রীতিমত আহার পাইলে, এবং শরীর রীতিমত মার্জ্জিত ও মর্দ্দিত হইলে, অশ্বগণ বিলক্ষণ বলবান্ হয়, এবং সুশ্রী ও চিক্কণ দেখায়। কিন্তু রীতিমত আহার না দিলে, কেবল মার্জ্জনে ও মর্দ্দনে কোন ফল হয় না। কোনও অশ্বপাল, প্রত্যহ অশ্বের আহার-দ্রব্যের কিয়ৎ অংশ বেচিয়া, বিলক্ষণ লাভ করিত। অশ্ব, রীতিমত আহার না পাইয়া, দিন দিন দুর্ব্বল হইতে লাগিল। দুষ্ট অশ্বপাল, লাভের লোভে, অশ্বের আহার-দ্রব্য প্রত্যহ চুরি করিত বটে, কিন্তু মার্জ্জন ও মর্দ্দন বিষয়ে, তাহার কিছুমাত্র আলস্য ছিল না; বরং সচরাচর সকলে যত বার ও যতক্ষণ, মার্জ্জন ও মর্দ্দন করে, সে তাহা অপেক্ষা অধিক ক্ষণ ও অধিক বার করিত। দুর্ব্বল শরীর অধিক মার্জ্জন ও মর্দ্দন করাতে, অশ্বের বিলক্ষণ ক্লেশ হইতে লাগিল। এজন্য, অশ্ব অতিশয় বিরক্ত হইয়া, একদিন অশ্বপালকে বলিল, ভাই হে, যদি আমাকে সুশ্রী ও সবল করিবার ইচ্ছা থাকে, তাহা হইলে রীতিমত আহার দিতে আরম্ভ কর; রীতিমত আহার না দিলে, কেবল মার্জ্জন ও মর্দ্দন দ্বারা, তুমি কখনই আমাকে সুশ্রী ও সবল করিতে পারিবে না।
অশ্ব—ঘোটক, ঘোড়া। মার্জ্জিত-মাজা, পরিষ্কৃত। সুশ্রী-সুন্দর। প্রত্যহ-প্রতিদিন, রোজ রোজ। সচরাচর-সাধারণতঃ। ইচ্ছা-অভিলাষ, বাঞ্ছা।
|
|
অশ্বপাল—সহিস। মর্দ্দিত-দলিত। চিক্কণ—চক্চকে, উজ্জ্বল। আলস্য-কুড়েমি, অলসতা। সবল—বলবান, বলযুক্ত। রীতিমত–উপযুক্ত।
|
|