কাজলী

প্রচ্ছন্ন দাক্ষিণ্যভারে চিত্ত তা’র নত
স্তম্ভিত মেঘের মতো,
তৃষ্ণাহরা
আষাঢ়ের আত্মদান-প্রত্যাশায় ভরা।
সে যেন গো তমালের ছায়াখানি,
অবগুণ্ঠনের তলে পথ-চাওয়া আতিথ্যের বাণী।
যে-পথিক একদিন আসিবে দুয়ারে
ক্লিষ্ট ক্লান্তিভারে,
সেই অজানার লাগি’ গৃহকোণে আনত-নয়ন
বুনিছে শয়ন।
সে যেন গো কাকচক্ষু স্বচ্ছ দীঘিজল
অচঞ্চল,
কানায় কানায় ভরা,
শীতল অতল মাঝে প্রসন্ন কিরণ দেয় ধরা।

কালো চক্ষুপল্লবের কাছে
থমকিয়া আছে
স্তব্ধ ছায়া পাতি’
হাসির খেলার সাথী
সুগম্ভীর স্নিগ্ধ অশ্রুবারি;
যেন তাহা দেবতারি
করুণা-অঞ্জলি,—
—নাম কি কাজলী?