পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১১: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

 
বট পরিষ্কার করছে, কোন সমস্যা?
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
যশােরশ্মি সূর্য্য ও পূর্ণচন্দ্রের মত ভাৱতাকাশ চির-দীপ্তিতে সমুদ্ভাসিত রাখিবে।
যশোরশ্মি সূর্য্য ও পূর্ণচন্দ্রের মত ভাৱতাকাশ চির-দীপ্তিতে সমুদ্ভাসিত রাখিবে।


{{gap}}জানকীনাথ নিজে অত্যন্ত তেজস্বী ছিলেন। গভর্ণমেন্ট প্লীডার এবং গভর্ণমেন্টের উপাধিধারী হইলেও তিনি কোন দিন গভর্ণমেন্টের অন্যায় কার্য্য সমর্থন করিতে পারেন নাই। আইন-অমান্য আন্দোলনের সময় গভর্ণমেন্ট যখন প্রচণ্ডভাবে দমন-নীতির প্রয়ােগ করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন, তখন তেজস্বী জানকীনাথ গভর্ণমেন্টের এই কার্য্যের প্রতিবাদ-স্বরূপ “রায় বাহাদুর” উপাধি বর্জ্জন করিতেও কুণ্ঠা বােধ করেন নাই। পিতার এই তেজস্বিতা এবং স্বাধীনচিত্ততা পুত্র সুভাষচন্দ্রের মধ্যে পূর্ণভাবে সংক্রমিত হইয়াছিল।
{{gap}}জানকীনাথ নিজে অত্যন্ত তেজস্বী ছিলেন। গভর্ণমেন্ট প্লীডার এবং গভর্ণমেন্টের উপাধিধারী হইলেও তিনি কোন দিন গভর্ণমেন্টের অন্যায় কার্য্য সমর্থন করিতে পারেন নাই। আইন-অমান্য আন্দোলনের সময় গভর্ণমেন্ট যখন প্রচণ্ডভাবে দমন-নীতির প্রয়োগ করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন, তখন তেজস্বী জানকীনাথ গভর্ণমেন্টের এই কার্য্যের প্রতিবাদ-স্বরূপ “রায় বাহাদুর” উপাধি বর্জ্জন করিতেও কুণ্ঠা বোধ করেন নাই। পিতার এই তেজস্বিতা এবং স্বাধীনচিত্ততা পুত্র সুভাষচন্দ্রের মধ্যে পূর্ণভাবে সংক্রমিত হইয়াছিল।


{{gap}}জানকীনাথ পঁচাত্তর বৎসর বয়সে পরলােক গমন করেন। সুভাষচন্দ্রের জননী প্রভাবতী সর্ব্বাংশে স্বামীর অনুরূপ ছিলেন। তাঁহার অসামান্য দয়া, মায়া, স্নেহ প্রভৃতি চারিত্রিক সদ্‌গুণরাজি তাঁহার পুত্র-কন্যাগণের—বিশেষতঃ সুভাষচন্দ্রের মধ্যে সমুজ্জ্বলভাবে বিকশিত হইয়া উঠিয়াছিল।
{{gap}}জানকীনাথ পঁচাত্তর বৎসর বয়সে পরলোক গমন করেন। সুভাষচন্দ্রের জননী প্রভাবতী সর্ব্বাংশে স্বামীর অনুরূপ ছিলেন। তাঁহার অসামান্য দয়া, মায়া, স্নেহ প্রভৃতি চারিত্রিক সদ্‌গুণরাজি তাঁহার পুত্র-কন্যাগণের—বিশেষতঃ সুভাষচন্দ্রের মধ্যে সমুজ্জ্বলভাবে বিকশিত হইয়া উঠিয়াছিল।


{{gap}}তিনি আদর্শ হিন্দু রমণী ছিলেন; কিন্তু সুশিক্ষার জন্য পুত্র-কন্যাগণের ইয়ােরােপ গমনে কখনও বাধা প্রদান করেন নাই। দীন-দরিদ্রের দুঃখ-দুর্দ্দশা দর্শনে তাঁহার হৃদয় বিগলিত হইত এবং তিনি সর্ব্বদাই মুক্তহস্তে তাহাদের দুঃখ-মােচনে নিরত থাকিতেন। পরবর্ত্তীকালে বিভিন্ন কর্ম্মক্ষেত্রে মাতার এই পরদুঃখ-কাতরতাও সুভাষচন্দ্রের মধ্যে আত্ম-বিকাশ করিয়াছিল।
{{gap}}তিনি আদর্শ হিন্দু রমণী ছিলেন; কিন্তু সুশিক্ষার জন্য পুত্র-কন্যাগণের ইয়োরোপ গমনে কখনও বাধা প্রদান করেন নাই। দীন-দরিদ্রের দুঃখ-দুর্দ্দশা দর্শনে তাঁহার হৃদয় বিগলিত হইত এবং তিনি সর্ব্বদাই মুক্তহস্তে তাহাদের দুঃখ-মোচনে নিরত থাকিতেন। পরবর্ত্তীকালে বিভিন্ন কর্ম্মক্ষেত্রে মাতার এই পরদুঃখ-কাতরতাও সুভাষচন্দ্রের মধ্যে আত্ম-বিকাশ করিয়াছিল।