অজ্ঞাত লেখক
(পৃ. ১৭-২০)

চতুর্থ ছাঁদ~

কেতে রঙ্গে রঙ্গ শ্রীকৃষ্ণ কলা।
কেহি ন জাণিলে নিশি পুরিলা॥
রঙ্গ করু থিলে সে রঙ্গ রস।
গোপী এ দেখিলে আসে দিবস॥
কে বোলে জীবন গল মো আজ।
কেমন্তে যিবা গো মাড়ুছি লাজ॥
পূর্ব্বরে উদই সে দিনমণি।
এক্ষণি উঠিব আম্ভর স্বামী॥
এমন্ত ভাবিণ মন শুকিলা।
এতে দেখি কৃষ্ণ মায়া ভিইলা॥
গোপীঙ্ক বিপদ মনরে জাণি৷
মায়া ভিয়াইলে সে চক্রপাণি॥
দিন হোই গলা রাতির প্রায়ে।
সব গোপমানে উঠিণ চাঁহে॥

রাতি ন পুহিলা পুণি শুঅই।
শ্রীকৃষ্ণঙ্ক মায়া ন জাণে কেহি॥
কেলী ছাড়ি সবু গোপর গোপী।
যমুনাকু গলে কেলী উপেক্ষি॥
যমূনাকু গলে স্নাহান অর্থে।
স্নাহান করিলে নানাদি মতে॥
কূলরে দেখিলা শ্রীকৃষ্ণ অছি।
মেলাণি মাগই গোপর বছি॥
আহুরি কহিলা গোপর ঝিঅ।
আবেলে আসিব এছুণূ যাহ॥
পুণি আসিব গো পূর্ণিমা দিন।
সেদিনে আসিব কুঙরিয়া জন॥
সেদিন আসিণ পুরায় আশ।
ন হোইবা কেতে আম্ভে নিরাশ॥
এতে কহি সর্ব্ব মেলাণি নেলা।
শ্রীকৃষ্ণ যাই সর্ব্বে ঘেরিলা॥

সেঠারু এমন্তে বিদায় হোই।
ঘররে মিলিলা সমস্তে যাই॥
দেখিলা নিশ্চল উঠিণি কেহি।
আনন্দে সকলে শুইলে যাই॥
কিছিক্ষণ পরে প্রভাত হেলা।
শয্যা ছাড়ি সবু গোপ উঠিলা॥
কেমন্ত প্রকারে এমন্ত হেলা।
গোপরপুরে কেহি ন জাণিলা॥
যে যাহা কার্য্যরে সুধীরে যাই।
শ্রীকৃষ্ণঙ্ক লীলা ন জাণে কেহি॥
তাঙ্কর লীলা যে মধুর রস।
রসকেলী কলে রাত্রি দিবস॥
শ্রীকৃষ্ণ লীলা যে অতি মধুর।
যেঅবা বুঝই সেই সুধীর॥
তাঙ্কর ভাব যে বুঝই সেই।
ভাবুক প্রবর নিশ্চে অটই॥

তাঙ্কর লীলার সীমা যে নাই।
আউরি বুঝই ভক্ত গোশাই॥
যে জন করই ব্রত বাসনা।
তাঙ্কর নাহিক পুণ্যর সীমা॥
যে জন শুণই লীলা তাহার।
পাপ ন কহই তাঙ্ক শরীর॥
অস্তিমে তাহার স্বৰ্গর বাস।
সর্ব্ব পাপ তাঙ্কর হোইব নাশ॥
অবহেলে যেবা উপেক্ষা করে।
সেজন নিশ্চয়ে নরকে পড়ে॥
স্তীরি বালকর আনন্দ হেলা।
পড়িবে তা মানে ন করি হেলা॥
দোষ ন ধরিব শ্রীহরি স্মরি।
লেখই দ্বিজ সে হীন মুরারী॥


সমাপ্ত