পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫৭: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{c|[[চিত্র:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড) ৫৫৭.png|500px]]
{{c|{{x-larger|'''ঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস}}}}

{{-larger|'''ঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস}}}}


{{gap}}ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভ হইতে শেষ পর্য্যন্ত বাঙ্গলা ভাষা ও সাহিত্য কোন কোন মহাত্মার চেষ্টায় কিরূপ দ্রুততর উন্নতিমার্গে চলিয়াছিল তাহা ঐ একশত বৎসরের মোটামুটী সাহিত্যের ইতিহাস আলোচনা করিলেই বুঝিতে পারা যাইবে।
{{gap}}ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভ হইতে শেষ পর্য্যন্ত বাঙ্গলা ভাষা ও সাহিত্য কোন কোন মহাত্মার চেষ্টায় কিরূপ দ্রুততর উন্নতিমার্গে চলিয়াছিল তাহা ঐ একশত বৎসরের মোটামুটী সাহিত্যের ইতিহাস আলোচনা করিলেই বুঝিতে পারা যাইবে।


{{gap}}১৮০২ খৃষ্টাব্দে রামরাম বসুর “লিপিমালা” এবং তাহার কিছু পরেই তৎকৃত ‘রাজাবলী’ প্রকাশিত হয়। ইহার পূর্ব্বে ইনি “প্রতাপাদিত্যচরিত” নামক একখানি পুস্তক লিখিয়াছিলেন। এই তিনথানাই ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম গদ্য-সাহিত্য। পণ্ডিত মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের “প্রবোধচন্দ্রিকা” ইহার পূর্ব্বে রচিত হয়। “তোতা ইতিহাস’ তাহারও পূর্ব্বে। সুতরাং রামরাম বসুই ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম গদ্য-সাহিত্য-লেখক। তাহার “লিপিমালার" ভাষা —“তোমাদের মঙ্গল সমাচার অনেক দিন পাই নাই। তাহাতে ভাবিত আছি । চিরকাল হইল তোমার খুল্লতাত, গঙ্গা পুথিবীতে আগমন হতু প্রশ্ন করিয়াছিলেন, তখন তাহার বিশেষণ প্রাপ্ত হইতে পাবেন নাই ।” রাগবলীর ভাষা —“শকাদি পাহাড়ী রাজার অধৰ্ম্ম ব্যবহার শুনিয়া উজ্জয়িনীর রাজা বিক্রমাদিত সসৈন্তে দিল্লীতে আসিয়া শকাদিত। রাজার সহিত যুদ্ধ করিয়া তাহাকে যুদ্ধে মারিয়া আপনি দিল্লীতে সম্রাট হইলেন।”
{{gap}}১৮০২ খৃষ্টাব্দে রামরাম বসুর “লিপিমালা” এবং তাহার কিছু পরেই তৎকৃত ‘রাজাবলী’ প্রকাশিত হয়। ইহার পূর্ব্বে ইনি “প্রতাপাদিত্যচরিত” নামক একখানি পুস্তক লিখিয়াছিলেন। এই তিনথানাই ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম গদ্য-সাহিত্য। পণ্ডিত মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের “প্রবোধচন্দ্রিকা” ইহার পূর্ব্বে রচিত হয়। “তোতা ইতিহাস” তাহারও পূর্ব্বে। সুতরাং রামরাম বসুই ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম গদ্য-সাহিত্য-লেখক। তাঁহার “লিপিমালার” ভাষা—“তোমাদের মঙ্গল সমাচার অনেক দিন পাই নাই। তাহাতে ভাবিত আছি। চিরকাল হইল তোমার খুল্লতাত, গঙ্গা পৃথিবীতে আগমন হেতু প্রশ্ন করিয়াছিলেন, তখন তাহার বিশেষণ প্রাপ্ত হইতে পারেন নাই।” রাজাবলীর ভাষাঃ—“শকাদি পাহাড়ী রাজার অধর্ম্ম ব্যবহার শুনিয়া উজ্জয়িনীর রাজা বিক্রমাদিত্য সসৈন্যে দিল্লীতে আসিয়া শকাদিত্য রাজার সহিত যুদ্ধ করিয়া তাহাকে যুদ্ধে মারিয়া আপনি দিল্লীতে সম্রাট হইলেন।”

১৮৯৪ খৃষ্টাব্দে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের “বত্রিশ সিংহাসন রচিত হয়। তাহার ভাষা :–“এ*দিবস রাষ্ট্র অবন্তীপুরীতে সভামধে৷ দিব্য সিংহাসনে বসিয়াছেন, ইতোমধে এক দরিদ্র পুরুষ আদিয়া রাঙ্গর সন্মুখ উপস্থিত হইল, কথা কিছু ’কহিল না।”
{{gap}১৮০৪ খৃষ্টাব্দে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের “বত্রিশ সিংহাসন” রচিত হয়। তাহার ভাষাঃ—“একদিবস রাজা অবন্তীপুরীতে সভামধ্যে দিব্য সিংহাসনে বসিয়াছেন, ইতোমধ্যে এক দরিদ্র পুরুষ আসিয়া রাজার সম্মুখে উপস্থিত হইল, কথা কিছু কহিল না।”
উক্ত বিদ্যালঙ্কার মহাশয়ের ‘প্রবোধচল্লিকার’ ভাষা কিন্তু “বত্রিশ সিংহাসনের" মত সরল বা স্বথবোধ্য নহে। বিকট সংস্কৃতের অনুকরণে উৎকট ভাষায় লিখিত :-"কোকিল কলালাপবাচাল, যে মলয়ানিল, সে উচ্ছলচ্ছীকরাত্যচ্ছ নিঝ রীরমভঃ কণাচ্ছন্ন হইয়া আসিতেছে ।”

তার পর ১৮১১ খৃষ্টাব্দে “কৃষ্ণচন্দ্র চরিত' রচিত হয় এবং লওনে মুদিত হইয়া প্রকাশিত হয়। রাঙ্গৗবলোচন মুখোপাধ্যায় ইহার রচয়িতা। কুষ্ণচন্দ্র চরিতের ভাষা :-“পরে নবাব মোহনদাসের বাস্থ্য প্রবণ করিয়া ভয়যুক্ত হইয়া সাবধানে থাকিয়া মোহনদাসকে পচিশ হাজার সৈন্ত দিয়া অনেক আশ্বাস করিয়া পলাশীতে প্রেরণ করিলেন।” দীনেশবাবু ষে বলিয়াছেন “কৃষ্ণচন্দ্র চরিতের ভাষা খাটী বাঙ্গল, ইহার উপর ইংরাজী গদ্যের কোন ভাব দেখা যায় না" তাহা ঠিক । বোধ হয় “কৃষ্ণচন্দ্র চরিত্তই” খাট বাঙ্গলা ভাষার প্রথম গদ্য-সাহিত্য । ঠিক এই সময়ে বা কিছু পরে রামজয় তর্কালঙ্কার কর্তৃক “সাংখ্য ভাষ্য’, লক্ষ্মীনারায়ণ স্থায়ালঙ্কার কর্তৃক “মিতাক্ষরা" ও কাশীনাথ তর্কপঞ্চানন কর্তৃক “স্তায়দর্শন" বঙ্গভাষার লিখিত হয়।
উক্ত বিদ্যালঙ্কার মহাশয়ের “প্রবোধচন্দ্রিকার” ভাষা কিন্তু “বত্রিশ সিংহাসনের” মত সরল বা সুখবোধ্য নহে। বিকট সংস্কৃতের অনুকরণে উৎকট ভাষায় লিখিতঃ—“কোকিল কলালাপবাচাল, যে মলয়ানিল, সে উচ্ছলচ্ছীকরাত্যচ্ছ নির্ঝরারমভঃ কণাচ্ছন্ন হইয়া আসিতেছে।”
এই সময়ে কলেজের বাঙ্গল পাঠ্য ছিল মৃতুngয় বিদ্যালঙ্কারের “পুরুষ পরীক্ষা” “হিতোপদেশ” প্রভৃতি। বিদ্যালঙ্কার, তর্কালঙ্কার প্রভৃতি দেখিয়া পাঠকগণ অবগুই বুঝতে পারিতেছেন বে, সংস্কৃতজ্ঞ

ミ。
{{gap}}তার পর ১৮১১ খৃষ্টাব্দে “কৃষ্ণচন্দ্র চরিত” রচিত হয় এবং লণ্ডনে মুদ্রিত হইয়া প্রকাশিত হয়। রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায় ইহার রচয়িতা। কৃষ্ণচন্দ্র চরিতের ভাষা—“পরে নবাব মোহনদাসের বাক্য শ্রবণ করিয়া ভয়যুক্ত হইয়া সাবধানে থাকিয়া মোহনদাসকে পঁচিশ হাজার সৈন্য দিয়া অনেক আশ্বাস করিয়া পলাশীতে প্রেরণ করিলেন।” দীনেশবাবু ষে বলিয়াছেন “কৃষ্ণচন্দ্র চরিতের ভাষা খাঁটী বাঙ্গলা, ইহার উপর ইংরাজী গদ্যের কোন ভাব দেখা যায় না” তাহা ঠিক। বোধ হয় “কৃষ্ণচন্দ্র চরিতই” খাঁটী বাঙ্গলা ভাষার প্রথম গদ্য-সাহিত্য। ঠিক এই সময়ে বা কিছু পরে রামজয় তর্কালঙ্কার কর্ত্তৃক “সাংখ্য ভাষ্য”, লক্ষ্মীনারায়ণ ন্যায়ালঙ্কার কর্ত্তৃক “মিতাক্ষরা” ও কাশীনাথ তর্কপঞ্চানন কর্ত্তৃক “ন্যায়দর্শন” বঙ্গভাষায় লিখিত হয়।

২SS
{{gap}}এই সময়ে কলেজের বাঙ্গলা পাঠ্য ছিল মৃতুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের “পুরুষ পরীক্ষা” “হিতোপদেশ” প্রভৃতি। বিদ্যালঙ্কার, তর্কালঙ্কার প্রভৃতি দেখিয়া পাঠকগণ অবশ্যই বুঝতে পারিতেছেন বে, সংস্কৃতজ্ঞ টোলের পণ্ডিত ছাড়া অন্য লোক বড় একটা সাহিত্য চর্চ্চা করিত না, তখনকার বাঙ্গলা লিখিতে হইলে রীতিমত সংস্কৃত শিক্ষা করিতে হইত তজ্জন্য তৎকালে ইহা একরূপ ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতেরই একচেটিয়া ছিল, কিন্তু এভাব বেশী দিন থাকিল না, ইহার কিছুদিন পরেই মহাত্মা রামমোহন রায় বঙ্গভাষার উন্নতিসাধনে মনোনিবেশ করেন এবং ঐকান্তিক চেষ্টায় অনেকটা সফলতা লাভ করেন। তাঁহারই অক্লান্ত পরিশ্রমে বাঙ্গলা সাহিত্য নব কলেবর ধারণ করিয়া উন্নতিমার্গে অগ্রসর হইতে থাকে। তাঁহার “পৌত্তলিক ধর্ম্মপ্রণালী,” “বেদান্তের অনুবাদ,” “কঠোপনিষদ,” “পথ্য প্রদান” প্রভৃতি গ্রন্থ তাহার সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে। এই সমস্ত পুস্তকের ভাষা সম্বন্ধে আমার আলোচনা করা বাহুল্য, কারণ রাজা রামমোহনের গ্রন্থ সাহিত্যসেবী মাত্রেরই অধীত। মহাত্মা রামমোহনের পর পাদরী কৃষ্ণমোহন ও ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল বাঙ্গলা ভাষায় কয়েকখানি গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। পাদরী কৃষ্ণ বন্দ্যো “বিদ্যাকল্পদ্রুম” নামে একখানা মাসিক পত্রও প্রচার করেন।
..)吠

টোলের পণ্ডিত ছাড়। অস্ত লোক বড় একটা সাহিত্য চর্চা করিত না, তখনকার বাঙ্গলা লিখিতে হইলে রীতিমত সংস্কৃত শিক্ষা করিতে হৃষ্টত তজ্জন্ত তৎকালে ইহা একরূপ ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতেরই একচেটিয়া ছিল, কিন্তু এভাব বেশী দিন থাকিল না, ইহার কিছুদিন পরেই মহাত্মা রামমোহন রায় বঙ্গভাষার উন্নতিসাধনে মনোনিবেশ করেন এবং ঐকাস্তিক চেষ্টায় অনেকটা সফলতা লাভ করেন। র্তাহারই অক্লান্ত পরিশ্রমে বাঙ্গলা সাহিত্য নব কলেবর ধারণ করিয়া উন্নতিমাগে
- অগ্রসর হইতে থাকে। তাহার “পৌত্তলিক ধৰ্ম্ম প্রণালী,’’ ‘’বেদাস্তের
অনুবাদ,” “কঠোপনিষদ,” “পথ্য প্রদান” প্রভৃতি গ্রন্থ তাহার সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে। এই সমস্ত পুস্তকের ভাষা সম্বন্ধে আমার আলোচনা করা বাহুল্য, কারণ রাঙ্গ রামমোহনের গ্রন্থ সাহিতাসেবী মাত্রেরই অধীত । মহাত্মা রামমোহনের পর পাদরী কৃষ্ণমোহন ও ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল বাঙ্গলা ভাষায় কয়েকপানি গ্রন্থ প্রণয়ন করেন । পাদরী কুঞ্চ বন্দ্যো ‘বিদ্যাকল্পদ্রুম" নামে একখানা মাসিক পত্রও প্রচার করেন ।
বড়লাট লর্ড হার্ডিং-এর নামে “বিদ্যাকল্পদ্রুম" উৎকৃষ্ট হইয়াছিল। সেই উৎসর্গপত্রের ভাষা দেখিলেই শত বৎসর পূর্বের মাসিক পত্রের অবস্থা ও ভাষা কতকটা বুঝিতে পার। যাইবে :–“গৌড়ীয় ভাষাতে ইউরোপীয় বিদ্যার অনুবাদ ধত বাঞ্ছনীয় তত সহজ নহে, অতএব অসাধ্য জ্ঞান করিয়া আমি অনেক দিন পর্য্যন্ত এ চেষ্টাতে বিরত ছিলাম ; কিন্তু সম্প্রতি কেবল গবৰ্ণমেণ্ট সমীপে উৎসাহ পাইয়া উক্ত অনুবাদের প্রতিজ্ঞাতে পুনশ্চ প্রবৃত্ত হইলাম।”
বড়লাট লর্ড হার্ডিং-এর নামে “বিদ্যাকল্পদ্রুম" উৎকৃষ্ট হইয়াছিল। সেই উৎসর্গপত্রের ভাষা দেখিলেই শত বৎসর পূর্বের মাসিক পত্রের অবস্থা ও ভাষা কতকটা বুঝিতে পার। যাইবে :–“গৌড়ীয় ভাষাতে ইউরোপীয় বিদ্যার অনুবাদ ধত বাঞ্ছনীয় তত সহজ নহে, অতএব অসাধ্য জ্ঞান করিয়া আমি অনেক দিন পর্য্যন্ত এ চেষ্টাতে বিরত ছিলাম ; কিন্তু সম্প্রতি কেবল গবৰ্ণমেণ্ট সমীপে উৎসাহ পাইয়া উক্ত অনুবাদের প্রতিজ্ঞাতে পুনশ্চ প্রবৃত্ত হইলাম।”
এই সময়ে উক্ত দেশীয় পাদরীর "ষড়দর্শন সংগ্রহ” গ্রন্থ এবং ডাক্তার রাজেন্দ্রলালের ‘‘বিবিধার্থ সংগ্রহ” নামক মাসিক পত্র প্রকাশিত হয়। বিবিধার্থ সংগ্রহের ভাষা -“আমরা পল্লিবাসীজনের প্রতি অমর্ধাম্বিত হইয়৷ দুৰ্ব্বল পরামর্শ পক্ষের উল্লেখ করিতেছি ; কিন্তু তাঁহাই যে সৰ্ব্বত্রে এই রীতি হউক এমন আমাদের অভিসন্ধি নহে ।” এই বিবিধার্থ ংগ্রহ ভিন্ন ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল “রহস্ত সন্দর্ভ,” “পত্র কৌমুদী,” “শিবাজীর জীবনী,” “মিবারের ইতিহাস" প্রভৃতি অনেক গ্রন্থ লিখিয়া গিয়াছেন। ইনি, বাঙ্গল, সংস্কৃত, হিন্দী, পানী, উর্দু, ইংরাজী, গ্ৰীকৃ, লাটন, ফরাসী, জার্মান প্রভৃতি বহুবিধ ভাষায় ব্যুৎপন্ন ছিলেন।
এই সময়ে উক্ত দেশীয় পাদরীর "ষড়দর্শন সংগ্রহ” গ্রন্থ এবং ডাক্তার রাজেন্দ্রলালের ‘‘বিবিধার্থ সংগ্রহ” নামক মাসিক পত্র প্রকাশিত হয়। বিবিধার্থ সংগ্রহের ভাষা -“আমরা পল্লিবাসীজনের প্রতি অমর্ধাম্বিত হইয়৷ দুৰ্ব্বল পরামর্শ পক্ষের উল্লেখ করিতেছি ; কিন্তু তাঁহাই যে সৰ্ব্বত্রে এই রীতি হউক এমন আমাদের অভিসন্ধি নহে ।” এই বিবিধার্থ ংগ্রহ ভিন্ন ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল “রহস্ত সন্দর্ভ,” “পত্র কৌমুদী,” “শিবাজীর জীবনী,” “মিবারের ইতিহাস" প্রভৃতি অনেক গ্রন্থ লিখিয়া গিয়াছেন। ইনি, বাঙ্গল, সংস্কৃত, হিন্দী, পানী, উর্দু, ইংরাজী, গ্ৰীকৃ, লাটন, ফরাসী, জার্মান প্রভৃতি বহুবিধ ভাষায় ব্যুৎপন্ন ছিলেন।