রেমস


ফ্র‌ান্সের অন্তর্বর্তী পিকার্ডি প্রদেশে রেমসের জন্ম হয়। রেমসের পিতা যার পর নাই দুঃখী ছিলেন। রেমস বাল্যকালে মেষচারণকর্ম্মে নিযুক্ত হইয়াছিলেন। কিছু দিনেই রাখালী কর্ম্মে তাঁহার বিরক্তি জন্মিল, এবং বিদ্যাশিক্ষা করিবার নিমিত্ত একান্ত অভিলাষ হইল। এখানে থাকিলে, রাখালীও ঘুচিবেক না এবং লেখা পড়াও শিখিতে পাইব না এই ভাবিয়া, তিনি, পিতার আলয় হইতে পলায়ন করিয়া, পারিস রাজধানীতে উপস্থিত হইলেন। এই সময়ে তাহার বয়স আটবৎসরমাত্র।

 পারিসে উপস্থিত হইয়া, রেমস প্রথমতঃ কিছু দিন বিস্তর ক্লেশ পাইয়াছিলেন। তিনি ভাল করিয়া লেখা পড়া শিখিবার নিমিত্ত, এত ব্যগ্র হইয়াছিলেন যে, অন্য কোন সুযোগ করিতে না পারিয়া, অবশেষে নেবারের বিদ্যালয়ে পরিচারকের কর্ম্মে নিযুক্ত হইলেন; দিবসে যে অবসর পাইতেন তাহাতে, এবং রাত্রিতে, সবিশেষ পরিশ্রম করিয়া, অল্প দিনের মধ্যেই, বিলক্ষণ শিক্ষা করিলেন। এ পর্য্যন্ত, তিনি শিক্ষাবিষয়ে প্রায় কাহার সাহায্য পান নাই।

 পরিশেষে, তিন বৎসর ছয় মাস রীতিমত উপদেশ পাইয়া, এবং স্বয়ং প্রাণপণে পরিশ্রম করিয়া, তিনি এক জন অদ্বিতীয় বিদ্বান্ হইয়া উঠিলেন। বস্তুতঃ, তিনি এক জন বিখ্যাত পণ্ডিত ও বিখ্যাত গ্রন্থকর্তা ছিলেন, এবং ন্যায়শাস্ত্রবিষয়ে নূতন মত প্রচার করিয়া গিয়াছেন। কিন্তু, লেখা পড়া বিষয়ে অত্যন্ত ইচ্ছা ও আন্তরিক যত্ন না থাকিলে, তিনি কখনই এরূপ হইতে পারিতেন না।

সম্পূর্ণ