উপহার।

অনন্ত আঁধার হ’তে,  আকাশ নীলিমাপটে,
দেখা দেয় যথা এবে সন্ধ্যার তারাটী;—
সেইরূপ ঘুরে ঘুরে,  গোধূলির প্রাণ হ’তে
প্রবীণ গাছের ডালে কুসুম-ফুলটী
—শুইয়ে রয়েছে যেন মায়ের শিশুটী!
শিশুটী উঠিল জেগে,—
শুনিল অদূর-দূরে,—
গাহিতেছে ভাঙ্গা তানে, একটা সে পাখী;
করুণ মাখান তান,
নিস্তব্ধ জগত-গান,
দূর স্বপন সরে  হৃদি মাঝে ঢালি!
উঠিল জাগিয়ে সে,
আছিল প্রাণেতে যে,—
মায়ের কোলেতে গুয়ে হাসিল আবার
— হাসে শিশু মায়ের অধরে!

শিথিল প্রেমের খেলা,
নব নব ভাবলীলা,
নূতন তরঙ্গ যেন উঠিল নদীতে;
ছুটে গেল নির্ঝরের ধারে,
ছুটে গেল পর্ব্বতের পাশে,
নদীর ধারেতে গিয়ে মগন হইল!—
আপন প্রাণের মাঝে সকলি হেরিল!
—মগ্ন হ’য়ে সুন্দরের ধ্যানে,
মগ্ন হ’য়ে জগতের গানে,
পরাল’ স্বপন-মালা মায়ের গলাতে!