বারাে

কেউ চেনা নয়,
সব মানুষই অজানা।
চলেছে আপনার রহস্যে
আপনি একাকী।
সেখানে তার দোসর নেই।
সংসারের ছাপমারা কাঠামােয়
মানুষের সীমা দিই বানিয়ে।
সংজ্ঞার বেড়া-দেওয়া বসতির মধ্যে
বাঁধা মাইনেয় কাজ করে সে।
থাকে সাধারণের চিহ্ন নিয়ে ললাটে।

এমন সময় কোথা থেকে
ভালােবাসার বসন্ত-হাওয়া লাগে-
সীমার আড়ালটা যায় উড়ে,
বেরিয়ে পড়ে চির-অচেনা।
সামনে তাকে দেখি স্বয়ংস্বতন্ত্র, অপূর্ব, অসাধারণ-
তার জুড়ি কেউ নেই।
তার সঙ্গে যােগ দেবার বেলায়
বাঁধতে হয় গানের সেতু,
ফুলের ভাষায় করি তার অভ্যর্থনা।

চোখ বলে,
যা দেখলুম তুমি আছ তাকে পেরিয়ে।
মন বলে,
চোখে-দেখা কানে-শােনার ও পারে যে রহস্য
তুমি এসেছ সেই অগমের দূত-
রাত্রি যেমন আসে
পৃথিবীর সামনে নক্ষত্রলােক অবারিত ক'রে।

তখন হঠাৎ দেখি আমার মধ্যেকার অচেনাকে,
তখন আপন অনুভবের
তল খুঁজে পাই নে,
সেই অনুভব
‘তিলে তিলে নূতন হােয়'।