ব্যবহারকারী:Bellayet/খনার বচন
সকাল শোয় সকাল ওঠেসম্পাদনাসকাল শোয় সকাল ওঠে |
||||
যে চাষা খায় পেট ভরেসম্পাদনাযে চাষা খায় পেট ভরে |
খনা ডেকে বলে যানসম্পাদনাখনা ডেকে বলে যান |
যদি না হয় আগনে পানিসম্পাদনাযদি না হয় আগনে পানি, |
শোনরে বাপু চাষার পোসম্পাদনাশোনরে বাপু চাষার পো |
মঙ্গলে ঊষা বুধে পাসম্পাদনামঙ্গলে ঊষা বুধে পা |
গাছগাছালি ঘন সবে নাসম্পাদনাগাছগাছালি ঘন সবে না |
হাত বিশ করি ফাঁকসম্পাদনাহাত বিশ করি ফাঁক |
বিশ হাত করি ফাঁকসম্পাদনাবিশ হাত করি ফাঁক, |
চাষী আর চষা মাটিসম্পাদনাচাষী আর চষা মাটি |
গাছে গাছে আগুন জ্বলেসম্পাদনাগাছে গাছে আগুন জ্বলে |
আলো হাওয়া বেঁধো নাসম্পাদনাআলো হাওয়া বেঁধো না |
যদি না হয় আগনে বৃষ্টিসম্পাদনাযদি না হয় আগনে বৃষ্টি |
যত জ্বালে ব্যঞ্জন মিষ্টসম্পাদনাযত জ্বালে ব্যঞ্জন মিষ্ট |
যে না শোনে খনার বচনসম্পাদনাযে না শোনে খনার বচন |
জ্যৈষ্ঠে খরা, আষাঢ়ে ভরাসম্পাদনাজ্যৈষ্ঠে খরা, আষাঢ়ে ভরা |
আষাঢ় মাসে বান্ধে আইলসম্পাদনাআষাঢ় মাসে বান্ধে আইল |
আষাঢ়ে পনের শ্রাবণে পুরোসম্পাদনাআষাঢ়ে পনের শ্রাবণে পুরো |
তিন শাওনে পানসম্পাদনাতিন শাওনে পান |
পটল বুনলে ফাগুনেসম্পাদনাপটল বুনলে ফাগুনে |
ফাগুনে আগুনসম্পাদনাফাগুনে আগুন, চৈতে মাট |
ভাদ্রের চারি, আশ্বিনের চারিসম্পাদনাভাদ্রের চারি, আশ্বিনের চারি |
লাঙ্গলে না খুঁড়লে মাটিসম্পাদনালাঙ্গলে না খুঁড়লে মাটি, |
সবলা গরু সুজন পুতসম্পাদনাসবলা গরু সুজন পুত |
গরু-জরু-ক্ষেত-পুতাসম্পাদনাগরু-জরু-ক্ষেত-পুতা |
সবল গরু, গভীর চাষসম্পাদনাসবল গরু, গভীর চাষ |
শোন শোন চাষি ভাইসম্পাদনাশোন শোন চাষি ভাই |
হালে নড়বড়, দুধে পানিসম্পাদনাহালে নড়বড়, দুধে পানি |
রোদে ধান, ছায়ায় পানসম্পাদনারোদে ধান, ছায়ায় পান। |
আগে বাঁধবে আইলসম্পাদনাআগে বাঁধবে আইল |
গাছ-গাছালি ঘন রোবে নাসম্পাদনাগাছ-গাছালি ঘন রোবে না |
খরা ভুয়ে ঢালবি জল
সম্পাদনাখরা ভুয়ে ঢালবি জল
সারাবছর পাবি ফল।
ষোল চাষে মূলা
সম্পাদনাষোল চাষে মূলা, তার অর্ধেক তুলা
তার অর্ধেক ধান, তার অর্ধেক পান।
ডাঙ্গা নিড়ান বান্ধন আলি
সম্পাদনাডাঙ্গা নিড়ান বান্ধন আলি
তাতে দিও নানা শালি।
কাঁচা রোপা শুকায়
সম্পাদনাকাঁচা রোপা শুকায়
ভুঁইয়ে ধান ভুঁইয়ে লুটায়।
বার পুত, তের নাতি
সম্পাদনাবার পুত, তের নাতি
তবে কর কুশার ক্ষেতি।
তাল বাড়ে ঝোঁপে
সম্পাদনাতাল বাড়ে ঝোঁপে
খেজুর বাড়ে কোপে।
গাজর, গন্ধি, সুরী
সম্পাদনাগাজর, গন্ধি, সুরী
তিন বোধে দূরী।
খনা বলে শোনভাই
সম্পাদনাখনা বলে শোনভাই
তুলায় তুলা অধিক পাই।
ঘন সরিষা পাতলা রাই
সম্পাদনাঘন সরিষা পাতলা রাই
নেংগে নেংগে কার্পাস পাই।
বারো মাসে বারো ফল
সম্পাদনাবারো মাসে বারো ফল
না খেলে যায় রসাতল।
ফল খেয়ে জল খায়
সম্পাদনাফল খেয়ে জল খায়
জম বলে আয় আয়।
কলা-রুয়ে কেটো না পাত
সম্পাদনাকলা-রুয়ে কেটো না পাত,
তাতে কাপড় তাতেই ভাত।
চাষে মুলা তার
সম্পাদনাচাষে মুলা তার
অর্ধেক তুলা তার
অর্ধেক ধান
বিনা চাষে পান
বিপদে পড় নহে ভয়
সম্পাদনাবিপদে পড় নহে ভয়
অভিজ্ঞতায় হবে জয়
উত্তর দুয়ারি ঘরের রাজা
সম্পাদনাউত্তর দুয়ারি ঘরের রাজা
দক্ষিণ দুয়ারি তাহার প্রজা।
পূর্ব দুয়ারির খাজনা নাই
পশ্চিম দুয়ারির মুখে ছাই।।
কপালে নাই ঘি
সম্পাদনাকপালে নাই ঘি,
ঠকঠকালে হবে কি!
নিজের বেলায় আটিঁগাটি
সম্পাদনানিজের বেলায় আটিঁগাটি,
পরের বেলায় চিমটি কাটি।
পুকুরে তে পানি নাই
সম্পাদনাপুকুরে তে পানি নাই, পাতা কেনো ভাসে
যার কথা মনে করি সেই কেনো হাসে ?
ভাত দেবার মুরোদ নাই
সম্পাদনাভাত দেবার মুরোদ নাই,
কিল দেবার গোসাঁই।
নদীর জল ঘোলাও ভালো
সম্পাদনানদীর জল ঘোলাও ভালো,
জাতের মেয়ে কালোও ভালো
খাঁদা নাকে আবার নথ
সম্পাদনাখাঁদা নাকে আবার নথ!
থাক দুখ পিতে
সম্পাদনাথাক দুখ পিতে,(পিত্তে)
ঢালমু দুখ মাঘ মাসের শীতে।
কি কর শ্বশুর মিছে খেটে
সম্পাদনাকি কর শ্বশুর মিছে খেটে
ফাল্গুনে এঁটে পোত কেটে
বেড়ে যাবে ঝাড়কি ঝাড়
কলা বইতে ভাংগে ঘাড়।
ভাদরে করে কলা রোপন
সম্পাদনাভাদরে করে কলা রোপন
স্ববংশে মরিল রাবণ।
গো নারিকেল নেড়ে রো
সম্পাদনাগো নারিকেল নেড়ে রো
আমা টুকরা কাঁঠাল ভো।
সুপারীতে গোবর
সম্পাদনাসুপারীতে গোবর, বাশে মাটি
অফলা নারিকেল শিকর কাটি
খনা বলে শুনে যাও
সম্পাদনাখনা বলে শুনে যাও
নারিকেল মুলে চিটা দাও
গাছ হয় তাজা মোটা
তাড়াতাড়ি ধরে গোটা।
ডাক ছেড়ে বলে রাবণ
সম্পাদনাডাক ছেড়ে বলে রাবণ
কলা রোবে আষাঢ় শ্রাবণ।
পূর্ব আষাঢ়ে দক্ষিণা বয়
সম্পাদনাপূর্ব আষাঢ়ে দক্ষিণা বয়
সেই বৎসর বন্যা হয়।
মংগলে উষা বুধে পা
সম্পাদনামংগলে উষা বুধে পা
যথা ইচ্ছা তথা যা।
পুত্র ভাগ্যে যশ
সম্পাদনাপুত্র ভাগ্যে যশ
কন্যা ভাগ্যে লক্ষী
উঠান ভরা লাউ শসা
সম্পাদনাউঠান ভরা লাউ শসা
ঘরে তার লক্ষীর দশা
বামুন বাদল বান
সম্পাদনাবামুন বাদল বান
দক্ষিণা পেলেই যান।
বেঙ ডাকে ঘন ঘন
সম্পাদনাবেঙ ডাকে ঘন ঘন
শীঘ্র হবে বৃষ্টি জান।
আউশ ধানের চাষ
সম্পাদনাআউশ ধানের চাষ
লাগে তিন মাস।
যদি বর্ষে গাল্গুনে
সম্পাদনাযদি বর্ষে গাল্গুনে
চিনা কাউন দ্বিগুনে।
যদি হয় চৈতে বৃষ্টি
সম্পাদনাযদি হয় চৈতে বৃষ্টি
তবে হবে ধানের সৃষ্টি।
চালায় চালায় কুমুড় পাতা
সম্পাদনাচালায় চালায় কুমুড় পাতা
লক্ষ্মী বলেন আছি তথা।
আখ আদা রুই
সম্পাদনাআখ আদা রুই
এই তিন চৈতে রুই।
চৈত্রে দিয়া মাটি
সম্পাদনাচৈত্রে দিয়া মাটি
বৈশাখে কর পরিপাটি।
দাতার নারিকেল
সম্পাদনাদাতার নারিকেল, বখিলের বাঁশ
কমে না বাড়ে বারো মাস।
সোমে ও বুধে না দিও হাত
সম্পাদনাসোমে ও বুধে না দিও হাত
ধার করিয়া খাইও ভাত।
জৈষ্ঠতে তারা ফুটে
সম্পাদনাজৈষ্ঠতে তারা ফুটে
তবে জানবে বর্ষা বটে।
বাঁশের ধারে হলুদ দিলে
সম্পাদনাবাঁশের ধারে হলুদ দিলে
খনা বলে দ্বিগুণ বাড়ে।
গাই পালে মেয়ে
সম্পাদনাগাই পালে মেয়ে
দুধ পড়ে বেয়ে।
শুনরে বাপু চাষার বেটা
সম্পাদনাশুনরে বাপু চাষার বেটা
মাটির মধ্যে বেলে যেটা
তাতে যদি বুনিস পটল
তাতে তোর আশার সফল।
মাঘ মাসে বর্ষে দেবা
সম্পাদনামাঘ মাসে বর্ষে দেবা
রাজ্য ছেড়ে প্রজার সেবা।
চৈতের কুয়া আমের ক্ষয়
সম্পাদনাচৈতের কুয়া আমের ক্ষয়
তাল তেঁতুলের কিবা হয়।
আমে ধান
সম্পাদনাআমে ধান
তেঁতুলে বান।
হইবো পুতে ডাকবো বাপ
সম্পাদনাহইবো পুতে ডাকবো বাপ
তয় পুরবো মনর থাপ।
পারেনা ল ফালাইতে
সম্পাদনাপারেনা ল ফালাইতে
উইঠা থাকে বিয়ান রাইতে।
যদি বর্ষে মাঘের শেষ
সম্পাদনাযদি বর্ষে মাঘের শেষ
ধন্যি রাজা পুণ্যি দেশ
সূর্যের চেয়ে বালি গরম
সম্পাদনাসূর্যের চেয়ে বালি গরম!!
নদীর চেয়ে প্যাক ঠান্ডা!!
সমানে সমানে দোস্তি
সম্পাদনাসমানে সমানে দোস্তি
সমানে সমানে কুস্তি।
হোলা গোশশা অইলে বাশশা
সম্পাদনাহোলা গোশশা অইলে বাশশা,
মাইয়া গোশশা অইলে বেইশশা
মেয়ে নষ্ট ঘাটে
সম্পাদনামেয়ে নষ্ট ঘাটে,
ছেলে নষ্ট হাটে।
আল্লায় দিয়া ধন দেখে মন
সম্পাদনাআল্লায় দিয়া ধন দেখে মন,
কাইড়া নিতে কতক্ষণ।
যদি থাকে বন্ধুরে মন
সম্পাদনাযদি থাকে বন্ধুরে মন
গাং সাঁতরাইতে কতক্ষণ।
কাল ধানের ধলা পিঠা
সম্পাদনাকাল ধানের ধলা পিঠা,
মা'র চেয়ে মাসি মিঠা।
পরের বাড়ির পিঠা
সম্পাদনাপরের বাড়ির পিঠা
খাইতে বড় ই মিঠা।
ঘরের কোনে মরিচ গাছ
সম্পাদনাঘরের কোনে মরিচ গাছ
লাল মরিচ ধরে,
তোমার কথা মনে হলে
চোখের পানি পড়ে!
সোল বোয়ালের পোনা
সম্পাদনাসোল বোয়ালের পোনা
যার যারটা তার তার কাছে সোনা।
ছায়া ভালো ছাতার তল
সম্পাদনাছায়া ভালো ছাতার তল,
বল ভালো নিজের বল।
(বিয়াই'র পুত নিয়া সাত পুত গুণতে নাই।)
যা করিবে বান্দা তা-ই পাইবে
সম্পাদনাযা করিবে বান্দা তা-ই পাইবে।
সুই চুরি করিলে কুড়াল হারাইবে।
খালি পেটে পানি খায়
সম্পাদনাখালি পেটে পানি খায়
যার যার বুঝে খায়।
তেলা মাথায় ঢালো তেল
সম্পাদনাতেলা মাথায় ঢালো তেল,
শুকনো মাথায় ভাঙ্গ বেল।
চৈত্রে চালিতা
সম্পাদনাচৈতে (চৈত্র মাস)চালিতা( চালতা)
বৈশাখে নালিতা( নাইল্লা/পাট শাক),
জৈষ্টে দই
আষাড়ে খই,
শ্রাবণে ভোর পান্থা
ভাদ্রে তালের পিঠা
আশ্বিনে শসা মিঠা,
কার্তিকে ওল
আগ্রাহায়নে খলিসা মাছের ঝুল,
পৌষে তেল
মাঘে বেল
ফাল্গুনে সব ফুরায়া গেল।
মিললে মেলা।
সম্পাদনামিললে মেলা।
না মিললে একলা একলা ভালা!
সাত পুরুষে কুমাড়ের ঝি
সম্পাদনাসাত পুরুষে কুমাড়ের ঝি,
সরা দেইখা কয়, এইটা কি?
না পাইয়া পাইছে ধন
সম্পাদনানা পাইয়া পাইছে ধন;
বাপে পুতে কীর্তন।
কাচায় না নোয়ালে বাশ
সম্পাদনাকাচায় না নোয়ালে বাশ,
পাকলে করে ঠাস ঠাস!
যুগরে খাইছে ভূতে
সম্পাদনাযুগরে খাইছে ভূতে
বাপরে মারে পুতে।
দশে মিলে করি কাজ
সম্পাদনাদশে মিলে করি কাজ
হারি জিতি নাহি লাজ।
যাও পাখি বলো তারে
সম্পাদনাযাও পাখি বলো তারে
সে যেন ভুলেনা মোরে।
ফুল তুলিয়া রুমাল দিলাম যতন করি রাখিও
সম্পাদনাফুল তুলিয়া রুমাল দিলাম যতন করি রাখিও।
আমার কথা মনে ফইল্লে রুমাল খুলি দেখিও।
একে তে নাচুনী বুড়ি
সম্পাদনাএকে তে নাচুনী বুড়ি,
তার উপর ঢোলের বারি
চোরের মার বড় গলা
সম্পাদনাচোরের মার বড় গলা
লাফ দিয়ে খায় গাছের কলা
ভাই বড়ো ধন
সম্পাদনা“ভাই বড়ো ধন, রক্তের বাঁধন
যদি ও পৃথক হয়, নারীর কারন।"
জ্যৈষ্ঠে শুকো আষাঢ়ে ধারা
সম্পাদনাজ্যৈষ্ঠে শুকো আষাঢ়ে ধারা।
শস্যের ভার না সহে ধরা।"
যদি হয় সুজন
সম্পাদনাযদি হয় সুজন
এক পিড়িতে নয় জন।
যদি হয় কুজন
নয় পিড়িতে নয় জন
(যদি হয় সুজন, তেতুল পাতায় ন'জন।)
হাতিরও পিছলে পাও
সম্পাদনা"হাতিরও পিছলে পাও।
সুজনেরও ডুবে নাও।"
গাঙ দেখলে মুত আসে
সম্পাদনাগাঙ দেখলে মুত আসে
নাঙ দেখলে হাস আসে (নাঙ মানে - স্বামী)
ক্ষেত আর পুত
সম্পাদনাক্ষেত আর পুত।
যত্ন বিনে যমদূত।।
গরু ছাগলের মুখে বিষ
সম্পাদনাগরু ছাগলের মুখে বিষ।
চারা না খায় রাখিস দিশ ।।
আকাশে কোদালীর বাউ
সম্পাদনাআকাশে কোদালীর বাউ।
ওগো শ্বশুড় মাঠে যাও।।
মাঠে গিয়া বাঁধো আলি।
বৃষ্টি হবে আজি কালি।।
যদি ঝরে কাত্তি
সম্পাদনাযদি ঝরে কাত্তি।
সোনা রাত্তি রাত্তি।।
আষাঢ়ের পানি
সম্পাদনাআষাঢ়ের পানি।
তলে দিয়া গেলে সার।
উপরে দিয়া গেলে ক্ষার।।
গাঁ গড়ানে ঘন পা
সম্পাদনাগাঁ গড়ানে ঘন পা।
যেমন মা তেমন ছা।।
থেকে বলদ না বয় হাল,
তার দুঃখ সর্ব্বকাল।
যে চাষা খায় পেট ভরে
সম্পাদনাযে চাষা খায় পেট ভরে।
গরুর পানে চায় না ফিরে।
গরু না পায় ঘাস পানি।
ফলন নাই তার হয়রানি।।
গরুর পিঠে তুললে হাত
সম্পাদনাগরুর পিঠে তুললে হাত।
গিরস্থে কভু পায় না ভাত।।
গাই দিয়া বায় হাল
দু:খ তার চিরকাল।
দিন থাকতে বাঁধে আল
সম্পাদনাদিন থাকতে বাঁধে আল।
তবে খায় তিন শাল।।
বারো পুত তেরো নাতি।
তবে করো বোরো খেতি।।
মেঘ করে রাত্রে হয় জল
সম্পাদনামেঘ করে রাত্রে হয় জল।
তবে মাঠে যাওয়াই বিফল।।
যদি থাকে টাকা করবার গোঁ
সম্পাদনাযদি থাকে টাকা করবার গোঁ।
চৈত্র মাসে ভুট্টা দিয়ে রো।।
হলে ফুল কাট শনা
সম্পাদনাহলে ফুল কাট শনা।
পাট পাকিলে লাভ দ্বিগুণা।।
পাঁচ রবি মাসে পায়
সম্পাদনাপাঁচ রবি মাসে পায়,
ঝরা কিংবা খরায় যায়।
খনা বলে শুন কৃষকগণ
সম্পাদনাখনা বলে শুন কৃষকগণ
হাল লয়ে মাঠে বেরুবে যখন
শুভ দেখে করবে যাত্রা
না শুনে কানে অশুভ বার্তা।
ক্ষেতে গিয়ে কর দিক নিরূপণ,
পূর্ব দিক হতে হাল চালন
নাহিক সংশয় হবে ফলন।
ভরা হতে শুন্য ভাল যদি ভরতে যায়
সম্পাদনাভরা হতে শুন্য ভাল যদি ভরতে যায়,
আগে হতে পিছে ভাল যদি ডাকে মায়।
মরা হতে তাজা ভাল যদি মরতে যায়,
বাঁয়ে হতে ডাইনে ভাল যদি ফিরে চায়।
বাঁধা হতে খোলা ভাল মাথা তুলে চায়,
হাসা হতে কাঁদা ভাল যদি কাঁদে বাঁয়।
কি করো শ্বশুর লেখা জোখা
সম্পাদনাকি করো শ্বশুর লেখা জোখা,
মেঘেই বুঝবে জলের রেখা।
কোদাল কুড়ুলে মেঘের গাঁ,
মধ্যে মধ্যে দিচ্ছে বা।
কৃষককে বলোগে বাঁধতে আল,
আজ না হয় হবে কাল।
বার বছরে ফলে তাল
সম্পাদনাবার বছরে ফলে তাল,
যদি না লাগে গরু নাল।
এক পুরুষে রোপে তাল
সম্পাদনাএক পুরুষে রোপে তাল,
অন্য পুরুষি করে পাল।
তারপর যে সে খাবে,
তিন পুরুষে ফল পাবে।
নিত্যি নিত্যি ফল খাও
সম্পাদনানিত্যি নিত্যি ফল খাও,
বদ্যি বাড়ি নাহি যাও।
চৈত্রেতে থর থর
সম্পাদনাচৈত্রেতে থর থর
বৈশাখেতে ঝড় পাথর
জ্যৈষ্ঠতে তারা ফুটে
তবে জানবে বর্ষা বটে।
সাত হাতে, তিন বিঘাতে
সম্পাদনাসাত হাতে, তিন বিঘাতে
কলা লাগাবে মায়ে পুতে।
কলা লাগিয়ে না কাটবে পাত,
তাতেই কাপড় তাতেই ভাত।
দিনের মেঘে ধান
সম্পাদনাদিনের মেঘে ধান,
রাতের মেঘে পান।
বেল খেয়ে খায় পানি
সম্পাদনাবেল খেয়ে খায় পানি,
জির বলে মইলাম আমি।
আম খেয়ে খায় পানি
সম্পাদনাআম খেয়ে খায় পানি,
পেঁদি বলে আমি ন জানি।
শুধু পেটে কুল
সম্পাদনাশুধু পেটে কুল,
ভর পেটে মূল।
চৈতে গিমা তিতা
সম্পাদনাচৈতে গিমা তিতা,
বৈশাখে নালিতা মিঠা,
জ্যৈষ্ঠে অমৃতফল আষাঢ়ে খৈ,
শায়নে দৈ।
ভাদরে তালের পিঠা,
আশ্বিনে শশা মিঠা,
কার্তিকে খৈলসার ঝোল,
অগ্রাণে ওল।
পৌষে কাঞ্ছি, মাঘে তেল,
ফাল্গুনে পাকা বেল।
তিন নাড়ায় সুপারী সোনা
সম্পাদনাতিন নাড়ায় সুপারী সোনা,
তিন নাড়ায় নারকেল টেনা,
তিন নাড়ায় শ্রীফল বেল,
তিন নাড়ায় গেরস্থ গেল।
আম লাগাই জাম লাগাই
সম্পাদনাআম লাগাই জাম লাগাই
কাঁঠাল সারি সারি-
বারো মাসের বারো ফল
নাচে জড়াজড়ি।
তাল, তেঁতুল, কুল
সম্পাদনাতাল, তেঁতুল, কুল
তিনে বাস্তু নির্মূল।
ঘোল, কুল, কলা
সম্পাদনাঘোল, কুল, কলা
তিনে নাশে গলা।
আম নিম জামের ডালে
সম্পাদনাআম নিম জামের ডালে
দাঁত মাজও কুতুহলে।
সকল গাছ কাটিকুটি
সম্পাদনাসকল গাছ কাটিকুটি
কাঁঠাল গাছে দেই মাটি।
শাল সত্তর, আসন আশি
সম্পাদনাশাল সত্তর, আসন আশি
জাম বলে পাছেই আছি।
তাল বলে যদি পাই কাত
বার বছরে ফলে একরাত।
পূর্ণিমা আমাবস্যায় যে ধরে হাল
সম্পাদনাপূর্ণিমা আমাবস্যায় যে ধরে হাল,
তার দুঃখ হয় চিরকাল।
তার বলদের হয় বাত
তার ঘরে না থাকে ভাত।
খনা বলে আমার বাণী,
যে চষে তার হবে জানি।
ভাদরের চারি আশ্বিনের চারি
সম্পাদনাভাদরের চারি আশ্বিনের চারি,
কলাই রোব যত পারি।
ফাল্গুন না রুলে ওল
সম্পাদনাফাল্গুন না রুলে ওল,
শেষে হয় গণ্ডগোল।
মাঘে মুখী, ফাল্গুনে চুখি
সম্পাদনামাঘে মুখী, ফাল্গুনে চুখি,
চৈতে লতা, বৈশাখে পাতা।
সরিষা বনে কলাই মুগ
সম্পাদনাসরিষা বনে কলাই মুগ,
বুনে বেড়াও চাপড়ে বুক।
গোবর দিয়া কর যতন
সম্পাদনাগোবর দিয়া কর যতন,
ফলবে দ্বিগুণ ফসল রতন।
খনা বলে চাষার পো
সম্পাদনাখনা বলে চাষার পো
শরতের শেষে সরিষা রো।
সেচ দিয়ে করে চাষ
সম্পাদনাসেচ দিয়ে করে চাষ,
তার সবজি বার মাস।
তিনশ ষাট ঝাড় কলা রুয়ে
সম্পাদনাতিনশ ষাট ঝাড় কলা রুয়ে
থাকগা চাষি মাচায় শুয়ে,
তিন হাত অন্তর এক হাত খাই
কলা পুতগে চাষা ভাই।
বৎসরের প্রথম ঈশানে বয়
সম্পাদনাবৎসরের প্রথম ঈশানে বয়,
সে বৎসর বর্ষা হবে খনা কয়।
শুনরে বেটা চাষার পো
সম্পাদনাশুনরে বেটা চাষার পো,
বৈশাখ জ্যৈষ্ঠে হলুদ রো।
আষাঢ় শাওনে নিড়িয়ে মাটি,
ভাদরে নিড়িয়ে করবে খাঁটি।
হলুদ রোলে অপর কালে,
সব চেষ্টা যায় বিফলে।
পান লাগালে শ্রাবণে
সম্পাদনাপান লাগালে শ্রাবণে,
খেয়ে না কুলায় রাবণে।
ফাল্গুনে আগুন চৈতে মাটি
সম্পাদনাফাল্গুনে আগুন চৈতে মাটি,
বাঁশ বলে শীঘ্র উঠি।