয়ারের প্রতি এই কৃতজ্ঞতা স্বাভাবিক। যতদিন দেহে উঠিবার শক্তি ছিল, ততদিন তিনি হেরারের স্মরণার্থ সভায় যাইতে ছাড়িতেন না।


{{gap}}মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি তাহার প্রগাঢ় শ্রদ্ধা ভক্তি ছিল। মৃত্যুর কিছুদিন পূৰ্ব্বে র্তাহাকে একবার দেখিতে চাছিলেন। শুনিবা মাত্র দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় বাহক পৃষ্ঠে আসিয়া উপস্থিত। বৃদ্ধে বৃদ্ধে সমাগম, প্রাচীন ভাবে প্রাচীন আনন্দ জাগিয়া উঠিল। মহর্ষি বললেন—“স্বর্গে দেবগণ তোমার জন্ত অপেক্ষা করিতেছেন; তোমাকে তাহারা সাদরে গ্রহণ করিবেন।”
{{gap}}মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি তাহার প্রগাঢ় শ্রদ্ধা ভক্তি ছিল। মৃত্যুর কিছুদিন পূৰ্ব্বে র্তাহাকে একবার দেখিতে চাছিলেন। শুনিবা মাত্র দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় বাহক পৃষ্ঠে আসিয়া উপস্থিত। বৃদ্ধে বৃদ্ধে সমাগম, প্রাচীন ভাবে প্রাচীন আনন্দ জাগিয়া উঠিল। মহর্ষি বললেন—“স্বর্গে দেবগণ তোমার জন্ত অপেক্ষা করিতেছেন; তোমাকে তাহারা সাদরে গ্রহণ করিবেন।”