পাতা:টুনটুনির বই.djvu/৯৭: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
+
বৈধকরণ
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{gap}}তার পরেই বাঘ এসে, আর ছানা দুটোকে নিয়ে খেতে বসল। ছানা দুটো ভালো করে খাচ্ছে না, খালি বলছে—
<section begin="A97" />{{gap}}তার পরেই বাঘ এসে, আর ছানা দুটোকে নিয়ে খেতে বসল। ছানা দুটো ভালো করে খাচ্ছে না, খালি বলছে—


{{center|<poem>‘বাবাগে বাবা, তোর কি শালা, মোর কি মামা?
{{center|<poem>‘বাবাগো বাবা, তোর কি শালা, মোর কি মামা?
মা’র কি সোদর ভাই?
মা’র কি সোদর ভাই?
শিলের তলে কুমকুম করে—তুলে দে না খাই!’</poem>}}
শিলের তলে কুমকুম করে—তুলে দে না খাই!’</poem>}}
৭ নং লাইন: ৭ নং লাইন:
{{gap}}বাঘ সেদিন কার উপরে চটে এসেছিল, তাই ছানা দুটোর কথা শুনেই, ঠাস-ঠাস করে তাদের দুটো চড় মারল। তারা কি বলছে তা ভেবে দেখল না! খাওয়া শেষ হলে সে মেয়েটিকে বলল, ‘আজ পিঠে করিস, বিকেলে খাব ৷ দেখিস যেন ভালো হয়।’ এই বলে সে আবার বেরিয়ে গেল।
{{gap}}বাঘ সেদিন কার উপরে চটে এসেছিল, তাই ছানা দুটোর কথা শুনেই, ঠাস-ঠাস করে তাদের দুটো চড় মারল। তারা কি বলছে তা ভেবে দেখল না! খাওয়া শেষ হলে সে মেয়েটিকে বলল, ‘আজ পিঠে করিস, বিকেলে খাব ৷ দেখিস যেন ভালো হয়।’ এই বলে সে আবার বেরিয়ে গেল।


{{gap}}বাঘ চলে গেলে পর মেয়েটি শিলের তলা থেকে তার ভাইকে বার করল। তারপর দুজনে খাওয়া-দাওয়া সেরে, উনুন ধরিয়ে তার উপর কড়ীয় করে তেল চড়াল। তারপর বাঘের ছানা দুটোকে কেটে, উলুমের উপর ঝুলিয়ে রেখে, তারা সেখান থেকে ছুটে পালাল।
{{gap}}বাঘ চলে গেলে পর মেয়েটি শিলের তলা থেকে তার ভাইকে বার করল। তারপর দুজনে খাওয়া-দাওয়া সেরে, উনুন ধরিয়ে তার উপর কড়ায় করে তেল চড়াল। তারপর বাঘের ছানা দুটোকে কেটে, উনুনের উপর ঝুলিয়ে রেখে, তারা সেখান থেকে ছুটে পালাল।


{{gap}}বাঘের ছানা উনুনের উপর ঝুলছে, আর ঝ্যাৎ-ব্যাৎ করে রক্তের ফোটা তপ্ত তেলে পড়ছে।
{{gap}}বাঘের ছানা উনুনের উপর ঝুলছে, আর ঝ্যাৎ-ব্যাৎ করে রক্তের ফোঁটা তপ্ত তেলে পড়ছে।


{{gap}}বিকেলে বাঘ ফিরে এসে ঘরে ঢুকবার আগেই সেই শব্দ শুনতে পেল। শুনে সে বললে, ‘বাঃ রে বা! ঐ পিঠে হচ্ছে। পিঠে যদি ভালো হয় তো ভালো, নইলে আমরা তিন বাপ-বেটায় মিলে রাঁধুনী হতভাগীকে ছিঁড়ে খাব?
{{gap}}বিকেলে বাঘ ফিরে এসে ঘরে ঢুকবার আগেই সেই শব্দ শুনতে পেল। শুনে সে বললে, ‘বাঃ রে বা! ঐ পিঠে হচ্ছে। পিঠে যদি ভালো হয় তো ভালো, নইলে আমরা তিন বাপ-বেটায় মিলে রাঁধুনী হতভাগীকে ছিঁড়ে খাব!


{{gap}}তারপর ঘরে ঢুকেই তো দেখল কি রকম পিঠে হচ্ছে। তখন বাঘ ‘হালুম হালুম’ করে ঘরময় খুঁজতে লাগল। কিন্তু গৃহস্থের মেয়েকে আর কোথায় পাবে! সে ততক্ষণে তার ভাইকে নিয়ে, মা-বাপের কাছে গিয়ে উপস্থিত হয়েছে। আর গ্রামের সকল লোক ছুটে এসে তাদের নিয়ে কি আনন্দই যে করছে কি বলব!
{{gap}}তারপর ঘরে ঢুকেই তো দেখল কি রকম পিঠে হচ্ছে। তখন বাঘ ‘হালুম হালুম’ করে ঘরময় খুঁজতে লাগল। কিন্তু গৃহস্থের মেয়েকে আর কোথায় পাবে! সে ততক্ষণে তার ভাইকে নিয়ে, মা-বাপের কাছে গিয়ে উপস্থিত হয়েছে। আর গ্রামের সকল লোক ছুটে এসে তাদের নিয়ে কি আনন্দই যে করছে কি বলব!
{{nop}}


<section end="A97" />

{{center|{{x-larger|'''বোকা কুমিরের কথা'''}}}}
<section begin="B96" />{{center|{{x-larger|'''বোকা কুমিরের কথা'''}}}}
{{gap}}কুমির আর শিয়াল মিলে চাষ করতে গেল। কিসের চাষ করবে? আলুর চাষ। আলু হয় মাটির নিচে। তার গাছ থাকে মাটির উপরে, তা দিয়ে কোনো কাজ হয় না। বোকা কুমির সে কথা জানত না। সে ভাবলে বুঝি আলু তার গাছের ফল।
{{gap}}কুমির আর শিয়াল মিলে চাষ করতে গেল। কিসের চাষ করবে? আলুর চাষ। আলু হয় মাটির নিচে। তার গাছ থাকে মাটির উপরে, তা দিয়ে কোনো কাজ হয় না। বোকা কুমির সে কথা জানত না। সে ভাবলে বুঝি আলু তার গাছের ফল।


{{gap}}তাই সে শিয়ালকে ঠকাবার জন্যে বললে, ‘গাছের আগার দিক কিন্তু আমার, আর গোড়ার দিক তোমার।’
{{gap}}তাই সে শিয়ালকে ঠকাবার জন্যে বললে, ‘গাছের আগার দিক কিন্তু আমার, আর গোড়ার দিক তোমার।’
{{nop}}<section end="B96" />