অবসানে।

পৃথিবীর শেষ পারে
যদিও গো যাও তুমি-
কাঁদায়ে আমারে;

যেই ব্রতে হইয়াছি ব্রতী,
নাহি তুমি পারিবে রুধিতে!
*  *  *
পরিশ্রান্ত হৃদি-পরে,
যবে আকুল হইয়ে,
চেয়ে চেয়ে চেয়ে—
স্বপন আবেশে ঢলিয়ে পড়ে;
মুদে আসে নয়নের তারা,
ধীরে ধীরে বহিতেছে ধারা,
অবশেষে মিলাইয়ে যায়
সাগর সলিলে,
প্রভাতের তারাটির পারা!
*  *  *
ঘুমাইয়ে পড়ে,
মিশি গিয়ে অনন্তের সনে!
শূন্যের মাঝারে বসিয়ে তখন,
গাঁথে ফুলহার যতন করিয়ে!
সোহাগে লতিকাহার,—
কত যে মধুর ভাষ,—
প্রীতির প্রতিমা হৃদে গঠায় যখন—
জ্বালা মুছে, স্বপন সহিয়ে!
*  *  *

জাগ্রতে তোমায় দেখি,
নিদ্রাতেও ভাল থাকি,
স্বপনের খেলা তাই,
বড় ভাল বুঝি!
*  *  *
গৃহের বাহির হ’লে,—
অদূরে শ্মশান হেরে
মনে পড়ে সেই খেলা,
যথায় জাগিতে তুমি!
ফুরায়েছে সেই দিন–
দেখিতাম আঁখিভোরে!
সুন্দর সলিলে চাঁদ
ভাসিয়া ভাসিয়া যবে,
খেলিত সে আপন সোহাগে,
আশা তবু মিটেছে কি তার?—
চিতানল ভস্মরাশি আছে মাত্র সাব!