ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী/১৫
(পৃ. ৩৭-৩৮)
(১৫)
টোড়ি।
সখিরে—পিরীত বুঝবে কে?
অঁধার হৃদয়ক দুঃখ কাহিনী
বোলব, শুনবে কে?
রাধিকার অতি অন্তর বেদন
কে বুঝবে অয়ি সজনী
কে বুঝবে সখি রোয়ত রাধ
কোন দুখে দিন রজনী?
কলঙ্ক রটায়ব জনি সখি রটাও[১]
কলঙ্ক নাহিক মানি,
সকল তয়াগব লভিতে শ্যামক
একঠো আদর বাণী।
মিনতি করিলো সখি শত শত বার, তু
শ্যামক না দিহ গারি,
শীল মান কুল, অপনি সজনি হম,
চরণে দেয়নু ডারি।
সখিলো——
বৃন্দাবনকো দুৰুজন মানুখ
পিরীত নাহিক জানে,
বৃথাই নিন্দা কাহ রটায়ত
হমার শ্যামক নামে?
কলঙ্কিনী হম রাধা, সখিলো
ঘৃণা করহ জনি[২] মনমে,
ন আসিও তব্ কবহু সজনি লো
হমার অঁধা ভবনমে।
কহে ভানু অব—বুঝবে না সখি
কোহি মরমকো বাত,
বিরলে শ্যামক কহিও বেদন,
বক্ষে রাখয়ি মাথ!