মা (ম্যাক্সিম গোর্কি, বিমল সেন)/প্রথম খণ্ড/কুড়ি
—কুড়ি—
এগিয়ে পেভেলের গলা পেলেন।
···বন্ধুগণ, সৈনিকেরাও আমাদের মতোই মানুষ। তারা আমাদের মারবে না। কেন মারবে? সকলের হিতার্থে আমরা সত্য প্রচার করি ব’লে? এ সত্য ঐ সৈনিকদেরও হিতকর। এখন ওরা একথা বুঝছে না বটে, কিন্তু দিন আসছে যখন ওরা আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে, যখন ওরা সমবেত হবে—ঐ ডাকাত এবং খুনীদের পতাকা—যে পতাকাকে ঐ মিথ্যাবাদী পশুদল গৌরবের এবং সম্মানের পতাকা ব’লে অভিবাদন করতে ওদের বাধ্য করে— তার তলে নয়, আমাদের এই মুক্তির এবং মঙ্গলের পতাকা তলে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এ পতাকা নিয়ে যাতে তারা সত্বর এ সত্য উপলব্ধি করতে পারে। এগোও, বন্ধুগণ, দৃঢ়পদে এগিয়ে চলো।
পেভেলের কণ্ঠ দৃঢ় এবং স্পষ্ট। কিন্তু জনতা ছত্রভঙ্গ হ’য়ে পড়ল। একে একে ডাইনে বাঁয়ে, বাড়ির দিকে, বেড়ার পাশে ভেগে যেতে লাগলো লোক। জনতার আকৃতি হ’য়ে পড়লো গোঁজের মতো, আর তার আগায় নিশান হাতে পেভেল।
পথের শেষে বাগানের বাইরে যাবার পথ বন্ধ ক’রে বেয়োনেটধারী একদল সৈন্য··· দুর্ভেদ্য প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে।
মা আরো এগিয়ে গেলেন।
পেভেল বললো, সঙ্গীগণ, সমস্ত জীবনভোর অগ্রসর হও। আর কোন গতি নেই আমাদের। গাও···
···ওঠো, জাগো, মজুরদল!
ক্ষুধিত মানব যুদ্ধে চল···
নিশানটা আরও ঊর্ধ্বে উঠে ঢেউ খেলে খেলে সৈন্য-প্রাচীরের দিকে এগিয়ে গেলো। মা শিউরে উঠে চোখ বুজলেন। জনতা সভয়ে থমকে দাঁড়ালো। এগোলো শুধু পেভেল, এণ্ড্রি শ্যামোয়লোভ ও মেজিন।
মেজিনের কণ্ঠে বেজে উঠলো সংগীতের সুর···“ভীষণ রণে···
ভয়-চকিত মোটা গলা পেছন থেকে গেয়ে উঠলো,
সঁপিলে প্রাণ···
গানের দু’টো চরণ বেরিয়ে এলো দু’টো দীর্ঘ নিশ্বাসের মতো। জনতা আবার পা বাড়ালো সামনের দিকে তাদের পদধ্বনি স্পষ্ট শোনা গেলো। গান আবার নতুন, জোরের সঙ্গে নতুনভাবে বেজে উঠলো!
··ভীষণ রণে সাঁপিলে প্রাণ
পর তরে দিল আত্মদান···
কে যেন ঠাট্টার সুরে ব’লে উঠলো, আহা হা, ব্যাটারা গান ধরেছে দেখোনা, যেন শ্রাদ্ধ-সংগীত!
আর একটি ক্রুদ্ধ কণ্ঠ এলো, ম্যার ব্যাটাদের!
মা বুকে হাত চেপে ধরলেন, চেয়ে দেখলেন, সেই বিরাট জনতা চঞ্চল, সচকিত হ’য়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে। এগিয়ে চলেছে নিশান হাতে জন বারো লোক—তারাও আবার এক এক ক’রে ছিটকে যাচ্ছে দল থেকে ···পায়ের তলার মাটি যেন হঠাৎ তেতে আগুন হয়েছে, এমনি ভাবে।
ফেদিয়া গেয়ে উঠলো, ···শেষ হবে এ অত্যাচার···
সমবেত সুর ধ্বনিত হল —মানুষ জাগিবে পুনর্বার···
হঠাৎ সুর ভঙ্গ হ’য়ে তীক্ষ্ণ আওয়াজ এলো, সঙিন চালাও।
মুহূর্ত মধ্যে সঙিনগুলো একসঙ্গে ঊর্ধ্বে উত্থিত হ’য়ে সূর্যালোকে ঝলমল ক’রে উঠলো।
মার্চ।
ঐ রে, আসছে, ব’লে একজন খোঁড়া একলাফে রাস্তার একপাশে গিয়ে সরে দাঁড়ালো।
মা নিষ্পলকে চেয়ে রইলেন। সৈন্যদল গোটা রাস্তাটায় ছড়িয়ে প’ড়ে সঙিন উঁচিয়ে মার্চ করে আসছে— শান্তভাবে। খানিক-দূর এসে তার স্থির হয়ে দাঁড়ালো। মা ছেলের দিকে এগিয়ে গেলেন। দেখলেন এণ্ড্রি পেভেলের আগে গিয়ে নিজের দীর্ঘ দেহ দিয়ে তাকে আগলে রেখেছে, আর পেভেল তীক্ষ্ণকণ্ঠে চেঁচাচ্ছে—সামনে থেকে স’রে দাঁড়াও। এণ্ড্রি মাথা উঁচু ক’রে মহোৎসাহে গান গাইছে, পেভেল তাকে ঠেলা দিয়ে বলছে, পাশে যাও, নিশান সামনে থাক্।
‘ভাগো’ ব’লে একজন সামরিক কর্মচারী সজোরে ভূমিতে পদাঘাত ক’রে চক্চকে একখানা তলোয়ার খেলাতে লাগলো। তার পেছনে আবার আরও একজন কর্মচারী।
মা যেন শূন্যের দিকে তাকিয়ে রইলেন। প্রতি মুহূর্তে তাঁর বুক ফেটে যাবার উপক্রম হ’ল। দু’হাতে বুক চেপে তিনি এগোতে লাগলেন —জ্ঞানশূন্য, চিন্তাশূন্য। পেছনে জনতা পাতলা হয়ে যাচ্ছে— শীতল বাতাহত পত্রের মতো তারা ঝ’ড়ে পড়ছে দল থেকে।
লাল-নিশানের চারদিকে মজুররা আরও ঘেঁসাঘেঁসি হ’য়ে দাড়ালো। সৈনিকেরা সঙিন দিয়ে তাদের তাড়া করতে লাগলো। মা শুনলেন, পেছনে পলাতকদের শঙ্কিত পদশব্দ আর কণ্ঠস্বর—
পালাও, পালাও—
দৌড়ে যাও, মা—
পিছিয়ে এসো, পেভেল।
নিশান ছাড়ো পেভেল, আমায় দাও, আমি লুকিয়ে রাখছি—ব’লে নিকোলাই নিশানটা ধরলো। বারেকের জন্য নিশান পেছনে হেলে পড়লো। পেভেল বজ্রকণ্ঠে বলে উঠলো, ছাড়ো নিশান।
নিকোলাই হাত টেনে নিলো, যেন হাত তার আগুনে পুড়ে গেছে। গান থেমে গেলো। সঙ্গীরা পেভেলকে ঘিরে দাঁড়ালো, পেভেল তাদের ঠেলে বেরিয়ে এলো সামনে। অকস্মাৎ সকল কোলাহল থেমে গিয়ে দেখা দিলো এক গভীর নীরবতা।
তারপরেই শোনা গেলো সামরিক কর্মচারীর হুকুম, নিশানটা ছিনিয়ে নাও, লেফটেনেণ্ট!
হুকুমপ্রাপ্ত লেফটেনেণ্ট একলাফে পেভেলের কাছে গিয়ে নিশানটা ধ’রে টানতে লাগলো, ছাড়ো, ছাড়ো।
নিশানটা দু’লে উঠলো, একবার ডাইনে হেললো, একবার বাঁয়ে তারপর আবার সোজা হ’য়ে উড়তে লাগলো আকাশে।
লেফটেনেণ্ট পিছিয়ে বসে পড়লো, নিকোলাই ঘুষি বাগাতে বাগাতে তীরবেগে ছুটে গেলো মার পাশ ঘিঁষে।
ধরো ব্যাটাদের—সামরিক কর্মচারী গর্জন ক’রে উঠলো। তক্ষুণি অনেকগুলো সৈন্য সামনে ঝাঁপিয়ে পড়লো সঙিন উঁচিয়ে। নিশানটা প্রবলভাবে দু’লে উঠে পড়ে গেলো নিচে, আর পলকে অদৃশ্য হ’য়ে গেলো সৈন্যদের মধ্যে।
একজন আর্তনাদ ক’রে উঠলো, উহু! মা ক্ষিপ্তা ব্যাঘ্রীর মতো চীৎকার ক’রে উঠলেন, পেভেল! সৈন্যদের মধ্য থেকে স্পষ্ট কণ্ঠে জবাব এলো পেভেলের, মা, বিদায়, বিদায়!
তবে বেঁচে আছে সে!···মনে আছে আমাকে—মার প্রাণে এই দু’টো ভাব স্পন্দিত হয়ে উঠলো।
সঙ্গে সঙ্গে এলো এণ্ড্রির কণ্ঠ, মাগো, চললুম।
মা হাত তুলে নাড়ালেন, বুড়ো পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে উঁচু হ’য়ে পেভেল-এণ্ডিকে দেখতে লাগলেন। এণ্ডি কে দেখা যাচ্ছিল। মা চেঁচিয়ে উঠলেন, এণ্ডি, পেভেল!
সৈন্যদলের মধ্য থেকে তারা ধ্বনি করে উঠলো, বন্ধুগণ, বিদায়, বিদায়!
প্রতিধ্বনি হ’লো অজস্র কণ্ঠে—বাড়ির ছাদ থেকে, ঘরের জান্লা থেকে, ছত্রভঙ্গ জন-সমুদ্র থেকে।
লেফটেনেণ্ট মাকে ঠ্যালা দিয়ে চেঁচাতে লাগলো, ভাগো, ভাগো!
মা চেয়ে দেখলেন, নিশানটা ভেঙে দু’টুকরো হ’য়ে গেছে, একটা টুকরোতে লাল কাপড়টা জড়ানো। নুয়ে সেটা তুলে নিতেই কর্মচারী মার হাত থেকে তা’ ছিনিয়ে নিলো এবং একদিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে সদর্পে গর্জন ক’রে উঠলো, যাও বলছি এখান থেকে।
সৈন্যদের মধ্য থেকে গানের সুর ভেসে এলো,
‘ওঠো, জাগো, মজুরদল।’
চারদিকে সব-কিছু ঘুরছে, দুলছে, কাঁপছে। টেলিগ্রাফের তারের ঝংকারের মতো একটা গাঢ়, ভীতিপ্রদ ধ্বনি উত্থিত হ’চ্ছে। সামরিক কর্মচারিটি সক্রোধে হুংকার ক’রে উঠলো, ব্যাটাদের গান বন্ধ কর, সার্জেণ্ট ক্রেনড্। মা টলতে টলতে গিয়ে সেই ছুঁড়ে-ফেলা নিশানটুকরো আবার তুলে নিলে,।
মুখ বন্ধ কর ব্যাটাদের।
গানের সুর প্রথমটা এলোমেলো হ’ল, তারপর কাঁপতে কাঁপতে বন্ধ হ’ল।
একজন সৈন্য মাকে পেছন থেকে টেনে মার মুখ ঘুরিয়ে ঠেলে দিলো, বাড়ি যা, বুড়ি।
মার যেন পা আর চলে না। সবাই ঊর্ধ্বশ্বাসে পালাচ্ছে।
পালা না ডাইনী, বলে একজন তাঁকে এক ঠ্যালায় রাস্তার পাশে সরিয়ে দিলো। মা নিশানের লাঠিটায় ভর দিয়ে চলতে লাগলেন দ্রুতপদে। পা তাঁর ভেঙে এলো। দেয়াল এবং বেড়া ধ’রে ধ’রে চলছেন। সৈন্যেরা খালি হাঁকছে, যা যা, বুড়ি।
মা চ’লে যাবেন ভাবলেন, কিন্তু অজ্ঞাতে তাঁর পা যেন তাঁকে আবার সামনের দিকে চালিয়ে নিলো। পথ শূন্য। মা দাঁড়ালেন। দুর থেকে অস্পষ্ট শব্দ কানে এলো। শব্দ লক্ষ্য করে এগিয়ে চললেন তিনি। রাস্তার মোড়ে একদল লোক উত্তেজিত কণ্ঠে কোলাহল করছে।
ওরা শুধু বাহাদুরী দেখাবার জন্য সঙিনের সামনে বুক পেতে দিচ্ছেনা—এটা মনে রেখো।
দেখ দিকি ওদের দিকে চেয়ে, সৈন্যরা এগোচ্ছে আর ওরা নির্ভীক ভাবে দাঁড়িয়ে আছে তাদের সামনে।
একবার পেভেলের কথা ভাবো।
আর এণ্ড্রি, সেও কি কম?
ঐ কর্মচারী ব্যাটার রকম দেখ—দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছেন—ব্যাটা শয়তান।
মার মনের কথা যেন কণ্ঠ দিয়ে ঠেলে বেরোতে চাচ্ছিলো। ঠেলে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে তিনি চেঁচিয়ে উঠলেন, প্রিয় বন্ধুগণ,...
সবাই সসম্ভ্রমে তাঁকে পথ করে দিলো।
একজন বললো, দেখ দেখ, ওঁর হাতে নিশান! আর একজন কঠিন কণ্ঠে বললো, চুপ।
মা হাত ছড়িয়ে দিয়ে বলতে লাগলেন, বন্ধুগণ, শোনো। মানুষ তোমরা, একবার প্রাণ খুলে দাঁড়াও। নির্ভয়ে, নিরাতঙ্কে চোখ খুলে চাও। দেখো, আমাদের ছেলেরা আজ জয়-যাত্রায় বেরিয়েছে। আমাদের সন্তান···আমাদের রক্ত আজ সত্যের রণে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। অন্তরে তাদের ন্যায়ের দীপ্তি। তারা উন্মুক্ত করছে আজ এক নতুন পথ—সহজ এবং বৃহৎ—সকল মানুষের জন্য, তোমাদের সকলের জন্য, তোমাদের সন্তান-সন্ততিদের জন্য এই পবিত্র ব্রতে আত্মোৎসর্গ করছে তারা। আবাহন করছে এক চির-উজ্জ্বল নবযুগের সূর্যকে। তারা চায় নব-জীবন···সত্য-ন্যায়-মঙ্গল-মণ্ডিত জীবন।
মার প্রাণ যেন ফেটে যাচ্ছে, বক্ষ সংকুচিত হচ্ছে, কণ্ঠ তপ্ত শুষ্ক হ’য়ে যাচ্ছে! অন্তরের অন্তস্তলে উথলে উঠছে এক মহান বিশ্ব-প্লাবী প্রেমের বাণী। জিভ পুড়ে যাচ্ছে—এমনি প্রচণ্ড তার শক্তি, এমনি মুক্ত তার গতি। জনতা নির্বাক হ’য়ে কান পেতে তাঁর কথা শুনছে। এরাও যাতে পেভেলের মতো সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে, তাই ভেবেই যেন মা তাদের উত্তেজিত করতে লাগলেন, আমাদের ছেলেরা আজ করাঘাত করছে সুখ-নিকেতনের রুদ্ধ দ্বারে। তাদের অভিযান আমাদের সকলের জন্য। তাদের অভিযান আজ সকল-কিছুর বিরুদ্ধে, যা’ দিয়ে মিথ্যাচারী ঈর্ষাপর হিংসাব্রতী শত্রুদল আমাদের ধরে বেঁধে পিষে ফেলছে। আমার বন্ধুগণ, তোমাদের—শুধু তোমাদেরই জন্য আজ তরুণের এ বিদ্রোহ। তারা যুদ্ধ করছে সমস্ত মানুষের, সমস্ত পৃথিবীর, সমস্ত মজুরের পক্ষ হ’য়ে। তারা মুক্ত করছে এক সত্যোদ্ভাষিত শুভ্রপথ তোমাদেরই চলার জন্য। সেই তোমরা কি আজ তাদের ছেড়ে চ’লে যাবে? ত্যাগ করবে? বর্জন করবে? নির্জন কণ্টক-সংকুল পথে তাদের একা রেখে পালাবে?—না। তোমরা তোমাদের সন্তানদের মুখ চাও, তাদের গভীর
ভালবাসার কথা স্মরণ কর···নিজেদের দুর্গতির কথা ভাব, ছেলেদের প্রাণশক্তিতে বিশ্বাস কর। ওরা যে সত্যের বর্তিকা জ্বেলেছে, ওদের অন্তরে জ্বলছে, ওরা তাতে পুড়ে মরছে। ওদের বিশ্বাস করো, বন্ধুগণ, ওদের সাহায্য কর...গভীর উত্তেজনায় রুদ্ধ-কণ্ঠ হ’য়ে মা ঢ’লে পড়লেন। পেছন থেকে একজন তাঁকে ধরে ফেল্লো। সবাই যেন গরম হ'য়ে উঠেছে, বলছে, ঠিক কথা, সাঁচ্চা কথা···আমরা কেন ভয়ে পালাবো ছেলেদের ছেড়ে।
বুড়ো শিজভ বুক টান ক'রে দাঁড়িয়ে বললো, আমার ম্যাট্ভি কারখানায় মারা পড়েছে। সে যদি আজ বেঁচে থাকতো, আমি নিজে তাকে ওদের দলে ভিড়িয়ে দিতুম। আমি নিজে তাকে বলতুম, ম্যাটভি, তুমি যাও ঐ সত্যের রণে, ন্যায়ের রণে।...মা ঠিক কথা বলেছেন— আমাদের ছেলেরা চেয়েছিল জীবনকে প্রতিষ্ঠা করতে যুক্তি এবং সম্মানের ওপর। আর সেই অপরাধে আমরা তাদের ত্যাগ ক'রে ভীরুর মতো পালিয়ে এসেছি!
জনতা চঞ্চল হ’য়ে উঠলো। সবার দৃষ্টি মায়ের ওপর। মার দুঃখ যেন সবার অন্তরকে স্পর্শ করেছে, মার আগুন যেন সবার প্রাণ দীপ্ত ক’রে তুলেছে।
শিজভ মার হাতে সেই নিশান-টুকরো গুঁজে দিয়ে তাঁকে বাড়ি নিয়ে চললো। জনতাও পেছনে পেছনে গেলো। তারপর দু’জনে ঘরে ঢুকতে জনতা যে যার বাড়ি চ'লে গেলো।