চিঠিপত্র (দশম খণ্ড, ১৯৬৭)/দীনেশচন্দ্র সেনকে লিখিত/১৬
১৬
[অক্টোবর ১৯০৩]
ওঁ
প্রিয়বন্ধুবরেষু
তাই করিবেন— আমার মন্তব্য হইতে কোন স্থান যদি উদ্ধৃত করিতে ইচ্ছা করেন তাহাতে আমার আপত্তি থাকিতে পারেনা। একটু নিশ্চিন্ত না হইলে ভূমিকা লেখায় হাত দিতে পারিতেছিনা। বিদ্যালয়টি ছুটির পরে অধ্যাপকে ছাত্রে পরিপূর্ণ হইয়া হঠাৎ কোটালের বানের মত আমার ঘাড়ের উপরে আসিয়া পড়িয়াছে— উক্ত ঘাড় অপটু আছে বলিয়া তাহার প্রতি লেশমাত্র অনুকম্পা করে নাই— আমিও হার মানিতে চাইনা— কাজেই আমাকে বুক ফুলাইয়া তাল ঠুকিয়া দাঁড়াইতে হইয়াছে।
আপনি যে পঞ্চাননবাবুর কথা বলিয়াছিলেন তাঁহাকে কি অল্প বেতনে বিদ্যালয়ে আকর্ষণ করা সম্ভবপর হইবে? তাঁহাকে পাইলে বিশেষ সুবিধা হয়। বিদ্যালয়ের আয়ব্যয় লইয়া হাবুডুবু খাইতেছি। অম্বুবাহ মেঘের জন্য চাতকের ন্যায় শুষ্ককণ্ঠ বিদ্যালয় আর কয়েকজন বেতনবর্ষী ছাত্রের জন্য প্রতীক্ষা করিয়া আছে।
আপনার মাথার অসুখ ভাল করিতে কিছুমাত্র বিলম্ব করিবেন না।
বড় ব্যস্ত আছি। ইতি ২রা কার্ত্তিক ১৩১০।
শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর