দুয়ো সুয়ো

সুয়োরাণীর দুলাল! ওরে! খেয়ে মেখে নে,
সদয় বিধি নানান নিধি দিয়েছে এনে!

দুয়োরাণীর দুখের বাছা! ধূলাকাদাতে
বুকে হেঁটে বেড়াস্ যেন জন্ম-হাভাতে।

সুয়োরাণীর দুলাল! তোমার পূজায় ভারি জাঁক,
জুড়িয়ে গেল হোমের ধূমে নবগ্রহের নাক!

দুয়োরাণীর দুখের বাছা! তোমার দুঃখ ক্লেশ,—
এ জীবনে হ'বে কি হায়,—হ'বে কি তার শেষ?

সুয়োরাণীর দুলাল! তোমার বংশ বাড়িছে,
তোমার গোধন রাজ্য জুড়ে শৃঙ্গ নাড়িছে।

দুয়োরাণীর বাছারে! তোর ক্ষুধায়, দুপুরে,
পেটের নাড়ী চিবায় যেন হন্যে কুকুরে।

সুয়োরাণীর দুলাল ওরে ঘুমাও সুখেতে,
আরাম করে বাপের ঘরে হাসি মুখেতে।

দুয়োরাণীর দুখের বাছা! দুধের বাছা রে!
বর্ষা শীতে বেড়াও কেঁদে বনের মাঝারে।

সুয়োরাণীর দুলাল! শেষে, ধূলায় পড়িলে!
রক্ত দিয়ে তপ্ত মাটি পুষ্ট করিলে।

দুয়োরাণীর তনয়! ওগো তোমার মাথার ঘাম
পড়ুক, আরো, ব্যস্ত কাজে থাক অবিশ্রাম।

সুয়োরাণীর দুলাল! তোমার দেমাক্ ছুটেছে,
শূয়োর-মারা শড়্‌কিতে আজ খড়্‌গ টুটেছে!

দুয়োরাণীর দুলাল! কর স্বর্গ অধিকার,
ফিরাও তুমি গ্রহের গতি বিধান বিধাতার।

বদ্‌লেয়ার।