সমবায়নীতি

সমবায়নীতি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশ্বভারতী

প্রকাশ ১৩৬০

বিশ্ববিদ্যাসংগ্রহ। শততম সংখ্যা।

মূল্য আট আনা

প্রকাশক পুলিনবিহারী সেন

বিশ্বভারতী। ৬/৩ দ্বারকানাথ ঠাকুর লেন। কলিকাতা

মুদ্রাকর শ্রীপ্রভাতচন্দ্র রায়

শ্রীগৌরাঙ্গ প্রেস লিমিটেড। ৫ চিন্তামণি দাস লেন। কলিকাতা

৩.১

সূচীপত্র
ভূমিকা
সমবায় ১
সমবায় ২ ১৪
ভারতবর্ষে সমবায়ের বিশিষ্টতা ২০
সমবায়নীতি ৩১
পরিশিষ্ট ৪৯

সমবায়নীতি সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ বিভিন্ন সময়ে যে-সকল প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন ও বক্তৃতা দিয়াছিলেন এই গ্রন্থে সেগুলি সংকলিত হইল। নিম্নে সাময়িক পত্রে রচনাগুলির প্রকাশের সূচী[] মুদ্রিত হইল―

সমবায় (১) ভাণ্ডার শ্রাবণ ১৩২৫
সমবায় (২) বঙ্গবাণী ফাল্গুন ১৩২৯
ভারতবর্ষে সমবায়ের বিশিষ্টতা ভাণ্ডার শ্রাবণ ১৩৩৪
পরিশিষ্ট: ‘চরকা’ প্রবন্ধের অংশ সবুজপত্র ভাদ্র ১৩৩২

সমবায়নীতি প্রবন্ধ মূলতঃই পুস্তিকাকারে প্রকাশিত হয় (২৭ মাঘ ১৩৩৫)।

 ভূমিকারূপে ব্যবহৃত রবীন্দ্রনাথের বাণী শ্রীসুধীরচন্দ্র কর লিখিত ‘লোকসেবক রবীন্দ্রনাথ’ প্রবন্ধে (মাসিক বসুমতী, অগ্রহায়ণ ১৩৬০) অংশতঃ প্রকাশিত হয়। বিশ্বভারতী সমবায় কেন্দ্রীয় কোষের কর্মীদের প্রতি আশীর্বাণীরূপে ইহা প্রেরিত হইয়াছিল (১৯২৮); অন্যতম কর্মী শ্রীনন্দলাল চন্দ্রের সৌজন্যে এই তথ্য এবং এই রচনার পাণ্ডুলিপি পাওয়া গিয়াছে।

 এই তালিকায় উল্লিখিত ‘ভাণ্ডার’ বঙ্গীয় সমবায়-সংগঠন-সমিতির মুখপত্র―সমবায়(১) প্রবন্ধ ইহার প্রথম বর্ষের প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত হইয়াছিল।

 সমবায়(২) নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় প্রণীত গ্রন্থের ভূমিকারূপে কল্পিত তাঁহার ‘জাতীয় ভিত্তি’ (১৩৩৮) গ্রন্থে ভূমিকারূপে ইহা মুদ্রিত হয়। ‘বঙ্গবাণী’তে প্রকাশিত প্রবন্ধের অতিরিক্ত এক অনুচ্ছেদ ঐ ভূমিকায় (ও বর্তমান গ্রন্থে) মুদ্রিত হইয়াছে। পরিশিষ্টে (‘চরকা’ প্রবন্ধে) রবীন্দ্রনাথ যে লিখিয়াছেন ‘আমার কোনো কোনো আত্মীয় তখন সমবায়তত্ত্বকে কাজে খাটাবার আয়োজন করছিলেন’, নগেন্দ্রনাথ তাঁহাদের অন্যতম।

 ১৯২৭ সালের ‘২রা জুলাই আন্তর্জাতিক সমবায় উৎসবের দিনে কলিকাতায় [অ্যালবার্ট হলে] বঙ্গীয় সমবায়-সংগঠন-সমিতি কর্তৃক অনুষ্ঠিত উৎসবের সভাপতিরূপে রবীন্দ্রনাথ যে বক্তৃতা দেন’, শ্রীহিরণকুমার সান্যাল ও শ্রীসজনীকান্ত দাসের লিখিত তাহার অনুলিপি বক্তা-কর্তৃক সংশোধিত হইয়া ভাণ্ডার পত্রে ‘ভারতবর্ষে সমবায়ের বিশিষ্টতা’ নামে মুদ্রিত হয়।

 শ্রীনিকেতনে ১৩৩৫ সালের ২৭ মাঘ সর্‌ ড্যানিয়েল হ্যামিলটনের সভাপতিত্বে বর্ধমান বিভাগীয় সম্মিলনের প্রথম অধিবেশন হয়―রবীন্দ্রনাথ তাহার উদ্‌বোধনকালে যে প্রবন্ধ রচনা করেন তাহা ঐ উপলক্ষ্যে ‘সমবায়নীতি’ নামে পুস্তিকাকারে প্রকাশিত হয় (২৭ মাঘ ১৩৩৫)।

 ‘জনসাধারণের নিজের অর্জনশক্তিকে মেলাবার উদ্যোগ’, ‘অনেক মানুষ একজোট হইয়া জীবিকানির্বাহ করিবার উপায়’, যাহাতে মানুষ ‘মিলিয়া বড়ো হইবে’, ‘শুধু টাকায় নয়, মনে ও শিক্ষায় বড়ো হইবে’―সমবায়ের এই মূলতত্ত্ব দেশের উন্নতির পন্থারূপে রবীন্দ্রনাথের আরও অনেক রচনায় আলোচিত হইয়াছে―নিজের জমিদারিতে ও পরে বিশ্বভারতীতে তাহা কার্যতঃও প্রয়োগ করিবার চেষ্টা করিয়াছেন, ‘রবীন্দ্রজীবনী’তে তাহার বিবরণ আছে―“রবীন্দ্রনাথ যখন প্রজাদের মধ্যে সমবায়শক্তি জাগরূক করিবার কথা ভাবিতেছিলেন তখন বাংলাদেশে সরকারী কো-অপারেটিভ আন্দোলন আরম্ভ হয় নাই”। সমবায়-সমিতি-রূপে পরিকল্পিত ‘হিন্দুস্থান বীমা কোম্পানি’ প্রতিষ্ঠার সময়েও তিনি উহার সহিত বিশেষভাবে যুক্ত ছিলেন।

 এই পুস্তকে সমবায়নীতি সম্বন্ধে বিশেষভাবে লিখিত রচনাদিই মুদ্রিত হইল। পরিশিষ্ট ব্যতীত অন্য রচনাগুলি পূর্বে রবীন্দ্রনাথের কোনো গ্রন্থে নিবদ্ধ হয় নাই, এই পুস্তকে শ্রীপুলিনবিহারী সেন কর্তৃক সংকলিত হইল।

 বঙ্গীয় সমবায়-সংগঠন-সমিতির অন্যতম উদ্যোক্তা, ও বিশ্বভারতীর চিরসুহৃৎ পরলোকগত সুধীরকুমার লাহিড়ী এই সংকলন-কার্যে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করিয়াছিলেন; কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাঁহারই উৎসাহে রবীন্দ্রনাথ সমবায়নীতি সম্বন্ধে তাঁহার মন্তব্য প্রকাশে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। এই গ্রন্থ প্রকাশকালে বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ তাঁহাকে বিশেষভাবে স্মরণ করিতেছেন।

  1. গ্রন্থমধ্যে রচনা-শেষে এই সকল তারিখ ব্যবহৃত হইয়াছে।

এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।