মহুয়া/শুকতারা
< মহুয়া
(পৃ. ২৮-২৯)
শুকতারা
সুন্দরী তুমি শুকতারা
সুদূর শৈলশিখরান্তে,
শর্ব্বরী যবে হবে সারা
দর্শন দিয়ো দিক্ভ্রান্তে।
ধরা যেথা অম্বরে মেশে
আমি আধো-জাগ্রত চন্দ্র,
আঁধারের বক্ষের পরে
আধেক আলোকরেখা রন্ধ্র
আমার আসন রাখে পেতে
নিদ্রাগহন মহাশূন্য,
তন্ত্রী বাজাই স্বপনেতে
তন্দ্রা ঈষৎ করি ক্ষুন্ন।
মন্দ চরণে চলি পারে,
যাত্রা হ’য়েছে মোর সাঙ্গ।
সুর থেমে আসে বারে বারে,
ক্লান্তিতে আমি অবশাঙ্গ।
সুন্দরী ওগো শুকতারা,
রাত্রি না যেতে এসো তূর্ণ!
স্বপ্নে যে-বাণী হ’লো হারা
জাগরণে করো তা’রে পূর্ণ।
নিশীথের তল হ’তে তুলি’
লহো তা’রে প্রভাতের জন্য।
আঁধারে নিজেরে ছিল ভুলি’
আলোকে তাহারে করো ধন্য।
যেখানে সুপ্তি হ’লো লীনা,
যেথা বিশ্বের মহামন্দ্র,
অপিনু সেথা মোর বীণা
আমি আধো-জাগ্রত চন্দ্র॥
আষাঢ়, ১৩৩৫