ক্ষীণ আলো।

প্রাণের ভিতরে মোর
জাগে তারা আঁধারের মাঝে;
কত না আদরে, কত না সহিয়ে
চুমি আমি সেই তারাটীয় পর!

স্বপনে হইয়ে হারা,—
স্বপনে ভাসিয়ে যায় হৃদয়ের তারা;
আঁখিজলে সিঞ্চি সদা
জীবনের কারা!


ভেসে যায় লৌহময় হৃদয় আগার,
তবু সহে, সহিতেই হবে,
এ জীবনে কাঁদা না ফুরাবে,—
সে রাজ্যের সকলি আমার!

অপার অগাধ সেই সমুদ্রের ধারে,
বসি যবে স্মৃতি হাতে লয়ে—
ঘূর্ণ-বায়ু প্রবেশিয়ে উত্তাল তরঙ্গ তুলে,
–যেন ডুবায় আমারে!

তার না উঠিতে পাবি,
আব না কাঁদিতে পারি,
কোথা লয়ে ফেলে যে আমায়—
আর বুঝিতে না পারি!

একটী না কথা ফোটে,
স্তস্তিত হইয়া পড়ে,
শ্বাস-রুদ্ধ হয় যেন মোর?
—কি ভীষণ আধার সে ঘোব!

চমকিয় উঠে হিয়া,—
কালমেঘে বিজলী খেলায়!

ঝুরু ঝুর্‌ বারি পড়ে, অভাগা চমকে চাহে,—
পুন স্মৃতি আসিয়া লুকায়!

এইরূপে বহে দিন,
ক্রমে ক্রমে আরো ক্ষীণ,
তারাটী না পাই আর খুঁজে
বুঝি সেটী পশ্চিমে ডুবেছে?

গভীর—গভীর তথা,
—নীলিমা বিরাজে!
কোথা তারে পাব আর খুঁজে
এ জীবনে সকলি ফুরাল কি রে?