মেয়েলি ব্রত ও কথা/হরিম মঙ্গলচণ্ডী
মেয়েলি
ব্রত ও কথা.
হরিষ-মঙ্গলচণ্ডী ব্রত.
যোষিৎ প্রচলিত বার-ব্রতের মধ্যে ‘মঙ্গলচণ্ডী’ সর্ব্বপ্রধান। পারিবারিক মঙ্গলকামনা করিয়া ভগবতী চণ্ডিকা দেবীর মাহাত্ম্য বর্ণনা করাই এই ব্রতের মুখ্য উদ্দেশ্য। মঙ্গলচণ্ডী ব্রত এতদ্দেশে তিন প্রকার প্রচলিত। হরিষ-মঙ্গল, জয়-মঙ্গল ও সঙ্কট-মঙ্গল,
বৈশাখ মাসে প্রতি মঙ্গলবারে হরিষ-মঙ্গলচণ্ডী ব্রত করা কর্ত্তব্য। কুমারী, সধবা, বিধবা (ক্কচিৎ পুরুষদেরও) সকলেরই এই ব্রতে অধিকার আছে। প্রত্যেক পরিবারে অন্ততঃ একজন মহিলা এই ব্রত নিয়ম পালন করিয়া থাকেন। ব্রতকথা শ্রবণের পর দুগ্ধ ফল মূলাদি পান ভোজন করা যায়; অন্নাহার নিষেধ।
পুরোহিত পূর্ব্বাহ্নে পূজা করিবেন। ধ্যান যথা;
যৈষা ললিতকান্তাখ্যা দেবী মঙ্গলচণ্ডিকা।
বরদাভয়হস্তা চ দ্বিভুজা গৌরদেহিকা॥
রক্তপদ্মাসনস্থা চ মুকুটোজ্জ্বলমণ্ডিতা।
রক্তকৌষেয়বসনা স্মিতবক্ত্ত্রা শুভাননা।
নবযৌবনসম্পন্না চার্ব্বঙ্গী ললিত-প্রভা॥
সর্ব্ববিধ মঙ্গলচণ্ডী ব্রতেই অর্ঘ্য বা চলিত কথায় “শেখর” আবশ্যক। আটটী অখণ্ড আতপতণ্ডুল নখ দ্বারা খুঁটিয়া লইবে। তৎসঙ্গে আট গাছি দুর্ব্বা লইয়া কলা-পাতা দ্বারা জড়াইয়া “শেখর” নির্ম্মাণ করিতে হয়। দুই অঙ্গুলি আন্দাজ পরিসর কলা-পাতা ছিঁড়িয়া লইবে। চাল কয়টী ও দুর্ব্বাগুলির বৃন্তাংশ ভিতরে রাখিয়া, পাতাটী সমবাহু ত্রিভুজের আকারে এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্য্যন্ত উপর্য্যুপরি ভাঁজ করিবে। শেষ প্রান্ত সম্মুখের শেষ ভাঁজে গুজিয়া দিবে। দুর্ব্বা বাহিরে উর্দ্ধ কোণে লক্ষিত থাকিবে। সঙ্কটমঙ্গলচণ্ডী ব্রতে কলাপাতার পরিবর্ত্তে ক্ষুদ্র রেসম-বস্ত্র খণ্ড দ্বারা অর্ঘ্য বাঁধিতে হয়.
যত জন ব্রত করিবেন ততটী অর্ঘ্য চাই। উহার সম্মুখে পাতার উপর সিন্দুর লেপন করিবে। পূজান্তে গৃহিণীগণ এই অর্ঘ্য বা “শেখর যত্নপূর্ব্বক তুলিয়া রাখেন। স্বামী পুত্র কন্যা প্রভৃতি স্বজনগণের বিদেশ যাত্রা কালে এই মঙ্গল “শেখর” মস্তকে স্পর্শ করিয়া “যাত্রা” করিতে হয়.
পুরোহিত পূজা করিয়া গেলে ব্রতচারিণীগণ স্নানান্তে শুদ্ধবাস পরিধান পূর্ব্বক ভক্তি সহকারে “কথা” শ্রবণ করিবেন। তজ্জন্য একাধিক বাড়ীর মেয়েরা এক স্থানে সমবেত হইতে পারেন। সকলেই হাতে এক একটী শেখর লইয়া উপবেশন করিবেন। একজন বর্ষীয়সী রমণী কথা বলিবেন। যদি অনিবার্য কারণে (সুপ্তোত্থিত শিশুর ক্রন্দন ইত্যাদি) কাহাকেও কথা শ্রবণ শেষ না হইতেই অন্যত্র চলিয়া যাইতে হয় তবে তাহাকে প্রতিনিধিস্বরূপ ভূমিতলে একটা আঁচড় কাটিয়া রাখিয়া যাইতে হইবে। সর্ববিধ ব্রত কথা শ্রবণেরই এই নিয়ম। অন্যান্য ব্রতে বিশেষ বিধি না থাকিলে একটী পুষ্প হাতে লইয়া কথা শ্রবণ করিতে হর। রিক্তহস্তে কথা শ্রবণ করিতে নাই.
হরি-মঙ্গলচণ্ডী ব্রত কথা.
এক ছিলেন বামুন ঠাক্রুণ, আর ছিলেন গয়লার মেয়ে। তারা দু'জনে 'সই' পাতিয়েছিলেন। ব্রাহ্মণী বৈশাখ মাসে মঙ্গলবারে হরিষমঙ্গলচণ্ডী ব্রত কোর্তেন। গয়লার মেয়ে বল্লেন, সই, এ ব্রত কল্লে কি হয়? “এ ব্রত কল্লে চিরকাল সুখে যায়।” গয়লার মেয়ে বল্লেন, তবে আমিও এ ব্রত কর্বো, ব্রতের নিয়ম ব'লে দাও। বামুন ঠাক্রুণ বল্লেন, তুমি গয়লার মেয়ে, ব্রতের নিয়ম পালন করতে পার্বে না। তোমার ব্রত ক'রে কাজ নেই। গয়লার মেয়ে বল্লেন, তা হবে না, আমি অবিশ্যি কর্বো। তারপর তিনিও বৈশাখ মাসে মঙ্গলবারে ব্রত আরম্ভ কল্লেন। দু' একবার ব্রত করতেই মা মঙ্গলচণ্ডীর কৃপায় গয়লার মেয়ের সংসার ধন জনে ভরিয়া গেল। সুখের সীমা রহিল না। হঠাৎ এত সুখ তাহার সহ্য হলো না। তিনি কঁদিবার জন্য আকুল হ'লেন। বামুন ঠাক্রুণের কাছে গিয়ে বল্লেন, সই, “সে-জনের”[১] (অর্থাৎ আমার) বড় কাঁদতে ইচ্ছে হচ্ছে। ব্রাহ্মণী উত্তর কল্লেন, আমি তো তোমায় তখনি বলেছি এ ব্রত করে কখনও চোকের জল পড়ে না। গয়লার মেয়ে কিছুতেই বোঝ মানলেন না, সুখে যেন অস্থির হয়ে উঠলেন। তখন বামুন ঠাক্রুণ বল্লেন, তোমার যদি কাঁদতে এত সাধ হয়ে থাকে তবে এক কাজ কর। গেরস্তদের ক্ষেতে লাউ কুম্ড়ো আছে তাই তুমি লুকিয়ে তু’লে নাও গে; তারা তোমায় গালাগাল দেবে, যা না বলবার তাই বলবে, তোমার মনে তখন দুঃখ হবে, তাহ’লে তুমি একটু কঁদতে পারবে। তাই শুনে গয়লার মেয়ে লাউ কুম্ড়ো তুলতে গেলেন। কিন্তু ব্রতের পুণ্যিতে তাঁর শরীর শুদ্ধ হয়ে গেছে; তাঁর হাত লাগতেই ক্ষেত লাউ কুম্ড়োতে ভ’রে গেল। গৃহস্থেরা অবাক্ হ’য়ে ভাবতে লাগলো, ইনি তো সামান্য মেয়ে নন্, স্বয়ং লক্ষ্মী ঠাকরুণ! তারপর তারা সকলে গয়লার মেয়ের বাড়ীতে সব লাউ তরকারী ব’য়ে দিয়ে এল।
গয়লার মেয়ের কান্না হলো না। তিনি সইয়ের কাছে গেলেন। গিয়ে বল্লেন সই, “সেজন” (আমি) কাঁদতে পাল্লে না। ব্রাহ্মণী বল্লেন, তোমার যদি কাঁদ্তে এতই সাধ হয়ে থাকে, তবে আর এক কাজ কর। রাজবাড়ীর হাতী ম’রে পড়ে আছে, তুমি ঐ হাতীর শোকে হাতীর গলা ধরে মরা-কান্না কাঁদ গে। গয়লার মেয়ে তাই কল্লেন। কিন্তু ব্রতের পুণ্যিতে তাঁর শরীর শুদ্ধু হয়ে গেছে; তাঁর হাত লাগতেই বারো বছরের মরা হাতী বেঁচে উঠলো। সকলে এই তাজ্জব দেখে বলাবলি করতে লাগলো, ইনি তো সামান্য মেয়ে নন, স্বয়ং লক্ষ্মী ঠাকরুণ! রাজা। এসে হাতী ঘোড়া সোনা রূপো সওগাদ দিয়ে গয়লার মেয়ের বাড়ীঘর ভরে ফেল্লেন।
গয়লার মেয়ের কান্না হলো না। সবই উল্টো হলো! তিনি আবার সইয়ের কাছে গেলেন। গিয়ে বল্লেন, সই, সুখ আরো বেড়ে যাচ্ছে; সেই উপায় করো, যাতে “সেজন” প্রাণ ভ’রে কেঁদে একটু খানি সোয়াস্তি পায়। ব্রাহ্মণী বল্লেন, তোমার যদি কাঁদ্তে এতই সাধ হ’য়ে থাকে তবে আর এক কাজ কর। সাপের বিষ মেখে লাড়ু তয়ের ক’রে বিদেশে তোমার বড় ছেলের কাছে পাঠিয়ে দাও। গয়লার মেয়ে তাই কল্লেন। চাকর লাড়ুর হাঁড়ি মাথায় করিয়া চলিল। বৈশাখ মাস, দারণ রোদ; লোকটী এক পুকুর পাড়ে হাঁড়ি রাখিয়া স্নান করিতে নামিল। তখন মা মঙ্গল চণ্ডী মনে ভাবলেন, আমার ভক্তের দুর্ম্মতি হয়েছে, তবে যদ্দিন আমার ব্রত করবে তদ্দিন ওকে চোকের জল ফেল্তে দেবো না। এই ভেবে মা চণ্ডী শ্রীমুখের অমৃত দিয়ে বিষের লাড়ু অমৃতের লাড়ু করে দিলেন। চাকর হাঁড়ি তুলিয়া আবার হাঁটিতে হাটিতে গয়লার ছেলের কাছে পঁহুছিল। ছেলে লাড়ু খেয়ে বল্লে, আহা মা এমন খাবার তৈরি করতে পারেন তা’ তো আগে কোন দিনও জানতুম না। মা’কে বলিস্ তিনি আরো এমনি লাড়ু যেন পাঠিয়ে দেন। এই ব’লে চাকরকে অনেক বকশীশ কল্লেন। এদিকে বাড়ীতে গয়লার মেয়ে এলোচুলে উচুনীচু স্থানে দাঁড়িয়ে প্রস্তুত হয়ে আছেন, যেই কুসংবাদটী পাবেন আর অমনি চিৎপাত হয়ে ছেলের শোকে প্রাণ ভ’রে কাঁদবেন। এমন সময়ে চাকরটী ফিরে এসে গয়লা-গিন্নিকে অমন ব্যস্ত-সমস্ত দেখে বল্লে, মা ঠাকরুণ, তুমি এত উতলা হয়েচ কেন? বড় বাবু ভাল আছেন, আর তিনি এবার লাড়ু খেয়ে খুব সুখ্যাত করেছেন; আর আমাকেও কত বক্শীশ দিয়েছেন।
গয়লার মেয়ের এবারও কান্না হলো না। তিনি ছুটে গিয়ে সইয়ের কাছে বলে, সই, কাঁদতে না পারলে “সেজন” আর বঁচিবে না। বামুন ঠাকরুণ বল্লেন, আচ্ছা আর এক কাজ কর। এবার আদৎ সাপ পাঠাতে হবে। এবারে তোমার মেয়ের বাড়ী তত্ত্ব পাঠিয়ে দাও। সন্দেশের হাঁড়িতে সন্দেশ না দিয়ে দুটো কেউটে সাপ দাও। তোমার ছোট ছেলে মাথায় ক’রে তত্ত্ব নিয়ে যাক্। হয়, রাস্তায় তোমার ছেলের, নইলে মেয়ের বাড়ীতে কারুর একটা ভাল-মন্দ অবিশ্যি ঘটিবে। তখন তুমি যা হয় করিও। গয়লার মেয়ে তাই কল্লেন। তাঁর ছোট ছেলের মাথায় হাঁড়ি তুলে দিলেন। বৈশাখ মাস দারুণ রোদ; এক পুকুর-পাড়ে হাঁড়ি রাখিয়া গয়লার ছেলে স্নান করিতে। নামিল। তখন মা মঙ্গল চণ্ডী মনে ভাবলেন, আমার ভক্তের দুর্ম্মতি হয়েছে। তবে যদ্দিন আমার ব্রত করবে তদ্দিন ওকে চোকের জল কিছুতেই ফেলতে দেব না। এই ভেবে তিনি সাপ দূর ক’রে সমস্ত হাঁড়ি সোনা দিয়ে পুরে দিলেন। ছেলেটীর বড় খিদে পেয়েছিল। একটু সন্দেশ নিয়ে জলযোগ করতে দোষ কি, এই ভেবে সে হাঁড়ি খুলে দেখে, সবই সোণা! আশ্চর্য্য। হয়ে সে মনে কল্লে, মা দিদিকে গহনার জন্যে এত সোণা দিয়েছেন তা ভালোই; তবে কুটুম্ব বাড়ী যাচ্চি, খাবার সামগ্রী নিয়ে যাওয়াটা ভাল নয়। এই ভেবে একটু সোণা তুলে নিয়ে বাজার থেকে দই, সন্দেশ, মাছ, দুধ, পঞ্চাশ জন মুটের মাথায় দিয়ে ভগিনীর বাড়ী গেল। কুটুম্বেরা এত সোণা ও তত্ত্বের জিনিস দেখে আশ্চর্য্য হয়ে ছেলেটীর খুব সমাদর কল্লে। এদিকে গয়লার গিন্নি এলো চুলে উচুনীচু স্থানে দাঁড়িয়ে প্রস্তুত হয়ে আছেন, যেই তাঁর ছোট ছেলের, মেয়ের কি জামাইয়ের কুসংবাদটী পাবেন আর অমনি চিৎপাত হয়ে শোকে প্রাণ ত’রে কাঁদবেন। এমন সময়ে ছেলে উপস্থিত। মা’কে ব্যস্ত সমস্ত দেখে সে বল্লে, মা, তুমি এত উতলা হয়েছ কেন? দিদিদের বাড়ীতে সব ভাল। তাঁরা তোমার সোণা পেয়ে তোমার কত সুখ্যাত করেছেন, আমিও বাজার থেকে দই সন্দেশ মাছ দুধ কিনে দিয়েছি।
গয়লার মেয়ের কান্না কিছুতেই হলো না। তিনি আবার সইয়ের কাছে ছুটে গেলেন। গিয়ে বল্লেন, সই কাঁদতে না পেরে “সেজন” বুঝি মারা গেল! বামুন ঠাকরুণ মহা বিরক্ত হলেন। খানিক ভেবে চিন্তে বল্লেন, হাঁ, এবার ঠিক হয়েছে। আর তোমার ভাবনা নেই। এক কাজ কর। আস্ছে কার মঙ্গলবার। এবারে তুমি আর ব্রত করোনা। গয়লার মেয়ে তাই কল্লেন। পরদিন মঙ্গলবার তিনি ব্রত উপোস বন্ধ ক’রে। সকাল সকাল পঞ্চাশ ব্যঞ্জন ভাত আহার কল্লেন। এবার সত্যি সত্যিই তাঁর দুর্ম্মতি হলো। মা মঙ্গল চণ্ডী বিরূপ হলেন। সেই দণ্ডে তাঁর হাতীশালে হাতী ম’লো, ঘোড়াশালে ঘোড়া ম’লো, লোকজন, ছেলে মেয়ে জামাই যে যেখানে ছিল সব ম’রে গেল। তখন তিনি হাহাকার ক’রে দিবা রাত্তির কাঁদতে লাগলেন। তাঁর কান্নার রোল শুনে কেউ আর তিষ্ঠাতে পারে না। এই ভাবে দু’চার দিন কেটে গেল। কেঁদে কেঁদে হয়রান হয়ে তিনি আবার সইয়ের কাছে গিয়ে বল্লেন, সই “সেজন” আর, কাঁদ্তে পারে না। ব্রাহ্মণী বল্লেন, তা আমি কি করবো। তোমার এত দিনের সাধ, প্রাণ ভ’রে কাঁদো। শোকে দুঃখে গয়লার মেয়ের বুক যেন ফেটে যেতে লাগলো। তিনি বামুন ঠাকরুণের পায়ে পড়ে বল্লেন, সই রক্ষে করো, “সেজন” আর কাঁদতে পারে না, বুক যে ফেটে যাচ্চে। ব্রাহ্মণীর দয়া হ’লো। তিনি বল্লেন, তোমাকে আস্ছে মঙ্গলবার পর্য্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তিনি আগেই সব জায়গায় জায়গায় খবর পাঠিয়েছিলেন কেহ যেন মড়া পোড়ায় না, সাবধানে রাখিয়া দেয়। তারপর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণীর উপদেশ মত গয়লার মেয়ে যোড়শোপচারে ভক্তি ক’রে মহা ধুমধামে মা মঙ্গল চণ্ডীর ব্রত করেন। পূজার ফুল জল মড়ার উপর ছড়িয়ে দিতেই ছেলে মেয়ে জামাই, লোকজন, হাতী ঘোড়া যে যেখানে ম’রে পড়ে ছিল সব বেঁচে উঠলো। গয়লার মেয়ের আনন্দের সীমা রহিল না। তিনি আবার সুখে স্বচ্ছন্দে সংসার করিতে লাগিলেন।
এই হরিষ মঙ্গলচণ্ডীর ব্রত ভক্তি করিয়া যে বৈশাখ মাসে করে সে চিরকাল সুখে থাকে, তাকে চোকের জল ফেলতে হয় না। একথা যে বলে, যে শোনে, তার মঙ্গল হয়,
প্রণাম। সর্ব্ব মঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সর্ব্বার্থসাধিকে।
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরি নারায়ণি নমোস্তুতে॥
- ↑ উক্তিটী অকল্যাণ সূচক বলিয়া কথক ঠাকুরণি এস্থলে উত্তম পুরুষের সর্ব্বনাম ব্যবহার-করিডে সংকোচ বোধ করেন