কথামালা (১৮৭৭)/পক্ষী ও শাকুনিক
(পৃ. ৬০)
পক্ষী ও শাকুনিক
এক শাকুনিক, ফাঁদ পাতিয়া, এক পক্ষী ধরিয়া ছিল। পক্ষী, প্রাণবিনাশ উপস্থিত দেখিয়া, কাতর হইয়া, বিনয়বাক্যে শাকুনিককে কহিতে লাগিল, ভাই! তুমি অনুগ্রহ করিয়া আমায় ছাড়িয়া দাও। আমি তোমার নিকট স্বীকার করিতেছি, আমাকে ছাড়িয়া দিলে, আমি, অন্য অন্য পক্ষীদিগকে ভুলাইয়া আনিয়া, তোমার ফাঁদে ফেলিয়া দিব। বিবেচনা করিয়া দেখ, তুমি এক পক্ষীর পরিবর্ত্তে কত পক্ষী পাইবে। শাকুনিক কহিল, না, আমি তোমায় ছাড়িয়া দিব না। যে, আপন মঙ্গলের নিমিত্ত, স্বজাতীয় ও আত্মীয় দিগের সর্ব্বনাশ করিতে উদ্যত, তাহার মৃত্যু হওয়াই মঙ্গল।