চিঠিপত্র (দশম খণ্ড, ১৯৬৭)/দীনেশচন্দ্র সেনকে লিখিত/২৪

২৪

[মে ১৯০৪]

ওঁ

মজঃফরপুর

প্রীতিসম্ভাষণমেতৎ

 নগেন্দ্রবাবুর পত্রের উত্তর দিয়াছি দেখিয়া থাকিবেন। সমস্ত হিসাবপত্র দেখিয়া একটা সঙ্গত দর স্থির করাই business like হইবে। এই মজুমদার লাইব্রেরির জাল ছিন্ন করিতে পারিলে আমি কতকটা সুস্থ হইতে পারিব। আপনি আমার এই যে উদ্ধার ব্রত গ্রহণ করিয়াছেন তাহাতে কৃতকার্য্য হউন্ বা না হউন্ আমার কৃতজ্ঞতাভাজন হইয়া থাকিবেন।

 আপনাকে Hindustan Review পাঠাইয়া দিলাম। যতীকে লিখিয়া দিলাম আপনাকে Review of Reviews খানা পাঠাইয়া দিতে। যদি Spectator কাগজ খানা জোগাড় করিতে পারা যায় তাহা হইতে লেখ্য বিষয় অনেক পাওয়া যায়।

 আমি য়ুনিভার্সিটি বিল লইয়া আষাঢ়ের সাময়িক প্রসঙ্গ লিখিয়াছি এবং আষাঢ়ের নৌকাডুবিও আজ শেষ করা গেল।

 শৈলেশ Renal Colic লইয়া ভুগিতেছে— বোধহয় সেই জন্য সমিতির কার্য্য বিবরণ পাঠাইতে পারে নাই— যদিও, আমার বিশ্বাস এই Colic ধরিবার পূর্ব্বেই সে পাঠাইতে পারিত কিন্তু শৈলেশকে ত চেনেন। সে পিতৃদত্ত নাম সার্থক করিয়াছে— শৈলেশের মতই সে অচল।

 বঙ্গদর্শনের বৈশাখ সংখ্যা পড়িয়া এখানকার পাঠকগণ বিস্তর ধিক্কার দিয়াছে— আপনারা যদি পারেন বঙ্গদর্শনের এই ম্লানিমা দূর করিয়া দিবেন— আমার আর সাধ্য নাই।

 আপনার গল্পের বই পাইবার জন্য উৎসুক রহিলাম। ইতি ২১ বৈশাখ ১৩১১

আপনার
শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর