ভারতপথিক রামমোহন রায়/গ্রন্থপরিচয়

গ্র ন্থ প রি চ য়

‘যিনি আমার পরমপূজনীয়[], যাঁর কাছ থেকে আমার জীবনের পূজা আমার সমস্ত জীবনের সাধনা আমি গ্রহণ করেছি’, সেই রামমোহনের উদ্দেশে রবীন্দ্রনাথ যৌবনকাল হইতে আরম্ভ করিয়া আমৃত্যু জীবনের বিভিন্ন পর্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করিয়া গিয়াছেন। ‘ভারতপথিক রামমোহন’ গ্রন্থে এই শ্রদ্ধার্ঘ্যসম্ভার যথাসাধ্য সংকলিত হইয়াছে।

রামমোহন-মৃত্যু-শতবার্ষিকী উপলক্ষে এই গ্রন্থের প্রথম প্রচার, এবং রবীন্দ্র-জন্ম-শতবার্ষিকীর প্রাক্কালে, গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত বহু রচনা -সংবলিত ইহার নূতন সংস্করণ প্রকাশিত হয়। শ্রীপুলিনবিহারী সেন মহাশয় এই নূতন সংস্করণের সংকলন এবং আনুপূর্বিক সম্পাদনা করিয়াছেন।

কবিতা

প্রবেশক। ‘নান! দুঃখে চিত্তের বিক্ষেপে’। ১৩৪৭ ফাল্গুন সংখ্যা প্রবাসীতে প্রকাশিত ‘১১ই মাঘ’ প্রবন্ধের (এই গ্রন্থের তৃতীয় প্রবন্ধ) অনুবৃত্তিরূপে ‘চিরস্মরণীয়’ নামে প্রকাশিত। সম্ভবত দুইটি রচনাই প্রায় একই কালে লিখিত। কবিতাটি পরে ‘জন্মদিনে’ (১ বৈশাখ ১৩৪৮) গ্রন্থে সংকলিত।

‘হে রামমোহন, আজি শতেক বৎসর করি পার’। রামমোহন-মৃত্যুশতবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রসমাজ যে স্মারকগ্রন্থ (THE STUDENTS’ RAMMOHUN CENTENARY VOLUME, Calcutta, 1934) প্রকাশ করেন, তাহাতে প্রথম প্রকাশিত।

অভিভাষণ ও প্রবন্ধ

*†১.  রামমোহন-মৃত্যু-শতবার্ষিক উৎসবে (২৯ ডিসেম্বর ১৯৩৩। ১৪ পৌষ ১৩৪০ পঠিত সভাপতির অভিভাষণ। উৎসবাহনুষ্ঠানে ইহা পুস্তিকাকারে প্রচারিত হয়।

†২.  শতবার্ষিক-উৎসবের সমাপ্তিদিবসে (৩১ ডিসেম্বর ১৯৩৩) কথিত অভিভাষণ। ‘রামমোহন রায়’ নামে ১৩৪০ ফাল্গুন সংখ্যা প্রবাসীতে প্রকাশিত।

৩.  ১৩৪৭ ফাল্গুন সংখ্যা প্রবাসীতে ‘১১ই মাঘ’ নামে প্রকাশিত।

৪.  ১৩৪৩ ফাল্গুন সংখ্যা প্রবাসীতে ‘রামমোহন রায়’ নামে প্রকাশিত। ১৩৪৩ সালের ১০ আশ্বিন তারিখে শান্তিনিকেতনে রামমোহন-স্মৃতিবাসরে কথিত। শ্রীপ্রভাতচন্দ্র গুপ্ত -কর্তৃক অনুলিখিত; এই অনুলিপি বক্তা সংশোধন করিয়া দেন।

৫.  ১৩৪৩ বৈশাখ সংখ্যা প্রবাসীতে ‘মাঘোৎসব ১’ নামে প্রকাশিত। শান্তিনিকেতনে মাঘোৎসবে (১৩৪২) আচার্যের উদ্‌বোধন। শ্রীক্ষিতীশ রায় -কর্তৃক অনুলিখিত।

৬. ১৩৩৫ চৈত্র সংখ্যা প্রবাসীতে ‘রামমোহন রায়’ নামে প্রকাশিত। ‘শান্তিনিকেতনে মাঘোৎসব উপলক্ষে ব্যাখ্যাত’।

৭.  ১৩৩৫ সালে ব্রাহ্মসমাজ-প্রতিষ্ঠার শতবার্ষিক উৎসবে ৬ ভাদ্র প্রাতঃকালে রবীন্দ্রনাথ কলিকাতা সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ-মন্দিরে যে অভিভাষণ পাঠ করেন, অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র অক্ষরে মুদ্রিত অংশ তাহার মৌখিক ভূমিকা; প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ কর্তৃক অনুলিখিত। ‘রুদ্রের আহ্বান ও আশীর্বাদ’ নামে ১৩৩৫ আশ্বিন সংখ্যা প্রবাসীতে প্রকাশিত। পরবর্তী অংশ, অর্থাৎ লিখিত অভিভাষণ, *‘রামমোহন রায়’ নামে ১৩৩৫ আশ্বিন সংখ্যা প্রবাসীতেই মুদ্রিত হয়। ইহার ইংরেজি অনুবাদ Ram Mohun Roy নামে ১৯২৮ সেপ্টেম্বর সংখ্যা Modern Review পত্রে প্রকাশিত হয়। পূর্বোক্ত The Students’ Rammohun Centenary Volume (1934) গ্রন্থে এই অনুবাদের একটি পরিমার্জিত রূপ মুদ্রিত হইয়াছিল।

*৮.  কলিকাতা রামমোহন লাইব্রেরি গৃহে রামমোহন-স্মরণ সভায় সভাপতির অভিভাষণ, ১৩২২। এই বক্তৃতার মর্ম সঞ্জীবনী হইতে ১৩২২ কার্তিক সংখ্যা প্রবাসীতে ‘বিবিধ প্রসঙ্গ’ বিভাগে ‘নব্য ভারতের জনক রাজা রামমোহন রায়’ প্রসঙ্গে পুনর‍্মুদ্রিত। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার কার্তিক ১৮৩৭ শক সংখ্যাতেও পুনর‍্মুদ্রিত।

৯.  ১৩৫৩ কার্তিক সংখ্যা ভারতী পত্রে মুদ্রিত। ১৩৫৩ সনের তত্ত্বকৌমুদী পত্রে ১৬ ভাদ্র ও ১ আশ্বিন সংখ্যায় পুনর‍্মুদ্রিত।

*১০.  মাঘ ১২৯১ সংখ্যা ভারতী ও ১৮০৬ শকের চৈত্র সংখ্যা তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় প্রকাশিত। পরে পুস্তিকাকারে প্রকাশিত (মার্চ ১৮৮৫)। পুস্তিকার মলাটে এই বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত আছে— ‘রাজা রামমোহন রায়ের স্মরণার্থ সভায় ১২৯১ সালের ৫ মাঘে সিটি কলেজ গৃহে শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -কর্তৃক এই প্রবন্ধটি পঠিত হয়।’

গ্রন্থের ভূমিকায় লিখিত আছে— ‘রামমোহন রায়ের মতের উদারতা সম্বন্ধে এই প্রবন্ধে যাহা বলা হইয়াছে তাহা অনেকে ভুল বুঝিয়াছেন। মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের ধর্ম-সম্বন্ধীয় মত যে অত্যন্ত উদার ছিল তাহা লেখক স্বীকারই করিয়াছেন। তাঁহার ধর্মপ্রচার সম্বন্ধে যাহা বলা হইয়াছে তাহা প্রতিবাদকারিগণ পুনর্বার মনোযোগের সহিত পাঠ করিবেন।’

চারিত্রপূজা (১৯০৭) গ্রন্থে এই প্রবন্ধের একটি পরিমার্জিত পাঠ প্রকাশিত হয়; বর্তমান গ্রন্থেও তাহাই সংকলিত হইয়াছে। সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি রবীন্দ্র-রচনাবলী চতুর্থ খণ্ডে মুদ্রিত।

কলিকাতা রামমোহন লাইব্রেরিতে ১১ আশ্বিন ১৩২৪ (২৭ সেপ্টেম্বর ১৯১৭) রামমোহন-স্মরণ সভায় রবীন্দ্রনাথ সভাপতির আসন গ্রহণ করেন ও ‘একটি দীর্ঘ বক্তৃতা করেন। দুঃখের বিষয় এই সুন্দর বক্তৃতাটি কেহ লিখিয়া লন নাই।’ তত্ত্বকৌমুদী ও সঞ্জীবনীতে এই বক্তৃতার যে তাৎপর্য প্রকাশিত হইয়াছিল ১৩২৪ কার্তিক সংখ্যা প্রবাসীতে ‘বিবিধ প্রসঙ্গ’ বিভাগে ‘রাজা রামমোহন রায়’ শীর্ষক প্রসঙ্গে তাহা সংকলিত আছে। সঞ্জীবনীতে-প্রকাশিত তাৎপর্য প্রবাসী হইতে নিম্নে উদ্‌দ্বৃত হইল—

 ‘শিশু মায়ের কোলে বাড়িতে থাকে। প্রত্যেক জাতি তেমনি আপন আপন ভৌগোলিক সীমার মধ্যে বাড়িয়া থাকে। এইরূপ বৃদ্ধি ও পরিণতির প্রয়োজন আছে। এক সময়ে পৃথিবীর সকল জাতি এইরূপ বিচ্ছিন্নভাবে বাড়িয়াছে। কিন্তু এই বৃদ্ধিই চরম বৃদ্ধি নহে। সকল জাতিকেই বিশ্বের মন্দিরে পূজার অর্থ জোগাইতে হইবে।

 ‘আপনারা শুনিয়াছেন যে ফরাসী রাষ্ট্রবিপ্লবের যুগে রামমোহন জন্মলাভ করেন। ঐ বিপ্লবের যুগে যে বিশ্ববাণী ধ্বনিত হইতেছিল তাহা কেমন করিয়া শিশু রামমোহনের প্রাণ স্পর্শ করে আমরা তাহা বুঝিতে পারি না।

 ‘উষার অরুণরশ্মি যেমন উচ্চ শিখরগুলিকে আলোকমণ্ডিত করে, তেমনি সেই যুগে পৃথিবীর কতিপয় মহাত্মা বিশ্ববোধের আলোক লাভ করিয়াছিলেন। শিখরে যখন প্রথম আলোকসম্পাত হয় তখন নিম্নভূমি গভীর অন্ধকারে আবৃত থাকে। বঙ্গভূমি যখন নানা কুসংস্কার ও অজ্ঞানতার গভীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন তখন বালক রামমোহন অলৌকিক রূপে বিশ্ববোধের আলোক লাভ করিয়াছিলেন। এই জ্ঞানলাভের পক্ষে দেশ অনুকূল ছিল না, বরং সমস্তই তাঁহার প্রতিকূলে ছিল। তিনি যেন দৈবশক্তিবলে এই জ্ঞান লাভ করিলেন।

 ‘বঙ্গদেশের এক অখ্যাত অজ্ঞাত পল্লীগ্রামে জন্মগ্রহণ করিয়া তিনি যে কেমন করিয়া বিশ্ববোধ লাভ করিলেন তাহা বিস্ময়কর। তিনিই এই দেশে তখন ভূমার বাণী ঘোষণা করিতেছিলেন। তিনি বলিয়াছেন—

বেদাহমেতং পুরুষং মহান্তং
আদিত্যবর্ণং তমসঃ পরস্তাৎ।

 ‘সেই অন্ধকারের পরপারের মহান্ পুরুষকে তিনি জানিয়াছিলেন। অন্ধকারের পরপার হইতে জ্যোতির্ময় পুরুষের আলোক আসিয়া এই শিখরের উপর পতিত হইয়াছিল।

 ‘পৃথিবীর কোনো জাতি এখন আপনার সীমার মধ্যে বদ্ধ থাকিতে পারিবে না। উহাতে যে হীন দেশাত্মবোধ জাগাইয়া থাকে তাহা হইতেই হানাহানি-মারামারির সৃষ্টি হয়। এখন প্রত্যেক দেশকে আপন গৃহবাতায়ন খুলিয়া দিয়া বিশ্বকে বরণ করিয়া লইতে হইবে। ছোটো হইয়া থাকায় সুখ নাই, ভূমাতেই সুখ।

ভূমৈব সুখম্ নাল্পে সুখমস্তি।

 ‘পৃথিবীর কোনো জাতি হীনতার মধ্যে চিরকাল থাকিবে না। বাঙালির নিরাশার কারণ নাই। বাঙালির গৃহে রামমোহন জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। তিনি বাঙালির ভবিষ্যৎ গৌরব প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন। যাহারা মহৎ তাঁহারা অগৌরবের মধ্যে গৌরবকে, ক্ষুদ্রের মধ্যে বৃহৎকে প্রত্যক্ষ করেন। এখন পৃথিবীতে যে রণকোলাহল চলিতেছে ইহারই মধ্যে প্রতিভাশালী ব্যক্তিরা জাতিসমূহের ভবিষ্যৎ ভ্রাতৃসংঘের ছবি প্রত্যক্ষ করিতেছেন, তখন জাতিতে জাতিতে কিরূপ মৈত্রী স্থাপিত হইবে তাহার আলোচনা চলিতেছে।

 ‘বঙ্গের ভবিষ্যৎ গৌরব তখনকার গভীর অন্ধকারের মধ্যেই রামমোহন প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন, তিনি বাঙালিকে বিশ্বের রাজপথ দেখাইয়া গিয়াছেন, বাঙালির কোনো নিরাশার কোনো আশঙ্কার কারণ নাই, বাঙালি বৃহৎ মনুষ্যত্বের পথে যাত্রা করিয়াছেন।’

রামমোহন-প্রসঙ্গ

বিভিন্ন প্রবন্ধে ও ভাষণে রামমোহন-প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের যে-সব উক্তি পাওয়া যায় তাহারই সংকলন। নিম্নে মূল রচনা ও যে-সকল গ্রন্থ বা পত্রিকা হইতে সেগুলি সংগৃহীত হইয়াছে তাহার নির্দেশ দেওয়া গেল।

শক্তি। বঙ্গদর্শন: মাঘ ১৩১৪
*পূর্ব ও পশ্চিম। সমাজ
*নবযুগের উৎসব। শান্তিনিকেতন
*সামঞ্জস্য। শান্তিনিকেতন
*ব্রাহ্মসমাজের সার্থকতা। শান্তিনিকেতন
*ধর্মশিক্ষা। সঞ্চয়
*ধর্মের নবযুগ। সঞ্চয়
*আত্মপরিচয়। পরিচয়
স্বাধিকারপ্রমত্ত:। কালান্তর
বিদ্যাসাগর। বিদ্যাসাগরচরিত
মরমিয়া! প্রবাসী: ভাদ্র ১৩৩২

ইংরেজি রচনা

*Rammohun Roy। রামমোহন-মৃত্যু-শতবার্ষিক অনুষ্ঠানের কলিকাতা সেনেট হাউসে ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৩ তারিখে উদ্‌যোগ-সভায় (Preliminary Meeting) সভাপতির অভিভাষণ। ইহা পুস্তিকাকারে সভাস্থলে বিতরিত হয়। রামমোহন-শতবার্ষিক উৎসব উপলক্ষে প্রকাশিত, শ্রীঅমল হোম -সম্পাদিত RAMMOHUN ROY/THE MAN AND HIS WORK/ -নামক গ্রন্থে এই প্রবন্ধ (‘Inaugurator of the Modern Age in India’) পুনর‍্মুদ্রিত (ইহা পরে রামমোহন-শতবার্ষিক উৎসবের স্মারক সতীশচন্দ্র চক্রবর্তী -সম্পাদিত THE FATHER OF MODERN INDIA পুস্তকের অন্তর্গত) এবং ১৯৫৬ সেপ্টেম্বরে রামমোহনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ -কর্তৃক পুনরায় পুস্তিকাকারে প্রচারিত হয়।

*চিহ্নিত রচনাগুলি ‘ভারতপথিক রামমোহন রায়’ পুস্তকের প্রথম প্রকাশ-কালে গ্রন্থভুক্ত হয়। †চিহ্নিত রচনা দুইটি বর্তমানে চারিত্রপূজা গ্রন্থের (১৩৪৩ ও পরবর্তী সংস্করণ) অন্তর্গত। এই দুইটি রচন| THE FATHER OF MODERN INDIA গ্রন্থেও মুদ্রিত হইয়াছিল। কবিতা দুইটি ও ইংরেজি রচনাটির বিষয় যথাস্থানে উল্লেখ করা হইয়াছে। অপর রচনাগুলি ‘ভারতপথিক রামমোহন রায়’ গ্রন্থের বর্তমান রবীন্দ্রশতবার্ষিক সংস্করণে প্রথম সংকলিত। সংকলনকার্যে শ্রীশোভনলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের বিশেষ সহায়তা পাওয়া গিয়াছে।

 সংকলিত রচনার শেষে, রামমোহন-স্মরণ সভা, ভাদ্রোৎসব, মাঘোৎসব প্রভৃতি বিশেষ অনুষ্ঠানে অভিভাষণের তারিখ, তদভাবে রচনার মাস ও সাল, দিবার চেষ্টা করা হইয়াছে; কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাস-নির্দেশ অনুমাননির্ভর।

চিত্র

রামমোহনের চিত্রখানি James Cowles Prichard - রচিত RESEARCHES INTO THE PHYSICAL HISTORY OF MANKIND (তৃতীয় খণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ, লণ্ডন, ১৮৪১) গ্রন্থ হইতে গৃহীত।

জন্মকাল

রামমোহনের জন্ম সাল ১৭৭৪ বা ১৭৭২ খৃস্টাব্দএ বিষয়ে মতভেদ আছে —সাহিত্য-সাধক-চরিতমালার ষোড়শ গ্রন্থে ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৭৭৪ সনের অনুকূলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
  1. ‘Who is your hero or heroine in life’ এই প্রশ্নের উত্তরে রবীন্দ্রনাথ এক “Confession Book"এ লিখিয়াছিলেন: রামমোহন রায়। ১৩৬০ বৈশাখ সংখ্যা পরিচয় পত্রে এই প্রশ্নোত্তর মুদ্রিত হইরাছে।