ক্ষণিকা/কূলে
< ক্ষণিকা
(পৃ. ১১৬-১১৭)
কূলে
আমাদের এই নদীর কূলে
নাইকো স্নানের ঘাট
ধূ-ধূ করে মাঠ।
ভাঙা পাড়ির গায়ে শুধু
শালিখ লাখে লাখে
খোপের মধ্যে থাকে।
সকালবেলা অরুণ-আলো
পড়ে জলের ’পরে,
নৌকা চলে দু-একখানি
অলস বায়ু-ভরে।
আঘাটাতে বসে রইলে,
বেলা যাচ্ছে বয়ে-
দাও গো মোরে ক’য়ে
ডাঙন-ধরা কূলে তোমার
আর কিছু কি চাই।
সে কহিল, ভাই,
না-ই, না-ই, নাই গো আমার
কিছুতে কাজ নাই॥
আমাদের এ নদীর কূলে
ভাঙা পাড়ির তল,
ধেনু খায় না জল।
দূরগ্রামের দু-একটি ছাগ
বেড়ায় চরি চরি
সারাদিবস ধরি।
জলের ’পরে বেঁকে-পড়া
খেজুর-শাখা হতে
ক্ষণে ক্ষণে মাছরাঙাটি
ঝাঁপিয়ে পড়ে স্রোতে।
ঘাসের ’পরে অশথতলে
যাচ্ছে বেলা বয়ে-
দাও আমারে ক’য়ে
আজকে এমন বিজন প্রাতে
আরকারে কি চাই।
সে কহিল, ভাই,
না-ই, না-ই, নাই গো আমার
কারেও কাজ নাই॥