লেখন/লেখন ১৪৭-১৬০
লুয়া ত্রুটি মডিউল:Header_template এর 351 নং লাইনে: bad argument #1 to 'next' (table expected, got nil)।
নীরব যিনি তাঁহার বাণী নামিলে মোর বাণীতে
তখন আমি তাঁরেও জানি মোরেও পাই জানিতে॥
কাঁটাতে আমার অপরাধ আছে
দোষ নাহি মোর ফুলে।
কাঁটা, ওগো প্রিয়, থাক্ মোর কাছে,
ফুল তুমি নিয়ো তুলে॥
চেয়ে দেখি হোথা তব জানালায়
স্তিমিত প্রদীপখানি
নিবিড় রাতের নিভৃত বীণায়
কী বাজায় কী বা জানি॥
পৌর পথের বিরহী তরুর কানে
বাতাস কেন বা বনের বারতা আনে॥
ওযে চেরীফুল তব বন-বিহারিণী,
আমার বকুল বলিছে “তোমারে চিনি।”
ধনীর প্রাসাদ বিকট ক্ষুধিত রাহু
বস্তুপিণ্ড বোঝায় বদ্ধ বাহু।
মনে পড়ে সেই দীনের রিক্ত ঘরে
বাহু বিমুক্ত আলিঙ্গনের তরে॥
গিরির দুরাশা উড়িবারে
ঘুরে মরে মেঘের আকারে॥
দূর হতে যারে পেয়েছি পাশে
কাছের চেয়ে সে কাছেতে আসে॥
উতল সাগরের অধীর ক্রন্দন
নীরব আকাশের মাগিছে চুম্বন॥
চাঁদ কহে, “শোন্
শুকতারা,
রজনী যখন
হ’ল সারা
যাবার বেলায়
কেন শেষে
দেখা দিতে হায়
এলি হেসে,
আলো আঁধারের
মাঝে এসে
করিলি আমায়
দিশাহারা॥”
হতভাগা মেঘ পায় প্রভাতের সোনা,—
সন্ধ্যা না হতে ফুরায়ে ফেলিয়া
ভেসে যায় আনমনা॥
তোমারে. প্রিয়ে, হৃদয় দিয়ে
জানি তবুও জানি নি।
সকল কথা বলো নি অভিমানিনী॥
লিলি, তোমারে গেঁথেছি হারে, আপন বলে চিনি,
তবুও তুমি র’বে কি বিদেশিনী॥
ফুলের লাগি তাকায়ে ছিলি শীতে
ফলের আশা ওরে!
ফুটিল ফুল ফাগুন রজনীতে
বিফলে গেলো ঝরে॥