রূপসী বাংলা/৬০
(পৃ. ৭০)
ভেবে ভেবে ব্যথা পাব;—মনে হবে, পৃথিবীর পথে যদি থাকিতাম বেঁচে
দেখিতাম সেই লক্ষ্মীপেঁচাটির মুখ যারে কোনোদিন ভালো করে
দেখি নাই আমি—
এমনি লাজুক পাখি,—ধূসর ডানা কি তার কুয়াশার ঢেউয়ে ওঠে নেচে;
যখন সাতটি তারা ফুটে ওঠে অন্ধকারে গাবের নিবিড় বুকে আসে
সে কি নামি?
জিউলির বাবলার আঁধার গলির ফাঁকে জোনাকির কুহকের আলো
ঝরে না কি? ঝিঁঝিঁর সবুজ মাংসে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে বউদের প্রাণ
ভুলে যায়; অন্ধকারে খুঁজে তারে আকন্দবনের ভিড়ে কোথায় হারালো
মাকাল লতার তলে শিশিরের নীল জলে কেউ তার পাবে না সন্ধান।
আর সেই সোনালি চিলের ডানা—ডানা তার আজো কি মাঠের কুয়াশায়
ভেসে আসে?—সেই ন্যাড়া অশ্বত্থের পানে আজো চ’লে যায়
সন্ধ্যা সোনার মতো হলে?
ধানের নরম শিষে মেঠো ইঁদুরের চোখ নক্ষত্রের দিকে আজো চায়?
আশ্চর্য বিস্ময়ে আমি চেয়ে র’ব কিছু কাল অন্ধকার বিছানার কোলে।