গুপ্ত রহস্য/সপ্তম পরিচ্ছেদ
সপ্তম পরিচ্ছেদ।
তারামণিকে উহাদের সম্বন্ধে আরও অনেক কথা জিজ্ঞাসা করিলাম কিন্তু আমাদিগের কার্য্যোপযোগী আর কোন বিশেষ কথা প্রাপ্ত হইলাম না।
আমাদিগের উপরিতন কর্ম্মচারীর আদেশ ছিল এই মোকর্দ্দমার পুনরায় অনুসন্ধান করা, মতিয়া বিবির মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করা, ও যাহাতে মস্লিম্ প্রভৃতির কৃত কর্মের উপযুক্ত দণ্ড হয় তাহার সাধ্যমত চেষ্টা করা। সূতরাং তারামণির নিকট হইতে যে সকল বিষয় আমরা জানিতে পারিলাম তাহা কোনরূপে উপেক্ষা করিতে পারিলাম না। পুনরায় অনুসন্ধান ক্ষেত্রে উপনীত হইয়া এই কঠোর কার্য্য স্বহস্তে গ্রহণ করিলাম।
কলিকাতার মধ্যে যে যে স্থানে যেরূপ বারবণিতাদিগের বাস স্থান তাহা আমরা জানিতাম। যে সকল বারবণিতাগণ নৃত্য গীতে পটু ও বাবুদিগের বাগানে বাগানে অবস্থিতি করিয়া যাহারা আপনাপন জীবিকা নির্ব্বাহ ও অলঙ্কার ও অর্থের সংস্থান করিয়া থাকে তাহাদিগের অনেকেই আমাদিগের পরিচিত না থাকিলেও আমরা উহাদিগের অনেকেরই সান রাখিতামা
এই বিষয়ের অনুসন্ধান করিবার প্রথম সোপান মতিয়া বিবির বাসস্থানের অনুসন্ধান; অর্থাৎ যে যে কোথায় থকিত ও কাহার দ্বারা প্রতিলিত হইত তাহার বিস্তারিত বিবরণ জানিবার নিমিত্ত আমরা প্রথমেই প্রবৃত্ত হইলাম। মতিয়া বিবি এই নাম শুনিয়া আমাদিগের প্রথম হইতেই বিশ্বাস হইয়াছিল যে সে কোন মুসলমানী বেশ্যা। ঐ রূপ মুসলমান বশ্যাগণের অধিকাংশই প্রায় ফৌজদারী বালাখানার সন্নিকটবর্ত্তী স্থানে বাস করিয়া থাকে। সুতরাং ঐ স্থানে আমরা গিয়া প্রথম অনুসন্ধান আরম্ভ করিলাম। মতিয়া বিবি নাম্নী কোন স্ত্রীলোক অথবা অপর নামধারিণী অপর কোন বিলাসিনী ঐ স্থান হইতে অন্তর্হিত হইয়াছে কি না তাহা জানিবার জন্য বিশেষরূপ চেষ্টা করিলাম; কিন্তু ঐ স্থান হইতে কোন স্ত্রীলোকের অন্তর্হিতা হইবার কোনরূপ সন্ধানই প্রাপ্ত হইলাম না।
মৃত স্ত্রীলোকটীর নাম মতিয়া বিবি, ইহা দস্যুগণের মুখ হইতেই প্রকাশিত হইয়াছে ও উহাদিগের নিকট হইতে জানিতে পারা গিয়াছে যে মতিয়া বিবি জাতিতে মুসলমান। এদিকে মুসলমান বেশ্যাগণের মধ্য হইতে ওরূপ কোন স্ত্রীলোক অন্তর্হিতা হইয়াছে জানিতে না পারিয়া স্বভাবতই আমাদিগের মনে সন্দেহ হইল, যে দস্যুগণ যাহাকে হত্যা করিয়াছে তাহার নাম মতিয়া বিবি নহে ও সে জাতিতে মুসলমানও নহে। মস্লিম্ মিখ্যা কথা বলিয়া উহার মিথ্যা পরিচয় দিয়াছিল।
মনে মনে এইরূপ অনুমান করিয়া তখন হিন্দু বিলাসিনীদিগের মধ্যে আমরা অনুসন্ধান করিতে প্রবৃত্ত হইলাম। যেরূপ প্রকৃতির স্ত্রীলোকের অনুসন্ধানে আমরা প্রবৃত্ত হইলাম তাহাদিগের অধিকাংশই প্রায় সোনাগাছির ও তাহার নিকটবর্ত্তী স্থানে বাস করিয়া থাকে। সুতরাং ঐ স্থানে গিয়া আমাদিগকে অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইতে হইল। সোনাগাছির মধ্যে ঐরূপ প্রকৃতির অনেক স্ত্রীলোক বাস করিয়া থাকে। তাহাদিগের মধ্যে একটাকে আমি উত্তমরূপে জানিলম, সেও আমাকে ভালরূপে চিনিত। সম্ভ্রান্তশালী ব্যক্তিগণের বাগানে বাস করাই উহার প্রধান ব্যবসা। আমি সোনাগাছির মধ্যে প্রবেশ করিয়া সর্ব্ব প্রথম উহারই নিকট গমন করিলাম ও কিরূপ লোকের অনুসন্ধানের নিমিত্ত আমি সেই স্থানে গমন করিয়াছিলাম তাহার সমস্ত অবস্থা আমি তাহাকে কহিলাম। আমার কথা শুনিয়া সে পাঁচ সাতটী স্ত্রীলোকের নাম ও ঠিকানা আমাকে বলিয়া দিল ও কহিল ইহাদিগের মধ্যে বেলা নাম্নী স্ত্রীলোকটী অতিশয় মদ্যপায়ী। মদ্যপান না করিয়া সেএকটী দিবসও অতিবাহিত করিতে পারে না। কোন ধনশালী ব্যক্তি যদি তাহাকে বাগানে লইয়া যায় ও যদি নিয়মিতরূপে সে সেই স্থানে মদ্যপান করিতে পায় তাহা হইলে সময় সময় মাসাবধি পর্য্যন্ত সে সেইস্থানে পড়িয়া থাকে। সে আরও কহিল সে অনেক দিবস পর্য্যন্ত তাহাকে দেখে নাই ও বলিতে পারে না সে এখন কোথায় আছে। উহার নিকট হইতে এই অবস্থা অবগত হইবামাত্রই আমার উত্তমরূপ অনুমান হইল যে, মতিয়া বিবি বেলা ভিন্ন আর কেহই নহে। দস্যুগণ এই বেলাকেই এই স্থান হইতে লইয়া গিয়া তাহার সর্বনাশ সাধন ও তাহার যথাসর্ব্বস্ব অপহরণ করিয়া পরিশেষে তাহাকেই তারামণির লোহার সিন্ধুকের ভিতর আবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছিল।
মনে মনে এরূপ ভাবিয়া বেলা যে বাড়ীতে বাস করিত সেই বাড়ীতে গিয়া উপনীত হইলাম ও জানিতে পারিলাম প্রাতই বেলা সেই সময় হইতে অন্তর্ধান হইয়াছে। একটা অপরিচিত লোক যে বেলার ঘরে প্রায়ই সর্ব্বদা আসিত, সেই এক দিবস আসিয়া বেলাকে সঙ্গে করিয়া সেই স্থান হইতে লইয়া যায় কিন্তু এ পর্য্যন্ত বেলা আর প্রত্যাগমন করে নাই। বেলার একটী চাকর ও একটা চাকরাণী এখন পর্য্যন্ত ঐ বাড়ীতে বেলার ঘরে, বেলার প্রত্যাগমনের প্রত্যাশায় বাস করিতেছে। বেলার একটী। উপপতি আছে। সে কোন ভদ্রবংশসম্ভূত জনৈক ধনাঢ্য ব্যক্তির গৃহতাড়িত পুত্র। নানারূপ দুষ্কর্ম্মে রত ও মদ্যপানে অনুরক্ত হইয়া পিতার যথেষ্ট অর্থ নষ্ট করায়, তাহার পিতা তাহাকে গৃহ হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিয়াছেন। পূর্ব্বে এই বেলার নিমিত্ত সে বিস্তর অর্থ নষ্ট করিয়াছিল ও অলঙ্কার ও অর্থে অনেক টাকা সে বেলাকে, দিয়াছিল। কিন্তু যে পর্য্যন্ত তাহার পিতা তাহাকে তাহার বাড়ী হইতে বহির্গত করিয়া দিয়াছে সেই পর্য্যন্ত সেও কপর্দ্দক শূন্য হইয়া পড়িয়াছে; এখন বেলাকে কোনরপে সাহায্য করা দূরে থাকুক বেলার দ্বারাই এখন তিনি প্রতিপালিত। তাহার আহারীয়, পরিধেও ও সুরাপান প্রভৃতির সমস্ত খরচই এখন বেলা নির্ব্বাহ করিয়া থাকে।
আমি বেলার বাড়ীতে উপনীত হইবা মাত্রই ঐ বাবুটীর সহিত আমার প্রথম সাক্ষাৎ হইল। তাহাকে জিজ্ঞাসা করিয়া অবগত হইলাম যে, যে সময়ে তারামণির গৃহে সিঁদ দিয়া তাহার যথাসর্ব্বস্ব অপহৃত হইয়াছে প্রায় সেই সময় হইতে বেলাও তাহার ঘর পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গিয়াছে। নাম ধাম অজ্ঞাত একটা লোক উহার কিছু দিবস পূর্ব্ব হইতে বেলার ঘরে গমনাগমন করিত। বেলা তাহারই সহিত ঐ স্থান পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গিয়াছে, কিন্তু এ পর্যন্ত আর প্রত্যাগমন করে নাই। যাইবার সময় বেলা বলিয়া গিয়াছিল যে, কোন ধনাঢ্য ব্যক্তির বাগানে সে যাইতেছে। সেই স্থানে বোধ হয় তাহার দুই চারি দিবস বিলম্ব হইলেও হইতে পারে। সে অনেক দিবসের কথা, সেই দুই চারি দিবসের পর আরও কত দুই চারি দিবস অতিবাহিত হইয়া গিয়াছে, কিন্তু বেলা এখন পর্যন্তও প্রত্যাগমন করে নাই। বেলার প্রত্যাগমন করিতে বিলম্ব দেখিয়া নানা স্থানে ও নানা সাগানে উহার অনুসন্ধান করা হইয়াছে কিন্তু এ পর্যন্ত কোন স্থানে বেলার সন্ধান পাওয়া যায় নাই। যে ব্যক্তি বেলাকে সঙ্গে করিয়া লইয়া গিয়াছিল তাহাকেও সেই পর্যন্ত কেহ দেখিতে পায় নাই। উহার নিকট হইতে আরও অবগত হইলাম যে বেলার অনেকগুলি সুবর্ণ নির্মিত অলঙ্কার আছে। কয়েক বৎসর পূর্বে মদের নেশায় বিভোর করিয়া বেলার অঙ্গ হইতে অনেক গুলি সোণার অলঙ্কার কোন ব্যক্তি চুরি করিয়া লইয়া গিয়াছিল। সেই সময় হইতে বেলা কিছু সতর্ক হয় তাহার সুবর্ণ নির্মিত যে সকল অলঙ্কার আছে ঠিক সেইরূপ কতকগুলি পিতলের অলঙ্কার বেলা প্রস্তুত করাইয়া তাহাতে সোণার গিণ্টী করাইয়া লয়। ঐ গহণাগুলি বেলা এরূপ ভাবে প্রস্তুত করাইয়া লইয়াছিল যে তাহা দেখিয়া পিতলের গহণা বলিয়া কেই অনুমান করিতে পারিত না। সকলেই ভাবিত যে উহা বিশুদ্ধ সুবর্ণ নির্মিত অলঙ্কার। বেলা যে সময় আপন গৃহে থাকিত কি যে সময় মদ্যাদি পান করিত না সেই সময় সে তাহার সুবর্ণ নির্মিত অলঙ্কার গুলি পরিধাম কম্বিত, আর যখন সে যথাদি পান করিয়া আমোদ প্রমোদে রত থাকিত, অথবা সে যখন কোন অপরিচিত স্থানে বা বাগানে গমন করিত তখন সে তাহার সেই কৃত্রিম অলঙ্কার গুলি ব্যবহার করিত। এবারও যখন সে সেই অপরিচিত ব্যক্তির সহিত গমন করিয়াছিল তখনও তাহার অঙ্গে দুই এক খানি সুবর্ণ অলঙ্কার ব্যতিত প্রায় সমস্তই পিতলের গহনা ছিল।
বেলা সম্বন্ধে ঐ সমস্ত বিষয় অবগত হইয়া যে প্রকোষ্ঠে বেলা বাস করিত তাহার ভিতর প্রবেশ করিলাম, দেখিলাম সোণাগাছী অঞ্চলে একটু ইজ্যৎদার বা অর্থশালী বেশ্যাগণ যেরূপ ধরণে বাস করিয়া থাকে ইহার বাসগৃহের অবস্থাও সেই রূপ। ঘরটী উত্তম রূপে সুসজ্জিভুত ও ঘরের অভ্যন্তরীণ দ্রব্যাদি যথাযথ স্থানে বিন্যস্ত। ঘরের এক প্রান্তে একটী লোহার সিন্ধুক আছে। ঐ সিন্ধুকটী দেখিয়া আমি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম বেলা তাহার মূল্যবান অলঙ্কার প্রভৃতি কি এই সিন্ধুকের ভিতর রাখিয়া থাকে? আমার প্রশ্নের উত্তরে জানিতে পারিলাম ঐ লোহার সিন্ধুক ব্যতিরেকে তাহার মূল্যবান দ্রব্য রাখিবার অপর কোন স্থান নাই। আরও জানিতে পারিলাম এবার যখন সে তাহার গৃহ পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গিয়াছে তাহার পূর্ব্বে তাহার মূল্যবান অলঙ্কারাদি ঐ সিন্ধুকের ভিতর রাখিয়া দিয়াছিল। লোহার সিন্ধুকের চাবি ও সে কখনও তাহার সঙ্গে করিয়া লইয়া যায় না; ঐ ঘরের মধ্যস্থিত একটা বাক্সের মধ্যে সে উহা বন্ধ করিয়া রাখে, কেবল ঐ বাক্সের চাবিটী তাহার সঙ্গে থাকে মাত্র।
এই সমস্ত বিষয় অবগত হইয়া আমি বেশ বুঝিতে পারিলাম এই বেলাই সেই মতিয়া বিবি। বেলার বাগানে বেড়াইবার সাধ মস্লিমের গৃহেই শেষ হইয়া গিয়াছে। পূর্ব্বে তারামণির প্রমুখাৎ অবগত হইয়াছিলাম যে মতিয়া বিবি হত হইবার পর তাহার অঙ্গস্থিত সমস্ত অলঙ্কারই অপহৃত হইয়াছিল, কিন্তু এখন যত দূর অবগত হইলাম তাহাতে সম্যক রূপে বুঝিয়া উঠিতে পারিলাম না যে, বেলার অঙ্গস্থিত যে সকল অলঙ্কার অপহৃত হইয়াছে তাহা মূল্যবান সোণার অলঙ্কার কি পিতলের গহনা।
আমার মনের এই সন্দেহ মিটাইতে আর অধিক বিলম্ব করিলাম, যে বাক্সের মধ্যে বেলার লোহার সিন্দুকের চাবি থাকিত সেই বাক্স খুলিবার নিমিত্ত প্রথমত; চেষ্টা করিলাম কিন্তু খুলিতে না পারিয়া উহা ভাঙ্গিয়া ফেলিলাম; ও ঐ বাক্সের ভিতর অনুসন্ধান করিতে করিতে দেখিতে পাইলাম যে উহার মধ্যে এক স্থানে সিন্ধুকের চাবি লুক্কায়িত অবস্থায় রক্ষিত আছে। ঐ বাক্স হইতে সেই চাবি বাহির করিয়া সেই বাড়ীর সমস্ত লোকের সম্মুখে ঐ লোহার সিন্ধুক খুলিলাম। দেখিলাম বেলার যতগুলি সুবর্ণ নির্ম্মিত অলঙ্কার ছিল তাহার সমস্তই ঐ সিন্ধুকের ভিতর রক্ষিত আছে, সামান্য সামান্য দুই এক খানি সুবর্ণ অলঙ্কার যাহা সে সদা সর্ব্বদা ব্যবহার করিত কেবল তাহাই দেখিতে পাইলাম না। ঐ ঘরের মধ্যে উত্তমরূপে অনুসন্ধান করিয়াও তাহার যে সকল পিতলের গহনা ছিল তাহার এক খানিও প্রাপ্ত হইলাম না। বুঝিলাম মস্লিম ও তাহার দলস্থিত ব্যক্তিবর্গ বিষম ভ্রমে পতিত হইয়া বেলার সর্ব্বনাশ সাধন করিয়াছে, যে উদ্দেশ্যে তাহারা উহাকে হত্যা করিয়াছে তাহাদিগের সে উদ্দেশ্য সফল হয় নাই।
যে সময় তারামণীয় লোহার সিন্ধুকের ভিতর স্ত্রীলোকের মৃত দেহ প্রাপ্ত হওয়া যায় সেই সময় উহার অবস্থা এরূপ ছিল না সে আমরা তাহার প্রতিমূর্ত্তি কোনরূপে উঠাইয়া লই; সুতরাং ঐ মৃতদেহ, যে বেলার তাহা আমরা বেশ বুঝিতে পারিলেও আইন অনুযায়ী কিন্তু আমরা সে কথা বলিতে পারি না। ঐ মৃত দেহ যে কাহার তাহা যখন সনাক্ত হইবার এখন কোন উপায় নাই তখন মস্লিম প্রভৃতি যে বেলকে হত্যা করিয়াছে একথা আইন অনুসারে কিরূপে বলিতে সমর্থ হই ও কি রূপেই বা বেলাকে হত্যা করার নিমিত্ত মস্লিম প্রভৃতির নামে হত্যা মোকর্দ্দমার অবতারণা করি। তাহা বলিয়াই যে এ মোকর্দ্দমার অনুসন্ধান একেবারে পরিত্যাগ করিতে হইবে তাহাই বা বলি কি প্রকারে। ঐ মৃত দেহ বেলার মৃত দেহ বলিয়া সনাক্ত না হইলেও এখনও একটু সামান্য পথ আছে। বেলার অঙ্গে সুবর্ণ বা পিত্তল নির্ম্মিত যে সকল অলঙ্কার ছিল তাহার কোন অলঙ্কার যদি মস্লিম বা তাহার দলস্থিত অপর কোন ব্যক্তির নিকট হইতে প্রাপ্ত হওয়া যায় তাহা হইলেও এই মোকর্দ্দমার অনুসন্ধানের পথে আমরা অনেক দূর অগ্রগামী হইতে পারিব।