কাকলী

কলছন্দে পূর্ণ তা’র প্রাণ,—
নিত্য বহমান
ভাষার কল্লোলে
জাগাইয়া তোলে
চারিধারে
প্রত্যহের জড়তারে;
সঙ্গীতে তরঙ্গ তুলি’,
হাসিতে ফেনিল তা’র ছোটে দিনগুলি।
আঁখি তা’র কথা কয়, বাহুভঙ্গী কত কথা বলে,
চরণ যখন চলে
কথা ক’য়ে যায়—
যে-কথাটি অরণ্যের পাতায় পাতায়,
যে-কথাটি ঢেউ তোলে
আশ্বিনে ধানের ক্ষেতে—প্রান্ত হ’তে প্রান্তে যায় চ’লে,
যে-কথাটি নিশীথ-তিমিরে
তারায় তারায় কাঁপে অধীর মির্ম্মিরে,
যে-কথাটি মহুয়ার বনে
মধুপগুঞ্জনে
সারাবেলা উঠিছে চঞ্চলি’,—
—নাম কি কাকলি?