স্বপন আবেশে।

শতেক ববষ চলিয়ে গেল,
প্রবীণ হইল জীবন আমার;
দেখিযে ওরূপ মানস পটেতে,
আঁকা আছে যথা মুখানি তাহার!

মরু-মরুময় পরাণ আমার,
আছে মাত্র শিখা হৃদয় আলোকি;
সে দুটী আঁখিয়া মদিরা তিষার,
যথায় ভাসিছে জীবন পুলকি!

শ্মশান হয়েছে তাহারে ভাবিয়ে,
কাননেতে আর যাবনা’ক আমি;
ফিরিয়ে ঘুরিয়ে যাব সে শ্মশানে,
বাতাসে দুলিছে যথা সে শিখাটী!


যেন সে ডাকিছে আঁখির ইঙ্গিতে
তিষায় কাতর সতত যে আমি;
যাই গ্রহপথে ঢুঁড়িতে ঢুঁড়িতে—
ওই যে বালিকা খেলে হাসি হাসি!

কেন যে কাঁদায়, বুঝিতে পারিনে,
এ জনমে থালি কাঁদিতে শিখিনু;
ফিরি পথে পথে নয়ন-কিরণে,
কি জানি কেন যে দহিনু সহিনু?

ওই আঁখি পানে চাহিয়ে চাহিয়ে,
স্বপনের স্রোত ভাসিয়ে যাইছে—
আশা-মাখা হিয়া কত না সহিছে,
তবু কি জনমে বুকটী পুরিবে?