শেষ সপ্তক/সাঁইত্রিশ
(পৃ. ১৩১-১৩২)
সাঁইত্রিশ
বিশ্বলক্ষী,
তুমি একদিন বৈশাখে
বসেছিলে দারুণ তপস্যায়
রুদ্রের চরণতলে।
তােমার তনু হল উপবাসে শীর্ণ,
পিঙ্গল তােমার কেশপাশ।
দিনে দিনে দুঃখকে তুমি দগ্ধ করলে
দুঃখেরই দহনে,
শুস্ককে জালিয়ে ভস্ম করে দিলে
পূজার পুণ্যধূপে।
কালােকে আলাে করলে,
তেজ দিলে নিস্তেজকে,
ভােগের আবর্জনা লুপ্ত হল
ত্যাগের হােমাগ্নিতে।
দিগন্তে রুদ্রের প্রসন্নতা
ঘােষণা করলে মেঘগর্জনে,
অবনত হল দাক্ষিণ্যের মেঘপুঞ্জ
উৎকণ্ঠিতা ধরণীর দিকে।
মরুবক্ষে তৃণরাজি
শ্যাম আস্তরণ দিল পেতে,
সুন্দরের করুণ চরণ
নেমে এল তার 'পরে।