দুরন্ত

ছেলেকে আর কিছুতেই বশে রাখা যায় না। ছেলেবেলায় গাছে গাছে পেয়ারা পাড়িয়া বেড়াইত, জল দেখিলেই ঝাঁপাইয়া পড়িত। বুঝিত না, হাত পা-ই ভাঙ্গে, কি ডুবিয়াই মরে। আজকাল, কোথায় কলেরা হইয়াছে—গেল সেবা করিতে, কোথায় স্নানের যোগ—গেল স্বেচ্ছাসেবক হইয়া। নিজের মরণটা বলিয়াও ভয় নাই। বাপ ত ভাবিয়াই আকুল। এমন সময় ছেলে আসিয়া বলিল, “বাবা, কাল তারকেশ্বর যাব।”