মিবার-গৌরব-কথা/কৃষ্ণকুমারী

কৃষ্ণকুমারী।

 মুসলমান বীরগণ রাজপুতানার যে বীরজাতির সহিত যুদ্ধ করিয়াছিলেন, উনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে ইংরাজগণ তাঁহাদের বংশধরদিগকে দুর্গতির চরম সীমায় উপনীত দেখেন। আটশত বৎসরের মধ্যে ভারতবর্ষের এই মহাপ্রতাপশালী বীরজাতি হীনবীর্য্য ও দুর্ব্বল হইয়া পড়ে। এই সময় মহারাষ্ট্রীয় জাতি উত্থান করিয়া রাজপুতানার দুর্দ্দশার একশেষ করিল। রাজপুত জাতির চরম দুর্গতির অবস্থায় মিবারের রাজপদে ভীমসিংহ নামে এক অপদার্থ নরপতি সমাসীন হইলেন। যে রাজপুতগণ বাবর,আকবর,আওরাংজেবের প্রতিদ্বন্দীতা করিতে ভীত কিম্বা পশ্চাৎপদ হন নাই, তাহাদিগেরই বংশধরগণ উনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে মারাঠা দস্যুদিগের উৎপাতে জীবন্মৃত হইয়া দিনপাত করিতেছিলেন। জগতে কাহারও সৌভাগ্য-রবি ভাগ্যাকাশে চির উদিত থাকে না। যাহারই বৃদ্ধি তাহারই ক্ষয়! উত্থান হইলেই পতন হয়। রাজপুত জাতির বীরত্বের গৌরবও ভারত-ইতিহাসে চিরস্থায়ী হইল না। এখন সে সকল অপূর্ব্ব কাহিনী উপন্যাসের আকার ধারণ করিয়া স্মৃতি-ভাণ্ডারে সঞ্চিত হইয়াছে। রাজপুতের বীরত্বলীলা সমাপ্ত হইয়াছে বটে; কিন্তু এই বর্ত্তমান যুগের প্রাক্‌কালেই একটী সুকুমারী সৌন্দর্য্যময়ী রাজপুতবালিকা জাতীয় মহত্ব ও আত্মত্যাগের অতুল দৃষ্টান্ত দেখাইয়া তদানীন্তন ভারতবাসী-ইংরাজদিগকেও বিস্মিত ও চমকিত করিয়া দিয়াছিল!—সে বীরবালা, উদয়পুরের রাণী ভীমসিংহের ষোড়শবর্ষীয়া কন্যা ভুবনমোহিনী কৃষ্ণকুমারী। কৃষ্ণকুমারী কুক্ষণে অতুলরূপের আধার হইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। যে সৌন্দর্য্য বাল্যে জনক জননী এবং পৌরজনদিগকে মুগ্ধ করিয়া রাখিয়াছিল তাহাই যৌবনে তাহার পিতৃরাজ্যকে ভীষণ যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করিয়া তুলিল। জয়পুরের রাণা জগৎ সিংহ এবং যোধপুরের অধিপতি মানসিংহ উভয়েই কৃষ্ণার পাণিগ্রহণের জন্য সর্ব্বস্ব পণ করিলেন। বিপুল বাহিনী লইয়া উভয়েই রাণার রাজ্য আক্রমণ করিলেন। ভীমসিংহ জয়পুরাধিপতি জগৎ সিংহের সহিত কৃষ্ণার বিবাহ সম্বন্ধ এক প্রকার স্থির করিয়াছিলেন কিন্তু মানসিংহ তাহাতে প্রতিবাদী হইলেন। তিনি রাণা ভীম সিংহকে বলিয়া পাঠাইলেন “কৃষ্ণকুমারী তাঁহার হস্তে সমর্পিতা না হইলে উদয়পুর রাজ্যের সর্ব্বনাশ হইবে।” এই সময়ে রাজপুতানার সমুদায় সর্দ্দারগণ একতম পক্ষ আশ্রয় করিয়া পরস্পরের সহিত ঘোর যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলেন। উদয়পুরের রাণা ভীম সিংহ একে হীনপ্রভ, নির্বীর্য্য এই সকল শত্রুর আক্রমণে অত্যাচারে একেবারে জর্জ্জরিত হইয়া পড়িলেন।

 কুক্ষণে আমীর খাঁ নামে এক পাঠান দস্যু সদলে এই বিবাদমান শত্রুগণের মধ্যে উপস্থিত হইয়া ভীষণ ব্যাপার করিয়া তুলিল। সে দুরাত্মা অর্থলোভে কাহাকেও দলন কাহাকেও হনন করিয়া বিবিধ লোমহর্ষণ ব্যাপারের অনুষ্ঠান করিতে লাগিল। উদয়পুরের অপদার্থ বিপন্ন রাণা ভীম সিংহকে নানা প্রকার বিভীষিকা দেখাইয়া সন্ত্রস্ত করিয়া তুলিল। ভীম সিংহ সুন্দরী কন্যা লইয়া ঘোর বিপদে মগ্ন হইলেন। তাঁহার ক্ষুদ্র রাজ্যখানি একেবারে ছারখার হইয়া যাইবার উপক্রম হইল। দুবৃত্ত আমীর খাঁ এই সময় রাণার নিকট এক ভীষণ প্রস্তাব উত্থাপন করিলেন “কৃষ্ণকুমারীর জন্যই এত বিবাদ বিসম্বাদ এত অনিষ্টপাত হইয়াছে, কৃষ্ণা জীবিত থাকিতে ইহার নিবৃত্তি নাই। অতএব তাহাকে হত্যা করাই একমাত্র প্রশস্ত উপায়।” রাণা ভীম সিংহ এমনই বিপদে মূহ্যমান্ হইয়াছিলেন, যে বিপদুদ্ধারের ইহাই একমাত্র উপায় বলিয়া তাহার প্রতীতি হইল। রাণা স্বর্গীয় অপত্যস্নেহে জলাঞ্জলি দিয়া ভীরু কাপুরুষের ন্যায় এই লোমহর্ষণ প্রস্তাবে সম্মত হইলেন। কালের কি পরিবর্ত্তন! এই ভীমসিংহই শিশোদীয় কুলোদ্ভব প্রতাপ সিংহের বংশধর। এই বংশেরই কুলবধু পদ্মিনীর সৌন্দর্য্যে মিবার রাজ্যের কি দুর্দ্দশা হইয়াছিল তাহা কি রাণা ভীম সিংহ একেবারেই বিস্মৃত হইয়াছিলেন। পদ্মিনীকে হত্যা করিয়া কেহ বিপদ সাগর হইতে উত্তীর্ণ হইবার প্রস্তাব করে নাই। পদ্মিনীর রক্ষার জন্য রাজপুত বীরগণ সমরসাগরে ঝম্প প্রদান করিয়া প্রাণত্যাগ করিয়াছিল। সহস্র সহস্র রাজপুতরমণী চিতানলে দেহ ভস্মসাৎ করিয়াছিলেন। তথাপি পদ্মিনীবধের প্রস্তাব কাহারও হৃদয়ে প্রবেশ করে নাই; আর আজ সেই বংশোদ্ভব ভীম সিংহ নিরপরাধ কন্যাকে স্বহস্তে বলি দিয়া তুচ্ছ সিংহাসন রক্ষার জন্য ব্যাকুল হইলেন! মানবে মানবে এতই প্রভেদ। পদ্মিনীপতি ভীম সিংহে এবং কৃষ্ণকুমারীর পিতা ভীমসিংহে কি প্রভেদ! তখনও কি চিতোরের দুর্দ্দশার একশেষ হয় নাই! এক্ষণে রাণার নিকট বিপদের বিভীষিকাই প্রাণান্তকর বলিয়া বোধ হইল! বিপদ সাগরে ঝম্প প্রদান করা দূরে থাক, কন্যা হত্যা করিয়া নিশ্চিন্ত হইবার বাসনা তাঁহার হৃদয়কে অধিকার করিল! কাপুরুষ ভীম সিংহ বাপ্পা বংশোদ্ভব কুলাঙ্গার হইলেও তদীয় আত্মজা কৃষ্ণা রাজপুত কন্যার আদর্শ স্থানীয়া। পিতার হৃদয়ে রাজপুত জাতির বীর্য্যাগ্নি নির্ব্বাপিত হইলেও তাঁহার কন্যার হৃদয়ে সে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত ছিল। যখন কৃষ্ণার হত্যাসাধন, রাণা ভীম সিংহের জীবন এবং রাজ্য রক্ষার একমাত্র উপায় বলিয়া নির্ণিত হইল, তখন এই পৈশাচিক কাণ্ডের অভিনেতা নির্ব্বাচন দুরূহ ব্যাপার হইয়া উঠিল! স্বর্ণপ্রতিমা নিরপরাধ বালিকার কোমল দেহে অস্ত্রাঘাত করিতে কেহই স্বীকৃত হইল না। রাণা দৌলত সিংহ নামে একজন বিশ্বস্ত আত্মীয়কে কৃষ্ণাকে বলি দিবার প্রস্তাব করিলেন। তিনি এই অশ্রুতপূর্ব্ব পৈশাচিক প্রস্তাবের অবতারণা শুনিয়া দুঃখ, ঘৃণা ও রোষে অধীর হইয়া চীৎকার করিয়া বলিয়া উঠিলেন “যে রসনা এই নৃশংস প্রস্তাব করিল, ধিক তাহাকে শতধিক্ মহারাজ! আমি রাজভক্ত বটে, কিন্তু এরূপ পৈশাচিক; কাণ্ডের অভিনয় করিয়া যদি রাজভক্তির পরিচয় দিতে হয়,তবে এমন রাজভক্তি অতল জলে বিসর্জ্জন করিতেছি! যে রসনা এ পাপ বাক্য উচ্চারণ করিয়াছে তাহা শতধা হউক!” একজন সামন্তের মুখে এই কঠোর বাক্য শুনিয়াও রাণার চৈতন্য হইল না! হায়! মানব চিত্ত কি অপূর্ব্ব বস্তু! অগত্যা রাণার এক বৈমাত্রেয় ভ্রাতা এই প্রস্তাব কার্য্যে পরিণত করিতে স্বীকৃত হইল! সেই পামর তীক্ষ্ণ ছুরিকা হস্তে লইয়া কৃষ্ণকুমারীকে সম্মুখে আহ্বান করিল। নিষ্কলঙ্ক পবিত্র সৌন্দর্য্যরাশি লইয়া কৃষ্ণা প্রসন্নবদনে সম্মুখে আসিয়া দণ্ডায়মান হইল। সেই অপরূপ দেবী মূর্ত্তি দেখিয়া পামরের হৃদয় কম্পিত হইল হস্ত সহসা অবশ হইয়া পড়িল। তিনি আর কৃষ্ণার মুখের দিকে চাহিতে পারিলেন না; সহসা সে গৃহ হইতে দ্রুত পদে বহির্গত হইলেন। ভীম সিংহকে গিয়া বলিলেন “না মহারাজ! এমন কোন পামর নাই যে সে দেবীমূর্ত্তিকে আঘাত করিতে পারে।” এই নন্দন পারিজাত কে দলন করিবে? কেহই এ কর্ম্মে অগ্রসর হইল না। অবশেষে কৃষ্ণার জননী অহল্যাবাইয়ের কর্ণে এই ভীষণ সংবাদ পৌঁছিল। তিনি শোকে দুঃখে রোষে ক্ষিপ্তপ্রায় হইলেন। তাঁহার হাহাকার ও ক্রন্দনে রাজবাটী নিনাদিত হইল! তিনি পতির চরণে পড়িয়া কত অনুনয় কত কাতর প্রার্থনা করিলেন, অবশেষে হস্ত দুখানি উর্দ্ধে তুলিয়া কত অভিসম্পাৎ করিলেন। ভীম সিংহের হৃদয় কি বজ্রের আকার ধারণ করিয়াছিল! কিছুতেই তাঁহার ভীষণ অভিসন্ধি শিথিল হইল না। রাজপুরীতে সর্ব্বত্রই আর্ত্তনাদ! সর্ব্বত্রই হাহাকার— পরিচারিকাগণ শোকে বিহ্বল। কে কাহাকে সান্ত্বনা করে, সকলের মুখেই এক বাণী “হা বিধাতঃ! রক্ষা কর! রক্ষা কর! আমাদের প্রাণ পুত্তলিকা কৃষ্ণাকে রক্ষা কর!” কে রক্ষা করিবে? জনক জননীই সন্তানের রক্ষক, সন্তানের চির আশ্রয়! আজ সেই জন্মদাতা চির আশ্রয় পিতাই হন্তা। অভাগিনী কৃষ্ণার আর আশ্রয় কে? সকলেই শোকার্ত্ত! সকলেই আত্মহারা! কেবল এই ষোড়শী সুকুমারী বালিকা স্থির, ধীর, শান্ত আত্মস্থ ও নির্ভীক! কৃষ্ণাই সকলকে এই দুর্দ্দিনে সান্তনা দিতেছে। বারম্বার জননীর কণ্ঠালিঙ্গন করিয়া বলিতেছে “মা তুমি বীরকন্যা, বীরনারী তুমি কেন সামান্য নারীর ন্যায় রোদন করিতেছ? রাজপুতরমণী কি কোন দিনও জীবনোৎসর্গ করিতে ভীত হইয়াছে? মাগো! যে বংশে জন্ম আমার সে বংশের নারীগণ কখনও মৃত্যুকে ভয় করে না। মা তোমারই মুখে জহর ব্রতের কথা শুনিয়াছি। কেন জননি আজ তুমি পূর্ব্বকথা বিস্মৃত হইতেছ। যুগে যুগে কত সহস্র সহস্র রাজপুতবালা জ্বলন্ত চিতায় প্রাণ বিসর্জ্জন করিয়াছে। রাজপুতবালার জীবনাহুতি কি নূতন ব্যাপার। মাগো! রাজপুতকন্যাত জীবন বিসর্জ্জন দিবার জন্যই জন্মগ্রহণ করে। তবে যে আমি এত দিন এত সুখে তোমাদের ক্রোড়ে অতিবাহিত করিয়াছি ইহাই আমার পরম সৌভাগ্য! আজ আমার জীবন সার্থক যে আমার জীবন দিয়া পিতাকে বিপদমুক্ত করিতে পারিলাম। এ সৌভাগ্য কয় জনার ভাগ্যে ঘটে। তোমার গর্ভে জন্মিগাছি বলিয়াই আজ প্রসন্নমনে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিতেছি। জননী আমার শেষ অনুরোধ রক্ষা কর—শোক করিও না, পিতাকে অভিসম্পাৎ করিও না। আমার পিতৃকুলের কল্যাণ হউক এই প্রার্থনা করি। বিধাতার নিয়তি পূর্ণ হইল আর শোক করিওনা জননি।” কৃষ্ণার মাতা শোকে উন্মাদিনী হইয়া অনশনে প্রাণত্যাগ করিলেন। কৃষ্ণার বিনাশের জন্য অবশেষে হলাহল প্রস্তুত হইল! এক পাপীয়সী বিষভাণ্ড লইয়া কৃষ্ণার হস্তে দিল। কৃষ্ণা অকম্পিত হস্তে হাস্যমুখে সে গরল পান করিল। কি আশ্চর্য্য, সে বিষপান করিয়াও কৃষ্ণার দেহের কোন বিকারই উপস্থিত হইল না। তৎপরে ক্রমান্বয়ে তিনবার বিষ প্রস্তুত হইল! কিছুতেই কৃষ্ণার মৃত্যু হইল না! একি! দৈব আজ কি তাহার রক্ষার জন্য সকল আয়োজন ব্যর্থ করিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ? কিন্তু দুরাচার পাষাণ হৃদয় ভীম সিংহ নিরস্ত হইলেন না। অবশেষে ভীষণতম হলাহল প্রস্তুত হইল। কৃষ্ণা বুঝিলেন এবার তাঁহার রক্ষা নাই। হাসিয়া বিষভাণ্ড হস্তে লইয়া বলিলেন “এবার তোমাদের আয়াস বিফল হইবে না—দাও এই শেষ! দেবাদিদেব আমার পিতার দীর্ঘ জীবন এবং পূর্ণ সৌভাগ্য প্রদান করুন— জনক জননীর চরণে আমার অসংখ্য প্রণিপাত—জননীকে সান্তনা দিও-বিদায়।”—হায় সেদিন রাজস্থানের নির্ম্মল নলিনী অকালে শুষ্ক হইল! এই কি স্বর্গীয় সৌন্দর্য্যের পরিণাম! হেমলক বিষপান করিয়া জ্ঞানী-শ্রেষ্ঠ পরম ধার্ম্মিক সক্রেটিস মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিয়া অমর হইয়াছেন। আজ এই সরলা বালিকা পিতৃদত্ত কালকুট পান করিয়া প্রসন্ন বদনে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিল। প্রবীন সক্রেটিসের জ্ঞানবল ধর্ম্মবল ছিল, এ বালিকা কোন দৈব বলে বলী হইয়া এই দুরন্ত কার্য্য প্রসন্ন বদনে সাধন করিল! এ কি বিস্ময়কর ব্যাপার! কৃষ্ণকুমারীর আত্মবলিদান উপন্যাস নহে,কবি-কল্পনা নহে,উনবিংশ শতাব্দীতে ইংরাজজাতির শ্রুতিগোচরে এই অশ্রুতপূর্ব্ব ব্যাপারের অভিনয় হইয়াছে? ধন্য কৃষ্ণকুমারী! ধন্য তোমার আত্মবলিদান! তুমি রাজপুতজাতির গৌরব কথার শেষ নিদর্শন! পুরুষকার, বীরত্বগৌরব, মহত্ব রাজপুত জাতির হৃদয়রাজ্য পরিত্যাগ করিয়া গিয়াছে—কিন্তু কৃষ্ণার প্রাণে জাতীয় মহত্বের স্ফুলিঙ্গ বিদ্যমান ছিল। দুই এক জন রাজপুতবীরের হৃদয়ে যে ছিল না তাহা নয়, শক্তাবৎ সর্দ্দার সংগ্রামসিংহ এই পৈশাচিক কাণ্ডের বিবরণ শ্রবণ করিয়া বলিয়াছিলেন—“পবিত্র শিশোদীয় কুলে আজ কে কলঙ্ক আরোপ করিল! এই কাপুরুষ কি বীর বাপ্পার বংশধর! এই প্রকারেই কি তাঁহার প্রাতঃস্মরণীয় পূর্ব্বপুরুষগণ দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করিতেন? ধিক,শতবার ধিক, সহস্রবার ধিক—রাজপুতনাম ধরাপৃষ্ঠ হইতে লুপ্ত হউক।