এখন যাঁদের দেখছি/অহীন্দ্র চৌধুরী
কুড়ি
অহীন্দ্র চৌধুরী
মাত্র দুই বৎসর। মাত্র দুই বৎসরের মধ্যে বাংলা নাট্যকলার মোড় ঘুরে গেল একেবারে। যা ছিল ক্ষীণ, জরাজর্জর, লাভ করলে তা তাজা রক্ত, উত্তপ্ত যৌবন। পুরাতন সরে দাঁড়াল পিছনে, নূতন এগিয়ে এল সামনে। এই অভাবিত আকস্মিক পরিবর্তন বিস্ময়কর।
মনোমোহন থিয়েটারে বৃদ্ধ দানীবাবু করছিলেন নিশ্চিন্তভাবে অতীতের রোমন্থন। পূর্বসঞ্চিত পুঁজি ভাঙিয়ে কোন রকমে চালিয়ে দিচ্ছিলেন। গিরিশচন্দ্রের জীবদ্দশায় যে দানীবাবুকে একই ভূমিকায় বারংবার দেখে দেখেও আমাদের আশা মিটতে চাইত না, “মনোমোহনে”র নূতন নাটকেও তিনি আর দিতে পারতেন না নূতনত্বের পরিচয়। চলাফেরা, অঙ্গহার, সংলাপ, সব-কিছুর ভিতরেই আগে যা দেখেছি ও শুনেছি, আবার তাইই প্রকাশ পেত। তাঁর সঙ্গে আর যাঁরা অভিনয় করতেন, তাঁরা ছিলেন আবার রীতিমত বাজে মার্কার। বিয়োগান্ত নাটককেও তাঁরা প্রহসনে পরিণত করতে পারতেন অবলীলাক্রমে।
এই ভাঙা হাটে প্রথমে এসে দাঁড়ালেন শিশিরকুমার। তাঁর কয়েক মাস পরে এলেন রাধিকানন্দ মুখোপাধ্যায় ও নরেশচন্দ্র মিত্র। তারই অল্পদিন পরে দেখা দিলেন নির্মলেন্দু লাহিড়ী। এবং তারপর ১৯২৩ খৃষ্টাব্দে আমরা এক সঙ্গে লাভ করলুম দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্দু মুখোপাধ্যায়, তিনকড়ি চক্রবর্তী ও অহীন্দ্র চৌধুরীকে। ভাঙা হাট জমে আবার সরগরম হয়ে উঠল। এ সব হচ্ছে মাত্র দুই বৎসরের ঘটনা।
‘রেনেসাঁস’ পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে লেগেছিল আরো কিছুকাল। শেষোক্ত দলের শিল্পীরা যখন দেখা দেন, শিশিরকুমার ছিলেন তখন যবনিকার অন্তরালে। ১৯২৪ খৃষ্টাব্দে নাট্যজগতে হয় তাঁর পুনঃপ্রবেশ। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই হয় “মনোমোহনে”র পতন। ক্রমে শিশিরকুমারের চারি পাশে এসে দাঁড়ালেন ললিতমোহন লাহিড়ী, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী, বিশ্বনাথ ভাদুড়ী, তুলসীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শৈলেন চৌধুরী, অমিতাভ বসু, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, রবি রায় ও জীবন গঙ্গোপাধ্যায় প্রভৃতি। লুপ্ত হয়ে গেল বাংলা রঙ্গালয়ের গতানুগতিক ধারা। নতূন স্রোত এল পুরাতন খাতে। সেই স্রোত এখনো চলছে। তখনকার নবীনরা আজ হয়েছেন প্রবীণ। অনেকে পরলোকে গিয়েছেন। তাঁদের স্থান গ্রহণ করেছেন নূতন নূতন শিল্পী। সৌভাগ্যক্রমে এখানকার সর্বাগ্রগণ্য ও সৃষ্টিক্ষম দুইজন শিল্পী আজও সক্রীয় অবস্থায় আমাদের মধ্যে বিদ্যমান। ওঁদের একজন হচ্ছেন শিশিরকুমার, আর একজন অহীন্দ্র চৌধুরী।
নবযুগের অধিকাংশ অভিনেতার মত অহীন্দ্রেরও হাতে খড়ি হয়নি সাধারণ রঙ্গালয়ে। তাঁরও নাট্যসাধনা শুরু হয়েছিল শৌখীন নাট্যজগতেই। কেবল তাই নয়। পেশাদার রঙ্গালয়ে মঞ্চাভিনয়ে যোগ দেবার আগেই তিনি চলচ্চিত্রের পর্দাতেও দেখা দিয়ে নিজের নৈপুণ্য প্রকাশ করেছিলেন। অধুনালুপ্ত বিখ্যাত মাসিক পত্রিকা “কল্লোলে”র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ডাঃ কালিদাস নাগের ভ্রাতা স্বর্গীয় গোকুলচন্দ্র নাগ প্রভৃতির চেষ্টায় “ফোটো প্লে সিণ্ডিকেট অফ ইণ্ডিয়া” নামে একটি চিত্র-প্রতিষ্ঠান গঠিত হয়। তার প্রথম ছবির নাম “সোল অফ এ স্লেভ”। নায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন অহীন্দ্র চৌধুরী। তাঁর অভিনয় বেশ উতরে গিয়েছিল।
সাধারণ রঙ্গালয়ে তাঁর প্রথম ভূমিকা হচ্ছে “কর্ণার্জুন” নাটকে অর্জুন। প্রথম আবির্ভাবেই তিনি বিশেষভাবে আকৃষ্ট করেছিলেন প্রত্যেক দর্শকের দৃষ্টি। দীর্ঘ, সুঠাম ও বলিষ্ঠ দেহ এবং সুশ্রী মুখ, নায়কের উপযোগী আদর্শ চেহারা। গম্ভীর, উদাত্ত ও ভাবব্যঞ্জক কণ্ঠম্বর। গলায় স্বরের খেলায় বেশী বৈচিত্র্য না থাকলেও ভাবের অভিব্যক্তি প্রদর্শিত হয় কৌশলে। সংলাপ ও অঙ্গহারের মধ্যে সম্পূর্ণ নিজস্ব ভঙ্গির স্পষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি যে একজন জাত-অভিনেতা এবং পরিপক্ক শক্তি নিয়েই রঙ্গমঞ্চে দেখা দিয়েছেন, তাঁর প্রথম আত্মপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই সকলে সে কথা উপলব্ধি করতে পেরেছিল।
অদূর ভবিষ্যতেই তিনি নাম কিনবেন, এটুকু অনুমান করতে আমার বিলম্ব হয়নি। নাট্যজগতে নিজেকে আমি ‘ভেটার্যান’ দর্শক ব’লে মনে করতে পারি (ভেটার্যান অভিনেতা যদি থাকতে পারে, তবে ভেটার্যান দর্শকই বা থাকবে না কেন?)। বাল্যকাল থেকে আজ পর্যন্ত অভিনয় দেখে দেখে মাথার চুল পাকিয়ে ফেললুম, একবার দেখলেই চিনতে পারি ভালো অভিনেতাকে। তাই অহীন্দ্র চৌধুরীকেও চিনতে বিলম্ব হয়নি।
কিন্তু একজন উঁচুদরের চৌকস শিল্পীকে যাচাই করতে হ’লে অর্জুন ভূমিকাটি বেশী কাজে লাগবে না। শিপীর শ্রেষ্ঠতার আদর্শ কি, তিনি কতটা উঁচুতে ও কতটা বৈচিত্র্য দেখাতে পারেন, সে প্রমাণ পেতে গেলে দরকার অন্য রকম ভূমিকার। “কর্ণার্জুনে”র পর অহীন্দ্র আরো কোন কোন নাটকে দেখা দেন। প্রতিবারেই করেন উল্লেখযোগ্য অভিনয়। কিন্তু সে সব ক্ষেত্রেও তাঁর যথার্থ শক্তি সম্বন্ধে সম্যক ধারণা করতে পারিনি।
তারপরেই হ’ল তাঁর প্রকৃত আত্মপ্রকাশ। উপর উপরি রবীন্দ্রনাথের দুইখানি নাটকে ("চিরকুমার সভা” ও “গৃহপ্রবেশ”) তিনি যথাক্রমে গ্রহণ করলেন চন্দ্র ও যতীনের ভূমিকা। দুটি ভূমিকাই সম্পূর্ণরূপে পরস্পরবিরোধী। একটি হাস্যতরল ও আর একটি অশ্রুসজল। চন্দ্রবাবু নিজে হাসেন না, বরং গম্ভীর হয়েই থাকেন, কিন্তু লোকে তাঁর ভাবভঙ্গি, চলনবলন, অন্যমনস্কতা ও মুদ্রাদোষ প্রভৃতি দেখে হেসে খায় লুটোপুটি। অনেকটা এই শ্রেণীর অধ্যাপককে বাস্তবজীবনেও আবিষ্কার করা অসম্ভব হবে না। চন্দ্রের ভূমিকায় অহীন্দ্রের অপরূপ অভিনয় নাট্যজগতে কেবল আলোড়ন ও উত্তেজনা সৃষ্টিই করলে না, সেই সঙ্গে সকলকে দেখিয়ে দিলে কতখানি উন্নত শক্তির অধিকারী তিনি। ভূমিকার উপযোগী প্রকৃতি-নির্দেশক রঙ্গসজ্জার দ্বারাও তিনি দর্শকদের করলেন চমৎকৃত।
তারপর যতীনের ভূমিকা। অত্যন্ত কঠিন ভূমিকা। কেবল সুকঠিন নয়, বাংলা রঙ্গালয়ের এমন নূতন রকম ভূমিকা আর কখনো দেখা যায় নি—আগেও না, পরেও না। একটিমাত্র দৃশ্য, নাটকের গোড়া থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাধিগ্রস্ত, মৃত্যুন্মুখ, উত্থানশক্তিহীন যতীন শয্যাশায়ী অবস্থায় সংলাপ চালিয়ে যাবে হিমীর (শ্রীমতী নীহারবালা) সঙ্গে। মেলো-ড্রামাটিক ভাবভঙ্গি ও প্যাঁচ দেখাবার, চীৎকার ও রঙ্গমঞ্চ পরিক্রমণ করবার এতটুকু সুযোগ নেই, তবু সেই নিষ্ক্রিয় ও নিশ্চেষ্ট অবস্থাতেই নাটকের প্রাণবস্তু ফুটিয়ে তুলে এবং ভাবভিব্যক্তির চরমে উঠে কেবল সংলাপ সম্বল ক’রেই অহীন্দ্র সকলকে একেবারে মন্ত্রমুগ্ধ ক’রে রাখতেন। দুইবার দেখেছি “গৃহপ্রবেশ” এবং দুইবারই অহীন্দ্রের অনুপম শক্তি দেখে বিস্মিত হেয় ফিরে এসেছি। আরো দেখবার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু বাংলা রঙ্গালয়ের অরসিক দর্শকদের অনাদরে “গৃহপ্রবেশের”র পরমায়ু হয়েছিল অতিশয় সংক্ষিপ্ত। “গৃহপ্রবেশে”র মধ্যে যে আধুনিক উচ্চতর শ্রেণীর নাটকীয় ক্রিয়া ছিল, তা শারীরিক নয়, সম্পূর্ণরূপেই আন্তরিক। তাই প্রাকৃতজনদের পক্ষে তা হয়েছিল রীতিমত গুরুপাক। রুশিয়ার নাট্যকার লিওনিউ আন্দ্রীভ এই শ্রেণীর নাটকরচনার পক্ষপাতী ছিলেন। শেষ বয়সে আমাদের গিরিশচন্দ্রও এই শ্রেণীর নাটকরচনার বাসনা প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু মৃত্যু তাঁর বাসনা পূর্ণ হ’তে দেয়নি।
ব্যবসায়ের দিক দিয়ে “গৃহপ্রবেশ” জমল না। কিন্তু গৌরবের দিক দিয়ে আর্ট থিয়েটার হ’ল প্রভূত লাভবান এবং যশের দিক দিয়ে অহীন্দ্রের তারকা হ’ল নিরতিশয় ঊর্ধ্বগামী। সবাই বুঝলে, তিনি কেবল বাংলা দেশের একজন প্রথম শ্রেণীর অভিনেতা নন, কোন কোন বিভাগে সত্য সত্যই অতুলনীয়।
‘ষ্টারে’ মঞ্চস্থ হ’ল “চন্দ্রগুপ্ত”, অহীন্দ্র সেলুকসের ভূমিকায়। প্রথম সেলুকস সাজতেন প্রিয়নাথ ঘোষ, তারপর কুঞ্জলাল চক্রবর্তী প্রভৃতি। তাঁদের দেখানো সেলুকসের ছবি মুছে দিলে অহীন্দ্রের অভিনয়।
বিজ্ঞাপিত হ’ল, অহীন্দ্র দেখা দেবেন ক্ষীরোদপ্রসাদের “আলমগীর” নাটকের নামভূমিকায়। কলকাতার সাধারণ রঙ্গালয়ে ঐ বিশেষ ভূমিকাটিতে অবিস্মরণীয় অসাধারণ অভিনয় ক’রে শিশিরকুমার কিনেছিলেন এমন তুলনাহীন নাম যে, অন্য কোন শ্রেষ্ঠ অভিনেতাও ওর দিকে লুব্ধ দৃষ্টিতে তাকাতে সাহস করতেন না। নির্মলেন্দু লাহিড়ীও আলমগীর সেজেছিলেন বটে, কিন্তু মফম্বলে। অহীন্দ্রের দুঃসাহস দেখে সকলেই বিস্মিত। আমিও কৌতূহলী হয়ে নির্দিষ্ট দিনে অহীন্দ্রের অভিনয় না দেখে থাকতে পারলুম না। তারপর অভিনয় দেখে বুঝলুম, তিনি হচ্ছেন দস্তুরমত সুকৌশলী শিল্পী। জানি না যে কোন কারণে তিনি ঐ ভূমিকাটি গ্রহণ করতে বাধ্য হেয়ছিলেন কিনা, কিন্তু শ্রেষ্ঠ শিল্পীর মতই নিজের মান রক্ষা ক’রে তিনি দিলেন বিশেষ চাতুর্যের পরিচয়। কোন শ্রেষ্ঠ শিল্পীই যে কোন ভূমিকায় আত্মপ্রকাশ করতে পারেন না, যে ভূমিকা রামের উপযোগী, তা শ্যামের উপযোগী না হ’তেও পারে। আলমগীর ভূমিকাটি অহীন্দ্রের উপযোগী ভূমিকা নয়। কিন্তু তবু তাঁর অভিনয় নিরেস হ’ল না। ঐ ভূমিকাটির স্থানে স্থানে সংলাপের মধ্যে আছে যথেষ্ট উচ্ছ্বাস, কণ্ঠস্বরের পরিবর্তনের দ্বারা শিশিরকুমার যা চমৎকারভাবে অভিব্যক্ত করেন। অহীন্দ্র কিন্তু সেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশের চেষ্টা করলেন না, তাঁর সংলাপ হ’ল কাটা কাটা। আলমগীর ভূমিকায় তিনি দিলেন একটি সম্পূর্ণ নতুন ধারণা, তাঁর সঙ্গে কেউ শিশিরকুমারের তুলনা করবার অবসরই পেলে না। এমন কি তাঁর রঙ্গসজ্জা পর্যন্ত হ’ল অভিনব।
দ্বিজেন্দ্রলালের জীবদ্দশায় তাঁর “সাজাাহন” ও “চন্দ্রগুপ্ত” নাটকের কয়েকটি ভূমিকার উপযোগী অভিনয় হয়নি। চন্দ্রগুপ্ত, আণ্টিগোনাস ও সেলুকস প্রভৃতি চরিত্রগুলিকে জীবন্ত ক’রে তুলেছেন নবযুগের অভিনেতারাই। তাঁর “সাজাহানে”র নামভূমিকাকেও সর্বপ্রথমে যথার্থ মর্যাদা দিয়েছেন অহীন্দ্র চৌধুরীই।
আরো কত ভূমিকায় অহীন্দ্র করেছেন স্মরণীয় অভিনয়। এখানে তার ফর্দ দাখিল করা সম্ভব নয়। চলচ্চিত্রক্ষেত্রেও আছে তাঁর ব্যাপক প্রাধান্য। মঞ্চের উপরে এবং পর্দার গায়ে তাঁকে দেখা গিয়েছে যত ভূমিকায়, তত বোধ হয় আর কারুকেই নয়। আজ প্রাচীন বয়সেও তিনি অশ্রান্তভাবে দেখা দিচ্ছেন নানা শ্রেণীর ভূমিকার পর ভূমিকায়। অসাধারণ তাঁর সহনশক্তি। এক এক দিন দিবাভাগে তিনি যোগ দিয়েছেন চিত্রাভিনয়ে এবং রাত্রে করেছেন একাধিক রঙ্গালয়ে একাধিক ভূমিকায় অভিনয়। কেবল গম্ভীর ও উচ্চশ্রেণীর হাস্যরসাত্মক ভূমিকায় নয়, ‘লো—কমিক’ অভিনয়েও তাঁর অসামান্য কৃতিত্ব দেখেছিলুম “লাখটাকা” হাস্যনাট্যের একটি ভূমিকায়।
ব্যক্তিগত জীবনেও তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ স্থাপনের সুযোগ পেয়েছি অসংখ্যবার। বাকপ্রপঞ্চে অহীন্দ্রের উল্লেখযোগ্য অসাধারণতা নেই বটে, আগে আগে রঙ্গালয়ের অভিনয় শেষ ক’রে প্রায়ই তিনি আমার বাড়িতে পদার্পণ করতেন। হরেক রকম আলাপ-আলোচনায় কেটে যেত ঘণ্টার পর ঘণ্টা, আমাদের অজ্ঞাতসারেই। তারপর যখন রাত্রে ‘ডিনার’ খেতে বসতুম, তখন হয়তো কলরব করবার জন্যে প্রস্তুত হচ্ছে ভোরের পাখীরা।
একদিন রাত দুপরে হঠাৎ আমার খেয়াল হ’ল, কলকাতার কাছাকাছি কোন ডাকবাংলোয় বেড়িয়ে আসতে।
অহীন্দ্র বললেন, “কালকাতার খুব কাছে ডাকবাংলো আছে রাজারহাট বিষ্ণুপুরে। ”
বললুম, “চল তবে যাই সেখানে।”
অহীন্দ্রও নারাজ নন। তখনি এল ট্যাক্সি। আমরা যাত্রা করলুম রাজারহাট বিষ্ণুপুরে। উল্লেখযোগ্য ডাকবাংলো নয় বটে, কিন্তু বন্ধুর সান্নিধ্য সব স্থানকেই ক’রে তোলে সুমধুর। সেখানেই রাত কাবার ক’রে ফিরে এলুম পরদিনের ভোরবেলায়।
কিন্তু “তে হি নো দিবসা গতাঃ”।