চরিতাবলী/ডুবাল
ডুবাল
ফ্রান্স দেশের অন্তঃপাতী আর্টনি গ্রামে ডুবালের জন্ম হয়। ডুবালের পিতা অতি দুঃখী ছিলেন, সামান্যরূপ কৃষিকর্ম্ম অবলম্বন করিয়া, সংসারনির্বাহ করিতেন। ডুবালের দশ বৎসর বয়স, এমন সময়ে তাঁহার পিতা মাতার মৃত্যু হয়। ডুবাল অত্যন্ত দুঃখে পড়িলেন। দুঃখে পড়িয়া, তিনি এক কৃষকের গৃহে রাখালী কর্ম্মে নিযুক্ত হইলেন। কিন্তু সামান্য দোষে কৃষক, কিছু দিন পরেই তাঁহাকে দূর করিয়া দিল।
ডুবাল, নিরুপায় হইয়া, দেশত্যাগ করিয়া, লোরেন চলিলেন। পথে বসন্ত রোগ হইল। এক কৃষক তাঁহাকে আপন বাটীতে লইয়া গেল, এবং চিকিৎসা করিয়া, পথ্য দিয়া, তাঁহার প্রাণরক্ষা করিল। কৃষক দয়া করিয়া আপন বাটীতে লইয়া না গেলে, হয় ত, এই রোগেই ডুবালের মৃত্যু হইত।
কিছু দিন পরে, ডুবাল এক মেষব্যবসায়ীর আলয়ে রাখাল নিযুক্ত হইলেন। এই সময়ে, এক দিন, তিনি কোন বালকের হস্তে একখানি পুস্তক দেখিলেন। ঐ পুস্তকে নানাবিধ পশু পক্ষীর ছবি ছিল। এ পর্য্যন্ত ডুবালের লেখাপড়া আরম্ভ হয় নাই; সুতরাং এ পুস্তক পড়িতে পারিলেন না; কিন্তু ইহা বুঝিতে পারিলেন, পুস্তকে যে সকল পশু পক্ষীর ছবি আছে, তাহাদেরই বৃত্তান্ত লিখিত হইয়াছে।
ঐ সমস্ত পশু পক্ষীর কথা কিরূপ লেখা আছে জানিবার নিমিত্ত তাঁহার অত্যন্ত কৌতুহল জন্মিল। তিনি সেই বালককে কহিলেন, ভাই! এই পুস্তকে পশু পক্ষীর কথা কি লেখা আছে, আমায় পড়িয়া শুনাও। সে শুনাইল না। ডুবাল বারংবার অনুরোধ করিতে লাগিলেন; কিন্তু সেই দুষ্ট বালক কিছুতেই সম্মত হইল না।
ডুবাল অত্যন্ত দুঃখিত হইলেন এবং মনে মনে প্রতিজ্ঞা করিলেন, যে রূপে পারি, লেখা পড়া শিখিব। লেখা পড়া শিখিতে ইচ্ছা হইল বটে, কিন্তু শিখিবার কোন সুযোগ হয় না। তিনি, কার কাছে যাইবেন, কে শিখাইবে, কিছুই স্থির করিতে পারেন না। সমবয়স্ক বালকদিগের নিকটে গেলে, তাহারা শিখাইতে চায় না। এজন্য, তিনি রাখালী করিয়া যা কিছু পাইতেন, তাহা আর কোন বিষয়ে ব্যয় না করিয়া, যে সকল বালক লেখা পড়া জানিত, তাহ দিয়া সন্তুষ্ট করিয়া, তাহাদের নিকট লেখা পড়া শিখিতে আরম্ভ করিলেন।
এই রূপে, ডুবাল লেখা পড়া শিখিতে আরম্ভ করিলেন বটে, কিন্তু আর আর দুষ্ট বালকের বিলক্ষণ ব্যাঘাত জন্মাইতে লাগিল। এজন্য তিনি সর্ব্বদাই এই চিন্তা করেন, যেখানে কোন গোলমাল নাই, এমন স্থান না পাইলে, লেখা পড়ার সুবিধা হইবেক না; এরূপ স্থান কোথায় পাই।
এক দিন ভ্রমণ করিতে করিতে, তিনি একটি আশ্রম দেখিতে পাইলেন। ঐ আশ্রমে পালিমান নামে এক তপস্বী থাকিতেন। ডুবাল দেখিলেন, ঐ আশ্রম অতি নির্জন স্থান, কোন গোলমাল নাই। এজন্য, তিনি মনে মনে স্থির করিলেন, যদি তপস্বী মহাশয় অনুগ্রহ করিয়া আমায় আশ্রমে থাকিতে দেন, তাহা হইলে, এখানে থাকিয়া ভাল করিয়া লেখা পড়া শিখিব। পরে, তিনি তাঁহার নিকট আপন প্রার্থনা জানাইলেন। তপস্বী সম্মত হইলেন। ঐ সময়ে, আশ্রমে একটি ভৃত্য নিযুক্ত করিবার প্রয়োজন ছিল। পালিমান ভুবালকে নিযুক্ত করিলেন। ডুবাল, অতিশয় আহ্লাদিত হইয়া, মনের সুথে আশ্রমের কর্ম্ম করিতে ও লেখা পড়া শিখিতে লাগিলেন।
কিছু দিন পরেই, পালিমানের কর্ত্তৃপক্ষীয়েরা ঐ কর্ম্মে অন্য এক ব্যক্তিকে নিযুক্ত করিয়া পাঠাইলেন। সুতরাং ডুবালের সে কর্ম্ম গেল, এবং আশ্রমে থাকিয় নির্বিঘ্নে লেখা পড়া করিবার যে সুযোগ ঘটিয়াছিল, তাহাও গেল। ডুবাল অত্যন্ত দুঃখিত হইলেন। পালিমান অতিশয় দয়ালু ছিলেন। তিনি, ডুবালের দুঃখে দুঃখিত হইয়া, এক পত্র লিখিয়া, তাঁহাকে আর এক আশ্রমে পাঠাইয়া দিলেন। ঐ আশ্রমে কয়েক জন তপস্বী বাস করিতেন। তাঁহাদের কতিপয় ধেনু ছিল। তাঁহারা, পালিমানের পত্র পাইয়া, ডুবালকে সেই কয় ধেনুর রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত করিলেন।
এই তপস্বীরা বড় ভাল লেখা পড়া জানিতেন না। কিন্তু তাঁহাদের কতকগুলি পুস্তক ছিল। ডুবাল প্রার্থনা করাতে, ডুবাল তাঁহারকে ঐ সকল পুস্তক পড়িতে অনুমতি দিলেন। ডুবাল সেই সকল পুস্তক লইয়া পড়িতে লাগিলেন। কিন্তু আপনি সমুদায় বুঝিতে পারিতেন না। যে সকল স্থান কঠিন বোধ হইত, কেহ আশ্রম দেখিতে আসিলে, তাঁহার নিকট জিজ্ঞাসা করিয়া লইতেন। ডুবাল যে অল্প বেতন পাইতেন, খাওয়া পরার ক্লেশ স্বীকার করিয়া, তাহার অধিকাংশই বাঁচাইবার চেষ্টা পাইতেন, এবং যাহা বাঁচাইতে পারিতেন, তাহাতে আবশ্যকমত পুস্তক কিনিতেন। এক্ষণে তিনি অধিক পড়িতে পারিতেন, সুতরাং অধিক পুস্তক লাভের আকাঙ্ক্ষা হইয়াছিল; কিন্তু যে আয় ছিল, তাহাতে অধিক পুস্তক ক্রয় করিবার সম্ভাবনা ছিল না। তিনি, আয়বৃদ্ধি করিবার নিমিত্ত, ফাঁদ পাতিয়া বনের জন্তু ধরিতে আরম্ভ করিলেন। ঐ সকল জন্তু, অথবা উহাদের চর্ম্ম, বাজারে বিক্রয় করিতেন, এবং তাহাতে যাহা লাভ হইত, তাহা জমাইয়া, তদ্দ্বারা মনের মত পুস্তক কিনিতেন।
বনের জন্তু ধরিতে গিয়া, ডুবাল কখন কখন বিষম সঙ্কটে পড়িতেন, তথাপি ক্ষান্ত হইতেন না। তিনি এক দিন, বনমধ্যে ভ্রমণ করিতে করিতে, এক গাছের ডালে একটা বন্য বিড়াল দেখিতে পাইলেন। বিড়ালের গাত্রের লোমগুলি অতি চিক্কণ দেখিয়া, তিনি বিবেচনা করিলেন, এই বিড়ালের চর্ম্ম বিক্রয় করিলে, কিছু অধিক পাওয়া যাইবেক; অতএব ইহাকে ধরিতে হইল। এই বলিয়া, গাছে চড়িয়া, ডুবাল তাড়াতাড়ি করিতে আরম্ভ করিলেন। বিড়াল তাড়া পাইয়া, খানিক এ ডাল ও ডাল করিয়া বেড়াইল; কিন্তু নিতান্ত পীড়াপাড়ি দেখিয়া, অবশেষে গাছ হইতে নামিয়া পড়িল। তিনিও সঙ্গে সঙ্গে নামিয়া পড়িলেন। বিড়াল দৌড়িতে আরম্ভ করিল; ডুবালও পশ্চাৎ পশ্চাৎ দৌড়িলেন। বিড়াল এক বৃক্ষের কোটরে প্রবেশ করিল। ডুবাল, পীড়াপীড়ি করিয়া, তাহার ভিতর হইতে যেমন বাহির করিলেন, অমনি বিড়াল তাঁহার হাতের উপর ঝাঁপিয়া পড়িল, আঁচড়াইয়া সর্ব্বাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করিল, এবং নখর দ্বারা ঘাড়ের কতক দূরের চামড়া উঠাইয়া লইল। ডুবাল তথাপি উহাকে ছাড়িলেন না; অবশেষে, উহার পা ধরিয়া, এক গাছে বারংবার আছাড় মারিয়া উহার প্রাণসংহার করিলেন। ঐ বিড়ালের চর্ম্ম বিক্রয় করিয়া পুস্তক কিনিতে পরিবেন, এই ভাবিয়া প্রফুল্লচিত্ত হইয়া, তিনি উহাকে গৃহে আনিলেন, বিড়ালের নখরপ্রহারে সর্বাঙ্গ যে ক্ষতবিক্ষত হইয়াছিল, সে ক্লেশকে এক বার ক্লেশ বলিয়া ভাবিলেন না।
এক দিন, ডুবাল, বনের মধ্যে ভ্রমণ করিতে করিতে, একটি সোনার সীল পড়িয়া আছে দেখিতে পাইলেন। ঐ সীলের অনেক মুল্য। ডুবাল, ইচ্ছা করিলে, ঐ সীল বিক্রয় করিয়া, লাভ করিতে পারিতেন। তিনি অতি দুঃখী ছিলেন বটে, কিন্তু সেরূপ লোক ছিলেন না। তিনি পরের দ্রব্য অপহরণ করা অন্যায় কর্ম্ম বলিয়া জানিতেন, এজন্য ঐ সীল আপনি লইব বলিয়া, এক বারও মনে করিলেন না; বরং তৎক্ষণাৎ প্রচার করিয়া দিলেন, আমি এইরূপ একটি সোনার সীল পাইয়াছি; যাঁহার হারাইয়াছে, তিনি আমার নিকট আসিয়া লইয়া যাইবেন। যাঁহার সীল হারাইয়াছিল, কয়েক দিন পরেই তিনি উপস্থিত হইলে, ডুবাল তাঁহাকে সেই সীল দিলেন। ঐ ব্যক্তি, সীল পাইয়া সন্তুষ্ট হইয়া, ডুবালের পরিচয় লইলেন, তাঁহার অবস্থা, লেখা পড়া শিখিবার যত্ন, ও কত শিক্ষা হইয়াছে, এই সমস্ত অবগত হইয়া, অত্যন্ত আহ্লাদিত হইলেন, এবং তাঁহাকে বিলক্ষণ পুরস্কার দিয়া, যাইবার সময়, বলিয়া গেলেন, তুমি মধ্যে মধ্যে আমার সহিত সাক্ষাৎ করিবে। ডুবাল যখন যখন সাক্ষাৎ করিতে যাইতেন, ঐ ব্যক্তি তাঁহাকে এক একটি টাকা দিতেন। ঐ টাকা ডুবাল অন্য কোন বিষয়ে ব্যয় করিতেন না, তদ্দ্বারা কেবল পুস্তক কিনিতেন; আর ঐ ব্যক্তিও তাঁহাকে মধ্যে মধ্যে পুস্তক দিতেন। এই সুযোগে, তাঁহার বিস্তর পুস্তক সংগ্রহ ও বিস্তর পুস্তক পাঠ করা হইল।
যখন ডুবাল তপস্বীদিগের গোরু চরাইতে যাইতেন, সে সময়েও পড়ায় ক্ষান্ত হইতেন না। তিনি বনে গোরু ছাড়িয়া দিয়া পড়িতে বসিতেন। পড়িবার সময় চারি দিকে পুস্তক ও ভূচিত্র সকল খোলা থাকিত। তিনি পড়ায় এমন মন নিবিষ্ট করিতেন যে, নিকটে লোক দাঁড়াইলে, অথবা নিকট দিয়া লোক চলিয়া গেলে, টের পাইতেন না। ডুবাল প্রতিদিন এইরূপ করেন।
এক দিবস, সেই দেশের রাজার পুত্রেরা মৃগয়া করিতে গিয়াছিলেন। তাঁহারা, পথ হারাইয়া, ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিতে করিতে, ঐ স্থানে উপস্থিত হইলেন; দেখিলেন, এক দুঃখী রাখাল, গোরু ছাড়িয়া দিয়া, ভূচিত্র ও পুস্তকে বেষ্টিত হইয়া, নিবিষ্ট চিত্তে পাঠ করিতেছে। দেখিয়া চমৎকৃত হইয়া, রাজপুত্রেরা ডুবালের নিকটে উপস্থিত হইলেন, এবং তাঁহার পরিচয় লইয়া, কত দূর শিক্ষা হইয়াছে, তাহার পরীক্ষা করিলেন। রাখাল হইয়া কি রূপে এত লেখা পড়া শিখিল, ইহা জানিবার নিমিত্ত, তাঁহারা অত্যন্ত ব্যগ্র হইলেন এবং জিজ্ঞাসা করিয়া, সবিশেষ সমুদায় অবগত হইয়া, যেমন বিস্ময়াপন্ন হইলেন, তেমনই আহ্লাদিত হইলেন।
জ্যেষ্ঠ রাজকুমার, আপনার পরিচয় দিয়া, ডুবালকে কহিলেন, অহে রাখাল! আর তোমার গোরু চরাইয়া কাজ নাই; তুমি আমার সঙ্গে চল, আমি তোমায় উত্তম কর্ম্মে নিযুক্ত করিব। ডুবাল কোন কোন পুস্তকে পড়িয়াছিলেন, যাহারা রাজসংসারে চাকরি করে, তাহারা প্রায় দুশ্চরিত্র হয়; এজন্য কহিলেন আমি আপনকার সঙ্গে যাইব না; আমার রাজসংসারে চাকরি করিতে বাঞ্ছা নাই; যত দিন বাঁচিব, এই বনে গোরু চরাইব; সে আমার ভাল; আমি এ অবস্থায় বেস সুখে আছি। কিন্তু, যদি আপনি অনুগ্রহ করিয়া, আমার পড়া শুনার ভাল বন্দোবস্ত করিয়া দেন, তাহা হইলে, আমি আপনকার সঙ্গে যাই।
রাজকুমার, ডুবালের এই উত্তর শুনিয়া পূর্ব্ব অপেক্ষা অধিক সন্তুষ্ট হইলেন, এবং ডুবালকে রাজধানীতে লইয়া গিয়া তাঁহার বিদ্যাশিক্ষার উত্তম বন্দোবস্ত করিয়া দিলেন। ডুবাল ইতিপূর্ব্বেই, আপন যত্নে ও পরিশ্রমে, অনেক শিক্ষা করিয়াছিলেন; এক্ষণে উত্তম উত্তম অধ্যাপকের নিকট উপদেশ পাইয়া, অল্প কালেই বিলক্ষণ পণ্ডিত হইয়া উঠিলেন। রাজা, ডুবালকে বহু বিদ্যায় নিপুণ দেখিয়া, নিজ পুস্তকালয়ের অধ্যক্ষ ও পুরাবৃত্তের অধ্যাপকের পদে নিযুক্ত করিলেন। তিনি এমন উত্তম রূপে পুরাবৃত্তের শিক্ষা দিতে লাগিলেন যে, দেশে বিদেশে তাঁহার নাম খ্যাত হইল।
এই রূপে, ডুবাল দুই প্রধান পদে নিযুক্ত হইলেন, রাজার প্রিয় পাত্র হইলেন, এবং ক্রমে ক্রমে ধনসঞ্চয় করিলেন, কিন্তু রাখাল অবস্থায় তাহার যেরূপ স্বভাব ও চরিত্র ছিল, তাহার কিছুমাত্র বৈলক্ষণ্য ঘটিল না। রাজসংসারে থকিলে ও রাজার প্রিয়পাত্র হইলে, মনুষ্যের যে সকল দোষ জন্মিবার সম্ভাবনা, ডুবালের তাহার কোন দোষ জন্মে নাই। হীন অবস্থায় থাকিয়া ভাল অবস্থা হইলে, অনেকের অহঙ্কার হয়, কিন্তু ডুবালের তাহা হয় নাই। তিনি দুঃখের অবস্থায় যেমন নম্র ও নিরহঙ্কার ছিলেন, সম্পদের অবস্থাতেও সেইরূপ নম্র ও নিরহঙ্কার রহিলেন। এই সকল গুণ থাকাতে, ডুবাল সকলের প্রিয় হইয়াছিলেন। ডুবালের মৃত্যু হইলে সকলেই যার পর নাই দুঃখিত হইয়াছিল।
যাহারা মনে করে, দুঃখে পড়িলে লেখাপড়া হয় না তাহাদের, মন দিয়া, ডুবালের বৃত্তান্ত পাঠ করা আবশ্যক। দেখ, ডুবাল অতি দুঃখীর সন্তান, অল্প বয়সে পিতৃহীন ও মাতৃহীন হন, পেটের ভাতের জন্য কত জায়গায় রাখালী করেন; তথাপি কেমন লেখা পড়া শিখিয়াছিলেন, ও কেমন সম্মান ও কেমন সম্পদ লাভ করিয়া, সুখে কালযাপন করিয়া গিয়াছেন। যদি তাঁহার লেখা পড়ায় অনুরাগ না জন্মিত, এবং যত্ন ও শ্রম করিয়া না শিখিতেন, তাহা হইলে রাখালী করিয়া যাবজ্জীবন দুঃখে কালযাপন করিতে হইত, সন্দেহ নাই।