বিগ্রহ

নিশীথে আমার এই মন্দির-প্রাঙ্গণে
ধাতুময় সপ্ত ধেনু জাগে,
বিচিত্র পাষাণ দীপ জ্বলে সারারাত
মিট্‌ মিট মিট্‌ লাখে লাখে!

আমি লীলাভরে,
গভীর মন্দির গর্ভে বসি গুপ্ত ঘরে,
রত্ন-বেদী ‘পরে!

চন্দনের কড়িকাঠ সারি, সারি, সারি,
সারারাত চেয়ে চেয়ে দেখি;
বসে থাকে তারাগুলি ঘুল্ঘু‌লি জুড়ে,
মিট্‌‌ মিট্‌ মিট্‌ করে আঁখি।

আমি যদি দাঁড়াইয়া উঠি একবার!
গুঁড়া হ'য়ে পড়ে যাবে ছাদ;
ডিম্বাকার হীরকের তৃতীয় নয়ন
ঠেকে ভেঙে ফেটে যাবে চাঁদ।

উঠিবনা,—থাক্‌!
স্থূলদোর পূজারীরা ডাকাইয়া নাক
নিশ্চিন্তে ঘুমাক্‌!

যোগাসনে, তার চেয়ে বসে এক মনে
নিজের নাভিটি ধ্যান করি;
পদ্মরাগ-বিমণ্ডিত নাভিপদ্ম, আহা!
কিবা শোভা! কিবা কারিগরি!

আর্ণো হোল্‌জ।