একটী হাসি।

কণক বরণ,  রবির কিরণ,
ধীরে ধীরে যায় ভাসি;
স্বপন মতন,  হৃদয়ে যেমন,
চ’লে যায় শুধু হাসি!

আমরি পাগল,  কতই সহিবি,
গঠিয়া রাখিলি হাসি;
জীবন ফুরাবে,  আশা না মিটিবে,
কাটাবি শুধুই কাঁদি?

জীবন আমার,  ঘোর তমময়,
তবুও বহিছে ধারা!
বরিষার কালে,  আঁধার হইলে,
যেমন পড়য়ে ধারা!

আধার হইয়ে,  আসে কেন হায়,
প্রকৃতিকালিমাহার!
রুদ্ধশ্বাস ফেলে,  গভীরে গরজে,
ছিঁড়িয়া ফেলে সে তার!


ক্ষণে ক্ষণে দূরে দামিনী চমকে,
হৃদয় তাহাতে কাঁদে;
যেন ধাঁদা চোকে,  ধাঁদা দিতে আর,
খেলায় মোহিনী চাঁদে!

মোহিত হইয়ে,  মোহিনীর ফাঁদে,
উদাস নয়নে চায়!
হেরিয়া সে রূপ,  গায় অনুরূপ,
তানটী ভাসিয়ে যায়!

তাই কবি ব’সে,  তটিনীর তীরে,
গোনয়ে তারার মালা।
চাঁদিমা চকোরে,  তাই ভালবাসা,
প্রাণেতে সুধার ধারা!

কে জানে প্রকৃতি,  প্রাণেতে তোমার,
আছে কিবা সাধ আহা!
হাসি কান্না যত,  স্নেহ অবিরত,
বুঝা নাহি যায় তাহা!

নির্জ্জনে বসিয়ে,  যবে মনে হয়,
সেই হাসিমাখা মুখ,—

আপনারে ভুলি,  তানে তানে ঢালি,
জীবনেতে তাই সুখ!

—কিবা সুখ পুন,  বুঝিতে না পারি,
কাতর পরাণ কাঁদে;
ধীরে ধীরে উঠে,  আপন আবেগে,
—গভীর সাগরে ফেলে!