লুয়া ত্রুটি মডিউল:Header_template এর 351 নং লাইনে: bad argument #1 to 'next' (table expected, got nil)।

ধরার মাটির তলে বন্দী হয়ে যে-আনন্দ আছে
কচিপাতা হয়ে এলো দলে দলে অশথের গাছে।
বাতাসে মুক্তির দোলে ছুটি পেলো ক্ষণিক বাঁচিতে,
নিস্তব্ধ অন্ধের স্বপ্ন দেহ নিলো আলোয় নাচিতে॥

খেলার খেয়ালবশে কাগজের তরী
স্মৃতির খেলেনা দিয়ে দিয়েছিনু ভরি।
যদি ঘাটে গিয়ে ঠেকে প্রভাত বেলায়
তুলে নিয়ো তোমাদের প্রাণের খেলায়॥

দিনের আলোক যবে রাত্রির অতলে
হ’য়ে যায় হারা
আঁধারের ধ্যাননেত্রে দীপ্ত হ’য়ে জ্বলে
শত লক্ষ তারা।
আলোহীন বাহিরের আশাহীন দয়াহীন ক্ষতি
পূর্ণ ক’রে দেয় যেন অন্তরের অন্তহীন জ্যোতি॥

অস্তরবির আলো-শতদল
মুদিল অন্ধকারে।
ফুটিয়া উঠুক নবীন ভাষায়
শ্রান্তিবিহীন নবীন আশায়
নব উদয়ের পারে॥

জীবনখাতার অনেক পাতাই
এম্‌নিতরো শূন্য থাকে।
আপন মনের ধেয়ান দিয়ে
পূর্ণ ক’রে লও-না তাকে।
সেথায় তোমার গোপন কবি
রচুক্ আপন স্বর্গছবি,
পরশ করুক দৈববাণী
সেথায় তোমার কল্পনাকে॥

দেবতা যে চায় পরিতে গলায়
মানুষের গাঁথা মালা,
মাটির কোলেতে তাই রেখে যায়
আপন ফুলের ডালা॥

সূর্য্যপানে চেয়ে ভাবে মল্লিকামুকুল
কখন্ ফুটিবে মোর অত বড়ো ফুল॥

সোনার মুকুট ভাসাইয়া দাও
সন্ধ্যামেঘের তরীতে।
যাও চ’লে রবি বেশভূষা খুলে
মরণ মহেশ্বরের দেউলে
নীরবে প্রণাম করিতে॥



সন্ধ্যার প্রদীপ মোর রাত্রির তারারে
বন্দে নমস্কারে॥

শিশিরের মালা গাঁথা শরতের তৃণাগ্র-সূচিতে
নিমেষে মিলায়,—তবু নিখিলের মাধুর্য্য-রুচিতে
স্থান তার চিরস্থির; মণিমালা রাজেন্দ্রের গলে
আছে, তবু নাই সে যে, নিত্য নষ্ট প্রতি পলে পলে॥

দিবসে যাহারে করিয়াছিলাম হেলা
সেইতো আমার প্রদীপ রাতের বেলা॥

ঝ’রে-পড়া ফুল আপনার মনে বলে—
বসন্ত আর নাই এ ধরণীতলে॥

বসন্তবায়ু, কুসুম-কেশর
গেছ কি ভুলি?
নগরের পথে ঘুরিয়া বেড়াও
উড়ায়ে ধূলি॥

হে অচেনা, তব আঁখিতে আমার
আঁখি কারে পায় খুঁজি।
যুগান্তরের চেনা চাহনীটি
আঁধারে লুকানো বুঝি॥

দখিন হ’তে আনিলে, বায়ু,
ফুলের জাগরণ,
দখিন-মুখে ফিরিবে যবে
উজাড় হবে বন॥

ওগো হংসের পাঁতি,
শীত-পবনের সাথী,
ওড়ার মদিরা পাখায় করিছ পান।
দূরের স্বপনে মেশা
নভো নীলিমার নেশা,
বলো, সেই রসে কেমনে ভরিব গান॥

শিশির-সিক্ত বন-মর্ম্মর
ব্যাকুল করিল কেন।
ভোরের স্বপনে অনামা প্রিয়ার
কানে কানে কথা যেন॥

দিনান্তের ললাট লেপি’
রক্ত আলো চন্দনে
দিগ্বধূরা ঢাকিল আঁখি
শব্দহীন ক্রন্দনে॥