মজুরদের ঝড়
(ল্যাংস্টন হিউজ)

এখন এই তো সময়—
কই? কোথায়? বেরিয়ে এসে ধর্মঘটভাঙা দালালরা;
সেই সব দালালরা—
ছেলেদের চোখের মতো যাদের ভােল বদলায়,
বেরিয়ে এসো
জাহান্নমে-যাওয়া মূর্খের দল,
বিচ্ছিন্ন, তিক্ত, দুর্বোধ্য
পরাজয় আর মৃত্যুর দূত—
বেরিয়ে এসো!
বেরিয়ে এসে শক্তিমান অর্থলােভীর দল
সংকীর্ণ গলির বিষাক্ত নিঃশ্বাস নিয়ে।
গর্তের পােকারা!
এই তাে তােমাদের শুভক্ষণ,
গর্ত ছেড়ে বেরিয়ে পড়াে—
আর বেরিয়ে পড়াে ছােট ছােট সাপেরা
বড় আর মােটা সাপদের যারা ঘিরে থাকো।
সময় হ’য়েছে,
আসরফি আর পুরােনাে অপমানের বদলে
সাদা যাদের পেট—
বংশগত সরীসৃপ দাঁত তারা বের করুক,
এই তাে তাদের সুযােগ।
মানুষ ভালাে করেই জানে
অনেক মানুষের বিরুদ্ধে একজনকে লাগানাের সেই
পুরােনাে কায়দা।

সামান্য কয়েকজন লােভী
অনেক অভাবীর বিরুদ্ধে—
আর স্বাস্থ্যবানদের বিরুদ্ধে।
ক্ষয়ে যাওয়ার দল।
সূর্যালােকের পথে যাদের যাত্রা
তাদের বিরুদ্ধে তাই সাপেরা।

অতীতে অবশ্য এই সাপেরা জিতেছে বহুবার।

কিন্তু এখন সেই সময়,
সচেতন মানুষ! এখন আর ভুল ক’রাে না—
বিশ্বাস ক’রাে না সেই সব সাপেদের
জমকালাে চামড়ায় যারা নিজেদের ঢেকে রাখে,
বিপদে প’ড়লে যারা ডাকে
তাদের চেয়ে কম চটকদার বিষাক্ত অনুচরদের।
এতটুকু লজ্জা হয় না তাদের ধর্মঘট ভাঙতে
যে ধর্মঘট বে-আব্রু ক্ষুধার চূড়ান্ত চিহ্ন।

—অবশ্য, এখনাে কোনাে সম্মানিত প্রতিষ্ঠান হয়নি
যার অজ্ঞাত নাম:
“ধর্মঘট ভাঙার দল”
অন্তত দরজায় সে নাম লেখা থাকে না।

ঝড় আসছে—সেই ঝড়:
যে ঝড় পৃথিবীর বুক থেকে জঞ্জালদের টেনে তুলবে।
আর হুঁশিয়ার মজুর:
সে ঝড় প্রায় মুখােমুখি॥