ঈস্—!

হাবড়া-মাঠে কুস্তি হবে গোবরা এবং গামার,
দেখতে সেটা ইচ্ছা হ’ল নন্দলালের মামার।
স্বয়ং তিনি কুস্তি লড়েন,
মুগুর ভাঁজেন স্যাণ্ডো করেন,
বুকের উপর পাথর রাখেন বোতাম খুলে জামার।

(ঈস্—!)



অনেক রকম কায়দা-কানুন জানেন তিনি আবার,
পাঞ্জাবেতে পাঞ্জা ল’ড়ে মঞ্জুমিঞা সাবাড়।
এই সেদিনে পাটনা জেলায়
তাঁহার সাথে কুস্তি খেলায়
পাকা পুরো হারটি হ’ল ছট্ট লালের বাবার।

(ঈস—!)

এমন অনেক ভীষণ কথা বলেন তিনি দেদার,—
অবাক্ হয়ে শুনতে থাকি নন্দ, আমি, কেদার—
‘মাসেল’ টিপে দেখান মামা,
শক্ত যেন ইটের ঝামা,
অবাক হয়ে আমরা কেবল তাকাই ওধার-এধার।

(ঈস্—!)



এমন ভীষণ মামার কাছে স্পর্ধা দেখ হরির—
বললে কিনা—‘তোমার তো ওই হ্যাংলা-পানা শরীর!’—
শুনেই মামা ভীষণ রেগে
কাঁপতে থাকেন দূরের থেকে,
জুতোর উপর ঠুকতে থাকেন মুণ্ডুটা তাঁর ছড়ির।

(ঈস্—!)



ভাগ্যে মামার হাবড়া-মাঠে সময় হ’ল যাবার
নইলে পরে একটি চড়ে হরির দফা সাবাড়!
ভাগ্যে মামা গেলেন চ’লে—
রক্ষে ছিল আজ না-হ’লে?
হাঁফটি ছেড়ে আমরা খেলাম বিকেল বেলার খাবার।

(ঈস্—!)